Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

সিলেটে ধ’র্ষণ মা’মলায় অ’ভিযুক্ত কিশোর ৫ মাস ধরে নিখোঁ’জ


সিলেটের বিশ্বনাথে ধ’র্ষণ মালায় অভিযু’ক্ত আছলাম উদ্দিন ওরফে বাদশা মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর ৫ মাস ধরে নিখোঁ’জ রয়েছে। দীর্ঘ ৫মাস ধরে থানা পুলিশও তাকে হন্যে হয়ে খোঁজছে।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কিশোরী হামিদা বেগম (১৫) বাদি হয়ে বাদশা মিয়াকে একমাত্র আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় ধ’র্ষ’ণ মা’মলা দায়ের করেন, (মামলা নং ১৫)। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁ’জ হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি বাদশার বড়ভাই মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজ মো: আকবর আলী বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, (জিডি নং ১১৩৪)। অভিযুক্ত বাদশা উপজেলার টেংরা বাঘমারা গ্রামের মৃ’ত রিফাত উল্লাহর ছেলে।

তবে, তার মা ষাটোর্ধ আছিয়া বেগমের দাবি তার ছেলে নির্দো’ষ। পরিকল্পিত ও সাজানো মা’মলায় তার ছেলেকে ফাঁ’সানো হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ছেলে বাদশা মিয়াকে পাশের বাড়ির রাসেল মিয়া মোবাইলে কল দিয়ে বাড়ি থেকে ওরসে যাবার জন্য ডেকে নিয়ে মিথ্যা ধ’র্ষণের অভিযোগ তুলে। থানায় ছেলে হা’রানোর জিডি করা পর পুলিশকে ম্যানেজ করে ২৫ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে তার বড় ছেলে মরহুম হাজী জবান উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো: আকবর আলী (৩০) ও মেঝো ছেলে রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার আছকর আলীকে (২৫) আ’টক করান প্রতিপক্ষের রাসেল মিয়া। ওইদিন দুপুরে গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী তার ছেলে আকবর আলীকে ছাড়িয়ে আনেন। কিন্তু নিখোঁ’জ বাদশা মিয়াকে একমাত্র আসামি করে থানায় ধ’র্ষণ মামলা দায়েরের পর আছকর আলীকে তার সহযোগী বানিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

জানাগেছে, টেংরা বাঘমারা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফারুক মিয়ার বসত বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ করতেন ঠিকাদার আছকর আলী। সহযোগী হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতেন তারই ছোটভাই বাদশা মিয়া (১৬) ও চাচাতো ভাই জুবেল আহমদ (২৫)। আর নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন প্রবাসীর ভাতিজা রাসেল মিয়া (২৫)। আর ওই বাড়িতে কাজ করতেন প্রবাসীর আরেক আত্মীয় একই গ্রামের আবুল মিয়ার মেয়ে হামিদা বেগম (১৫)। নির্মাণ কাজের কিছুদিন পর ঠিকারদার আসকর আলীর কাছে উৎকোচ দাবি করেন রাসেল। এ নিয়ে ঠিাকাদার ও রাসেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রবাসী তার ভাতিজাকে কাজের তদারকির দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে ঠিকাদার আছকর আলীর কাছে নির্মাণকাজের দায়িত্ব দিয়ে দেন।

এতে ক্ষি’প্ত হয়ে রাসেল মিয়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে রামধানা ওরসে যাবার কথা বলে আছকর আলীর ছোটভাই বাদশা মিয়াকে মোবাইলে ডেকে প্রবাসীর বাড়িতে নিয়ে বন্ধি করে রাখেন। এসময় রাসেল তার সহযোগীদের নিয়ে হামিদা বেগমকে ধ’র্ষণের অভিযোগ এনে বাদশা মিয়াকে নির্যাতন করেন। পরেরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি বাদশা মিয়ার বড়ভাই, প্রতিপক্ষ রাসেল ও মেয়ের বাবাসহ এক বৈঠকে বসেন। আর ওই বৈঠক থেকে বাদশা মিয়া বাড়িতে গিয়ে তার মাকে প্রতারনার শিকার হচ্ছে জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। এর পর ২২ ফেব্রুয়ারি থানায় জিডি করেন বড়ভাই হাফিজ আকবর আলী।

এর দুইদিন পর ২৫ ফেব্রুয়ারি কিশোরী হামিদা বেগম (১৫) বাদি হয়ে বাদশা মিয়াকে আসামি করে থানায় ধ’র্ষণ মা’মলা দায়ের করেন, (মামলা নং ১৫)। মা’মলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৫জানুয়ারি থেকে ২০২০সালের ২০ ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১৩মাস জোরপূর্বক ধ’র্ষণ করেছে।

এ বিষয়ে কথা হলে কিশোরী হামিদা বেগমের পিতা আবুল মিয়া বলেন, আমার দারোগা স্যার ছাড়া আমি কিছুই বলতে পারছি না। তবে, তার স্ত্রী রেখা বেগম এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।

অভিযুক্ত বাদশা মিয়ার ভাই ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষক আকবর আলী বলেন, তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের লোকজন ষ্ট্রাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তবে, এ বিষয়ে জানতে রাসেলের বাড়িতে গিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কিংবা বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

টেংরা বাঘমারা জামে মসজিদের মোতায়াল্লী হাজী নেছার আলী কটু মিয়া বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি মসজিদে ফজরের নামাজে গিয়ে জানতে পারেন ইমাম হাফিজ আকবর আলী ও তার ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। পরে ওইদিন দুপুরে পঞ্চায়েত ও এলাকাবাসী মিলে ইমাম আকবর আলীকে ছাড়িয়ে আনেন। তবে ধ’র্ষণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানান।

একই গ্রামের মুরব্বী আলকাছ আলী ও মাসুক মিয়া বলেন, ঠিকাদর আছকর আলী ও রাসেলের মধ্যে প্রবাসীর বাড়ি নির্মাণ কাজ নিয়ে দ্বন্ধের কথা শুনেছেন। তবে, ধ’র্ষণের ঘটনা সম্পর্কে তারাও কিছুই জানেন না।

মা’মলা ত’দন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক বলেন, হাফিজ আকবর আলী তার ভাইকে সরিয়ে দিয়ে থানায় জিডি এন্ট্রি করেছেন। দীর্ঘদিন খোঁ’জাখুজির পর তিনিও অভিযু’ক্ত বাদশাকে গ্রে’প্তার করতে পারেন নি।

তবে, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম মুসা বলেছেন, মামলার ত’দন্তকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামি কয়েক দিনের মধ্যেই মা’মলার চা’র্জশিট দেওয়া হবে।
sylhettoday24.news

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.