Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

লন্ডনে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. তাফহিমা হায়দার


বিলেতের সুপরিচিত সাংবাদিক ও লেখক রফিকুল হায়দার (দেওয়ান ফয়সল) ও মিসেস জোছনা আরা হায়দার এর বড় মেয়ে ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) সম্প্রতি ডক্টরেট অর্জন করে লন্ডনের কুইনমেরী ইউনিভা’র্সিটিতে একজন সায়েন্টিস্ট (বিজ্ঞানী) হিসেবে যোগদান করেছেন।

ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) লন্ডন কুইনমেরী ইউনিভা’র্সিটি থেকে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স-এর উপর পড়াশোনা করে আন্ডার গ্রাজুয়েট ফার্ষ্ট ক্লাস (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি লন্ডনের ইউসিএল থেকে ইনফেকশন ইমিউনিটি’র উপর মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তার মাষ্টার্স শেষ করার পর যখন ইউসিএল-এ কাজে যোগদান করেন তখন সায়েন্টিফিক রিসার্চে ভাল ফলাফল দেখে এবং তার কাজ ও ধৈর্য্য দেখে ইউসিএল এর বিজ্ঞানীরা তাকে পিএইচডি করার জন্য উৎসাহিত করেন।

তাফহিমা মলিকোলার ভায়োরোলজির উপর পিএইচডি শেষ করেন এবং এ বছর বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘পিএনএএস’ এ তাঁর গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি তাঁর এই গবেষণায় এইচআইভি-১ এর ইনফেকশন মানুষের শরীরে কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এ বছর সকল পিএইচডি ছাত্রছা’ত্রীদের জন্য কভিড-১৯ ছিলো একটি কঠিন সময়। কারণ কখন লক ডাউন শেষ হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই কঠিন সময়েও তাফহিমা থেমে থাকেননি, তিনি যথাসময়েই তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

পিএইচডি শেষ করার পর রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে দুটি কাজের অফার পান তাফহিমা। একটি ক্যামব্রিজ ইউনিভা’র্সিটি এবং অন্যটি কুইনমেরী ইউনিভা’র্সিটি’তে। তিনি ক্যামব্রিজ ইউনিভা’র্সিটির অফার প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এই যে, তিনি এমন একটি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন যাতে ভবিষ্যতে মানুষের জীবন বাঁ’চাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র মানুষগুলোকে। এজন্যই তিনি কুইন মেরী’র অফারটিকে পছন্দ করেন।

কুইনমেরী ইউনিভা’র্সিটিতে তার রিসার্চের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, সাউথ আফ্রিকার ছে’লেমেয়েদের অ’পুষ্টির কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কেন তারা বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে ভোগে – তা নিয়ে গবেষণা করা। তার এই রিসার্চের মাধ্যমে এসব ছে’লেমেয়েদের সুস্থ জীবন যাপনে ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করে তাদের ঔষধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।

এছাড়াও তাফহিমা মেটারনাল এইড এসোসিয়েশন (মা) চ্যারিটি অর্গেনাইজেশনে ভলান্টিয়ার হিসেবে একাডেমিক অফিসার এবং রিসার্চে কাজ করছেন যাতে প্রতি বছর বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে হাজার হাজার মায়েদের জীবন উন্নত করে বাঁচতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতে স্বাধীন বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করা তাঁর অন্যতম লক্ষ্য এবং নিজস্ব একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিসার্চ টীম গঠন করবেন। যার ফলে তিনি বিশ্বের মা এবং শি’শুদের জীবন বাঁ’চাতে রিচার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন।

পরিস্কার ভাবে বলা যায়, ড. তাফহিমা হায়দার এক উচ্চাকাংখী মু’সলিম, বৃটিশ বাংলাদেশী মহিলা বিজ্ঞানী, যিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌছার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তার এই উদ্যোগ দেখে নতুন প্রজন্মের ছে’লেমেয়েরা উৎসাহিত হবে, বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ব্যাকগ্রাউন্ডের মেয়েরা এবং মহিলারা অনুপ্রা’ণিত হবে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেওয়ান রফিকুল হায়দার (ফয়সল) এবং মিসেস জোছনা আরা হায়দার দম্পত্তির ছোট মেয়ে তাসনিম হায়দার (চুমকি) শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। একমাত্র ছে’লে দেওয়ান মুশফিক হায়দার (তাহা) হিসাববিজ্ঞান নিয়ে ইউনিভা’র্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.