Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি প্রবাসী পুলিশের সংখ্যা বাড়ছে







গত মাসে এক মার্কিন নারীকে হয়রানির হাত থেকে বাঁচাতে এক পুলিশের সাহসী ভূমিকার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচজন মদ্যপ ব্যক্তির কাছ থেকে ওই নারীকে উদ্ধারকারী ছিলেন একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন। নিউ ইয়র্ক পুলিশ দফতরের বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপা) জানায়, ওই মুহূর্ত ছিলো বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

ওই পুলিশ সদস্যের মতো এখন অনেক বাংলাদেশিই নিউ ইয়র্কের পুলিশ দফতরে কর্মরত। পাঁচবছর আগেও যেই সংখ্যা ছিলো মাত্র আটজন। বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় এক হাজার।



বাপা জানায়, বাংলাদেশিদের পুলিশে যোগ দেওয়া শহরটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা খুব ইতিবাচক হিসেবে দেখে না। এখন শহরে বাড়ছে বাংলাদেশি অভিবাসী সংখ্যা, সঙ্গে নিউ ইয়র্ক পুলিশ দফতরেও বাড়ছে বাংলাদেশির সংখ্যা।

বাপার সহ-সভাপতি সার্জেন্ট তারাকুর চৌধুরী বলেন, তিনি নিজেও পুলিশে যোগদানের সময় পরিবারের বাধা পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন, বাবা-মা চায় সন্তানের ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হোক। পুলিশ অনেকের কাছেই সম্মানজনক পেশা নয়।’



বিগত বছরগুলোতে অবশ্য এই ধারণা থেকে সবাই অনেকটা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘২০০৪ সালের দিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনও পুলিশের কথা তেমন কেউ জানতো না। আর এখন সেই সংখ্যা অনেক বেশি। বাপার সদস্য সংখ্যাও বাড়ছে।’

২০১৫ সালে গঠিত সংস্থাটিতে চার বছর আগেও মাত্র আটজন সদস্য ছিলো। আর এখন প্রায় এক হাজার। তাদের কেউ সরাসরি নিউ ইয়র্কের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জড়িত। আর কেউ বেসামরিক কোটায় আছেন।



নিউ ইয়র্কের রাস্তায় বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তাদের টহল এখন খুবই স্বাভাবিক দৃশ্য। এতে করে সেখানে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঙ্গে পুলিশের দূরত্বও অনেকটা কমে এসেছে।

বাপার প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট সুজাত খান বলেন, ‘আমরা এখন প্রায়ই কমিউনিটির নেতা ও তরুণদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে পুলিশকে তারা কিভাবে সহায়তা করতে পারে।



এতে করে কুইনস, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন যেখানে অনেক বাংলাদেশির বসবাস, সেখানে পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা হয়। বাংলাদেশিরা যখন জানতে পারে যে তারা পুলিশর সঙ্গে মাতৃভাষায় যোগাযোগ করতে পারবেন, তখন তাদের আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। আর এতে করে পুলিশর কাজও সহজ হয় বলে জানান চৌধুরী।



নিউ ইয়ক পুলিশের প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি হিসেবে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। তাকে দেখে অনেক বাংলাদেশি তরুণই এখন পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চোধুরী বলেন, ‘আমরা এখন অনেকের ভেতরে আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।

বাপা সদস্যরাও একে অপরের প্রয়োজনে সবসময় পাশে থেকেছে। সুজাত খান বলেন, আমাদের অগ্রগতির জন্যই পারষ্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.