Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

পৃথিবীকে বাঁ.চিয়ে রেখেছে যে গ্রহ


বৃহস্পতি গ্রহ সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। বৃহস্পতিসহ আরও তিনটি গ্রহ শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনকে একসঙ্গে গ্যাস দানব বলা হয়। এই চারটির অন্য জনপ্রিয় নাম হচ্ছে জোভিয়ান গ্রহ।

বৃহস্পতি গ্রহের প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে হাইড্রোজেন এবং সামান্য পরিমাণ হিলিয়াম। এই গ্রহের চাঁদ আছে ৭৯টি। সৌরজগতের প্রথম গ্রহ জুপিটার।

জুপিটার বা বৃহস্পতি, সৌরজগতের গ্যাস জায়ান্ট। মহাকাশে কাছ থেকে দেখলে এই গ্রহকে কোন শৈল্পিক চিত্রকর্ম মনে হবে। কিন্তু এই গ্রহের আশেপাশে যে মহাকাশযান পাঠানো হবে, যেই মহাকাশযান এই গ্রহ নিয়ে গবেষণা করবে, সেটা রীতিমতো যু.দ্ধের সামিল।

যু.দ্ধটা মানুষের সঙ্গে নয়, খোদ এই গ্রহের চারপাশের সঙ্গে। পৃথিবী থেকে ৬২৮ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এই গ্রহ। কিন্তু এই গ্রহ এমনভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করে, যেভাবে পৃথিবী নিজেও নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।

কোটি কোটি বছর ধরে বৃহস্পতি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কোটি কোটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। এই গ্রহাণুগুলো যে কোনো সময় আমাদের পৃথিবীকে আঘাত করতে পারত।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় এই গ্রহে কিছু গো.+পন তথ্য লুকিয়ে আছে। কোনো স্পেসক্রাফট পাঠিয়ে এই গ্রহ নিয়ে গবেষণা করা বেশ কঠিন। গ্যাস জায়ান্টের অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তার কারণে কোনো স্পেস প্রোব এই গ্রহের আশপাশে বা বায়ুমন্ডল পর্যন্ত যেয়ে অবস্থান করতে পারে না।

এখন পর্যন্ত ৯টি মহাকাশযান জুপিটারকে ‘হ্যালো’ বলেছে। এরমধ্যে আছে গ্যালিলিও আর ক্যাসিনি স্পেসক্রাফট। কিন্তু এই গ্রহের বাযুমন্ডল পর্যন্ত যেতে পারেনি মহাকাশযানগুলো।

শেষ পর্যন্ত এই প্ল্যানেট পর্যবেক্ষণে নাসা একটি মিশন চালিয়েছে। বলছি, জুনো স্পেস ক্রাফটের কথা। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই মিশনে ২০২১ সালে মহাকাশে ১০ বছর পার করেছে জুনো।

২০১১ সালের আগস্টে ফ্লোরিডা থেকে নাসার জুনো প্রোবকে ৫ বছরের জন্য জুপিটার পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জুপিটারের কাছে যেতে পারে জুনো। এই সময় জুপিটারের টাইমল্যাপস ছবি তোলে জুনো।

জুপিটার থেকে ৪.৮ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে জুনো। ছবিতে ধরা পরে জুপিটারের ৪টি উপগ্রহ বা চাঁদের ছবি। ২০১৬ সালের জুলাইতে ৫ বছরের যাত্রা শেষে জুনো জুপিটারে পৌঁছায়।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে জুনো সবচেয়ে দ্রুতগতির কোনো স্পেসক্রাফট, এমনভাবে তৈরি যেন জুপিটারের তেজস্ক্রিয়তা জুনোর ক্ষতি না করতে পারে। ২০১৬ সালের আগস্টে জুনো জুপিটারের কক্ষপথ একবার ঘোরা শেষ করে।

এ সময় জুনো গ্রহটির অসম্ভব কিছু সুন্দর ছবি তোলে। ছবিতে দেখা যায়, জুপিটারের গাঢ় নীল মেঘ, গাঢ় লাল অরোরা, যেটা পুরো সৌরজগতে সবচেয়ে শক্তিশালী অরোরা। বিজ্ঞানীরা এখনো এর উৎস খুঁজে বের করতে পারেননি।

জুনোর গঠনের কারণে কৃত্রিম উপগ্রহটি জুপিটারের বায়ুমন্ডলের অনেক কাছে যেতে পেরেছে। মাঝে মাঝে জুনো মাত্র ৩ হাজার ১০০ মাইল দূরে থাকে জুপিটারের বায়ুমন্ডল থেকে। পুরো গ্রহটি একটি গ্যাস জায়ান্ট, যার কোন ভূপৃষ্ঠ নেই, আছে শুধু নানা রংয়ের মেঘ।

জুপিটারের গ্রেট রেড স্পটের কথা তো মনেই আছে। এই গ্রেট রেড স্পট আসলে একটা সাইক্লোন, পুরো সৌরজগতে এরচেয়ে বড় কোনো সাইক্লোন নেই। ৩০০ বছর ধরে চলছে এই ঝড়।

২০১৭ সালের জুলাইতে এই গ্রেট রেড স্পটের ছবি তোলে জুনো। জুপিটারের পুরো ম্যাগনেটিক ফিল্ডও পেয়েছে জুনো। ২০১৮ সাল পর্যন্ত জুনোর কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু জুনোর সক্ষমতা থাকায় মিশনের সময় ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে নাসা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.