Beanibazarview24.com
ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা ১৪ বাংলাদেশির ঠাঁই হয়েছে হাঙ্গেরির একটি মেডিকেল কলেজে। তাদের ভর্তির বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আশ্রয় নেওয়া শুভজিত জানান, তারা ইউক্রেনের উজরটে ছিলেন। উজরট শহরটি পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া সীমান্তের কাছে। রুশ বাহিনীর হামলা শুরু হলে তারা উজরট ছাড়েন। পাড়ি দেন হাঙ্গেরিতে। আশ্রয়স্থল হয় বিশ্বখ্যাত স্যামিলস ইউনিভার্সিটির ডরমেটরি। বুদাপেস্টের স্যামিলস কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়া বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেবে বলে আশ্বাস দেয়। তাদের ভর্তির বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।
নিজেদের পরিস্থিতি বুঝাতে গিয়ে শুভজিত বলেন, আমরা পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থীদের দীর্ঘ সারি। ৭-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত যানজট। কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছান। পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের হাঙ্গেরি চলে যেতে বলে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা হাঙ্গেরি পৌঁছালে অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় রাজধানী বুদাপেস্টে স্যামিলস ইউনিভার্সিটিতে আশ্রয় নেই।
তিনি বলেন, আমাদের ভর্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ইউক্রেনের ইউনিভার্সিটি থেকে ট্রান্সফারের বিষয় জড়িত আছে।
অস্ট্রিয়ার ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান বলেন, ‘আমরা হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া সরকারকে চিঠি লিখেছি, তারা যেন ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশি শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেন। তারা এতে রাজি হয়েছেন। প্রথমে ১৫ জনের একটি দল এসেছে যাদের ১৪ জনই বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা বুদাপেস্টে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন।
এ ছাড়া ইউক্রেনের গ্রিনকার্ড আছে এমন একটি বাংলাদেশি পরিবার সীমান্ত শহর জাহুনিতে আছেন। তারা বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। ইউক্রেনের পরিবেশ ভালো হলে সেখানেই যাবেন। রাহাত বলেন, মূল চাপ পোল্যান্ডে।
জানতে চাইলে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত ভিয়েনা থেকে টেলিফোনে জানান, হাঙ্গেরিতে ২৭ জন বাংলাদেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জনই ছাত্র। একটি পরিবার এবং দুজন আছেন নাবিক। তিনি বলেন, হাঙ্গেরির সরকার ও স্যামুলস ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশের ১৪ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করতে পেরে খুশি হয়েছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.