Beanibazarview24.com
‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবিতে যেভাবে যুক্ত হলেন ৮ বাংলাদেশি র্যাপার
The way Bangladeshi rapper got involved in the movie 'Extraction'
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল ছবি মুক্তির পর হইচই ফেলে দিয়েছে নেটফ্লিক্সের হলিউড সিনেমা ‘এক্সট্র্যাকশন’। ছবির প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে জুড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের সিনেপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আকর্ষণ তৈরি করেছে।
ছবিতে বাংলায় ডায়ালগে পরিপূর্ণতা থাকলেও এতে বাংলাদেশি কোনো অভিনেতার ছোঁয়াও নেই। বাংলাভাষী ভারতীয় অভিনেতাদের দিয়েই কাজ সেরে নেয়া হয়েছে।
তবে ছবিতে ব্যবহৃত দুটি গানে ঠাই করে নিয়েছে বাংলাদেশের র্যাপাররা। এসব র্যাপারের কয়েকজনের বাড়ি ঢাকায়। সাভার ও কুমিল্লার দুজন।
গান দুটি হলো- ‘নো বাউন্ডারিস’ ও ‘বাংলা সাইফার ২০১৬’।
এ দুই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন- আসিফুল ইসলাম সোহান, সম্রাট সিজ, গোলাম, ইরফু জি, নিজাম রাব্বি, ভিএক্সএল (ভিশাল), দর্পণ আরভিএস ও ইফতেখার।
গান দুটি কিভাবে ব্যয়বহুল হলিউড সিনেমায় যুক্ত হলো? এ বিষয়ে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির শুরুতে ছবিটির ট্রান্সলেটর কোচ ও হলিউড ছবির অ্যানিমেটর কর্মী ওয়াহিদ ইবনে রেজা ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, কিছু বাংলা র্যাপারকে দরকার।
মূলত নেটফ্লিক্সের এ ছবিতে বাংলা গান রাখার ইচ্ছাটি তারই। নেটফ্লিক্সও ওয়াহিদের ইচ্ছাকে গ্রহণ করে।
এদিকে ওয়াহিদের স্ট্যাটাস নজরে আসে র্যাপার সোহানের। তিনি ওয়াহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোহানের ‘নো বাউন্ডারিস’ গানটি পছন্দ হয় ওয়াহিদের। দেশি হিপহপের শীর্ষ কর্মকর্তা ডিজে হারডিক ডেইভেরও পছন্দ হয় গানটি।
এ গানের পর আরও একটি বাংলা গান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেয় নেটফ্লিক্স।
প্রতিষ্ঠানটি চাচ্ছিল, যেন এ গানটি সোহানের গানের মতোই অরিজিনাল বাংলা ও র্যাপ গান হয়।
আর তেমন একটি গানই হলো ‘সাইফার বাংলা’। গানটি পছন্দ হয় নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষের।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ছবি মুক্তির মাত্র একদিন আগে ‘সাইফার বাংলা’ গানের সদস্যারা জানতে পারেন যে তাদের গান হলিউড সিনেমা এক্সট্র্যাকশনে যুক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে গানটির র্যাপার ভিএক্সএল ওরফে ভিশাল বলেন, ছবি মুক্তির সপ্তাহ খানেক আগে দেশি হিপহপ থেকে র্যাপার নিজাম রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
কিন্তু তার বাসায় নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে সে বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এরপর প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ছবিটি মুক্তির একদিন আগে আমি জানতে পারি, ‘এক্সট্র্যাকশন’-এ আমাদের গান থাকছে। আমরা তাদের পাঠানো চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে দ্রুত হস্তান্তর করি। যখন শুনলাম, গানটি ‘এক্সট্র্যাকশন’ ছবির জন্য যাচ্ছে আমারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.