Beanibazarview24.com
অলিম্পিক থেকে এখনও কোনো পদক আনতে পারেননি বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। টোকিও অলিম্পিকে দেশসেরা রাইফেল শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকী আর তীর-ধনুকে রোমান সানায় আশা করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু অলিম্পিক থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেননি তারা। অথচ এবার অনেক দেশই প্রথমবারের মতো পদক পেয়েছে। কম জনসংখ্যার ছোট ছোট দেশও পদক থেকে বাদ যায়নি।
আর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এখনও অলিম্পিকে পদক জেতেনি। এ ব্যর্থতার গ্লানিতে এখনও পুড়ে চলেছে বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ এ গ্লানি মুছে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল আরও পাঁচ বছর আগে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাশান জিমন্যাস্ট মার্গারিতা মামুনকে নিজেদের করে দেখাতে পারলেই আর কিছু লাগত না। সেবার রাশিয়ার হয়ে সোনা জিতেছিলেন এই রিদমিক জিমন্যাস্ট।
জিমন্যাস্ট মার্গারিতা বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রামে সে কথাই যেন ইঙ্গিত দিলেন।
বাংলাদেশ নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা লিখলেন মার্গারিতা।
তিনি লিখেছেন— ‘অনেকেই জানেন আমার বাবা বাংলাদেশি, আমিও অর্ধেক বাংলাদেশি। যদিও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমি আমার দেশ রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছি। এর পরও আমি বাংলাদেশ থেকে অনেক সমর্থন আর অভিনন্দন পেয়েছি। আর একদিন একটা সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন— বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই অলিম্পিক পদকটা তাদের বলে মনে করেন!’
চলতি বছর ২৫-এ পা রেখেছেন মার্গারিতা। গত অলিম্পিকে ৭৬.৪৮৩ স্কোর গড়ে সোনা জেতেন এ জিমন্যাস্ট। গেমসের পঞ্চদশ দিনে ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও তার স্বদেশি ইয়ানা কুদ্রিয়াভৎসেভাকে হারান তিনি। সোনা জিতে প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের কথা বলতে ভোলেননি তিনি। বলেছিলেন— এই সোনা দুই দেশেরই। তার এই জয় যেমন রাশিয়ার, সমানভাবে বাংলাদেশেরও।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.