Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁ’ধে পে’টালো চেয়ারম্যানের লোকজন


‘গরু’চো’র’ অপ’বাদে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা ও মেয়েকে নির্দ’য়ভাবে পিটি’য়েছে একদল দু’র্বৃত্ত। পরে কোমরে রশি বেঁ’ধে প্রকাশ্যে সড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। সেখানে চেয়ারম্যান নিজেও তাদের আবার প্র’হার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি প্রকাশের পর শনিবার (২২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে সবখানে।নি’র্যাতনের শিকার মা-মেয়ে চকরিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের শারীরিক অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একদফা মা-মেয়ের ওপর নি’র্যাতন চলার পর হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) পাঠিয়ে তাদেরকে রশিতে বেঁ’ধে তার কার্যালয়ে এনে আবার নির্ম’মভাবে নির্যা’তন করেন। উপর্যুপরি নির্যাতন শেষে চেয়ারম্যানের লোকেরাই তদন্ত কেন্দ্রে ফোন করে পুলিশ এনে তাদের হাতে মা-মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় তুলে দেন।

অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, সুন্দরি মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে চো’রের অপ’বাদে পরিবারটিকে ম’ধ্যযুগীয় কায়দায় নিপীড়ন করা হয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চকরিয়া থানার হারবাং তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার স্থানীয়রা ফাঁ’ড়িতে খবর দিলে আমরা ফোর্স পাঠাই। আমাদের ফোর্স গিয়ে গুরুতর অবস্থায় মা-মেয়েকে উ’দ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তির দায়ের করা গরু চু’রির মা’মলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ চার জনের বাড়ি পটি’য়ার শা’ন্তির হাটে। অপরজনের বাড়ি পেকুয়া লালব্রিজ এলাকায়। তবে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তাদের উপর নির্যা’তন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভি’যোগ কেউ করেনি। আমাদের ফোর্স যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন সেখানে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আগে বিপদাপন্ন মা-মেয়েকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসাটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। কী হয়েছে তা তখন জানতে চাইনি। আর ভুক্তভোগী কিংবা অন্য কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখার পর তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
-পূর্বপশ্চিমবিড

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.