Beanibazarview24.com
গ্রামে আছে চারটি মুসলিম পরিবার। দেশভাগের সময় অনেকে পাকিস্তানে চলে গেলেও এই চার পরিবার থেকে গিয়েছিল। গ্রামে এতদিন ৭টি গুরুদ্বার এবং দুটি মন্দির ছিল। কিন্তু ছিল না কোনো মসজিদ। তাই মসজিদ তৈরির উদ্যোগ নিলেন স্থানীয়রাই। সম্প্রীতির এমন অনন্য নজির স্থাপন করেছে ভারতের পাঞ্জাবের ভুলার গ্রাম। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
মসজিদ তৈরির জন্য চাঁদাও নিচ্ছে গ্রামবাসী। ১০০ থেকে ১ লাখ রুপি, সামর্থ অনুযায়ী সবাই মসজিদ বানানোর জন্য সাহায্যও করেছেন। রোববার সকালে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু ভারী বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে সে অনুষ্ঠানে সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। পরে গুরুদ্বারে সেই অনুষ্ঠান করা হয়। খাবারেরও আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে গ্রাম প্রধান পালা সিং বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে এখানে একটি মসজিদ ছিল। কিন্তু মসজিদের কাঠামো ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায়। সেই তখন থেকেই আমাদের গ্রামে এই চার মুসলিম পরিবার থেকে যায়। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সব পরিবার একসঙ্গে মিলেমিশে আমরা এই গ্রামে বাস করি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীরাই চেয়েছে এই মুসলিম পরিবারগুলো যাতে তাদের প্রার্থনার জায়গা পায়। সে জন্যই এক সময় যেখানে মসজিদ ছিল, সেখানেই নতুন করে তাদের জন্য মসজিদ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। পালা সিং বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা আলাপ আলোচনা করে সবকিছু বন্দোবস্ত করি। এরপর সব জাতিধর্ম একসঙ্গে মিলে এই অনুষ্ঠানে সবাই অংশগ্রহণ করে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.