Beanibazarview24.com
দেশে ফিরে গেলে নিপীড়ন বা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন এমন অভিবাসীদের তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৯ জুন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত এক রায়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বিভক্তির রায় প্রদান করলেও ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার রায়ে বলা হয়েছে, অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদনের দাবি খতিয়ে দেখার সময় তাঁদের মুক্তি দেওয়া উচিত কিনা—সে বিষয়ে শুনানি গ্রহণের অধিকার আদালতের নেই।
বিচারপতি স্যামুয়েল আলিটো তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, ‘আবেদনকারী বিদেশিরা বন্ড শুনানির অধিকারী নয়।’
সুপ্রিম কোর্টের এ মামলায় এমন লোকজন জড়িত ছিলেন, যাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা হয়েছিল। এসব বিতাড়িত লোকজন আবার গ্রেপ্তার হলে তাঁরা বলেছেন, নিজের দেশে ফেরত গেলে তাঁদের জীবন বিপন্ন হবে। এল সালভাদরের একজন নাগরিক সুপ্রিম কোর্টের এ সংক্রান্ত মামলায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত দেওয়ার পরপরই একটি গ্যাং তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
আশ্রয় আবেদন দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য অভিবাসন কর্মকর্তাকে বেশ কিছু সময় নিতে হয়। আবেদনকারী দেশে ফেরত গেলে তাঁর নিরাপত্তা হুমকির মুখে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন অভিবাসন কর্মকর্তা।
আদালতের পক্ষে বিষয়টি ছিল ইমিগ্রেশন বিচারকের বিবেচনা না নিয়েই সরকার অভিবাসীদের আটকে রাখতে পারে কিনা। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের আগে অভিবাসী ও ট্রাম্প প্রশাসন এ মামলার ব্রিফিং এবং যুক্তি দিয়েছিল।
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডের ফেডারেল আপিল আদালত অভিবাসীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ২৯ জুন আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্তটি দেশব্যাপী অভিবাসীদের আশ্রয় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে একটি নিয়ম নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.