Beanibazarview24.com
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি এলাকার একটি মসজিদে রাগের বশে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে বসেন স্বামী। এরপর গোপনে ওই গৃহবধূ তিন তালাকের সুরাহা চাইতে যান এক সাব-কাজির কাছে। ওই কাজি হিল্লা বিয়ের কথা বলে গৃহবধূর সঙ্গে যৌ.ন মি.ল.ন করেন। এ ধরনের একটি ভিডিও গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ভিডিও দেখে জানা গেছে, সাব-কাজি হচ্ছেন ওই এলাকার মৃ.ত আলী আকবর মাস্টারের ছেলে হাফেজ আরিফ রাব্বানী (৫০)। নিজের এলাকায় ঘরে তুলেছেন একটি মসজিদ (যাতে নিয়মিত নামাজ হয় না)। ওই মসজিদে সকালে শিশুদের আরবি শিক্ষাও দেওয়া হয়। সেখানের আড়ালে এক নারীর সঙ্গে অ.বৈ.ধ সর্ম্পকে লি.প্ত হয়েছেন হুজুর রব্বানী ওরফে শাহজাহান। এ ধরনের একটি ভিডিও কে বা কারা ধারণ করে ফেইসবুকে আপলোড করেছেন। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন কাজী আরিফ রব্বানী। তাঁর দুইটি মোবাইল নম্বরই বন্ধ রয়েছে। তবে জানা গেছে অভিযুক্ত সাব-কাজি নান্দাইল উপজেলার এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে (অভিযুক্ত কাজি) উ.দ্ধা.র করার জন্য অনুরোধ করেন। ওই নিকাহ রেজিস্ট্রার কালের কণ্ঠকে জানান, গত এক সপ্তাহ আগে এক অপরিচিত নারী তাঁর কাছে গিয়ে বলেন তাঁর স্বামী রাগের বশে তিন তালাক দিয়েছিলেন। এখন স্বামী ভুল বুঝতে পেরে ফেরৎ নিতে চান। এ অবস্থায় কি করণীয়? তখন তিনি ওই নারীকে হিল্লা বিয়ের পরামর্শ দেন। নারী তাকেই বিয়ে করতে রাজি হন। পরে তিনি মেলামেশা করেছেন। আর এই ঘটনাটি একটি চ.ক্র গো.প.নে ভিডিও ধারণ করেছে।
ভিডিওটি ধারণ করেছে এলাকার এক স্কুলছাত্র। কথা হয় তার সঙ্গে। স্কুলছাত্র বলে, এই মসজিদে গত এক সপ্তাহ ধরে এক নারী হুজুরের কাছে আসেন। অনেক্ষণ থেকে আবার চলে যান। প্রথমে বিষয়টি কিছু বুঝতে না পারলেও একদিন আড়ালে থেকে দেখতে পাই ওই নারীকে নিয়ে টানাটানি করেন হুজুর। পরে আরেক দিন ওৎপতে থেকে মসজিদের পিছনে গিয়ে একটি ফাঁক দিয়ে মোবাইলের ভিডিওটি চালু রেখে কিছুক্ষণ ধরে রাখি। পরে দেখা যায় ওই নারীর সাথে হুজুর আ.প.ত্তি.জ.নক অবস্থায় মে.লা.মে.শা করছেন। পরে ঘটনাটি অনেকেকেই জানানো হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জানান, তাঁর বাড়ির কাছেই আরিফ রব্বানীর মসজিদ মাদরাসা। এর আগে ওইখানে অনেক ধরনের অ.প.ক.র্মে.র কথা শোনা গেছে। সব সময় তিনি পার পেয়ে যান। এবার রক্ষা পাননি। তিনি জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছেন এবং নারীর খোঁজ করছেন। অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কথা বলতে অভিযুক্ত আরিফ রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর দুইটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় বাড়িতে গেলে চাচা সর্ম্পকের আত্মীয় আব্দুর রাশিদ মাস্টার বলেন, এটা দেখা ও শোনার পর খুবই লজ্জা পেয়েছি। পরে তাকে ডেকে এনে চ.ড়-থা.প্প.র দিয়ে শা.স.ন করেছি। এরপর থেকে সে এলাকা ছাড়া।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.