Beanibazarview24.com
ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা, এরপর পরিণয়। বাংলাদেশি তরুণীর সঙ্গে ইতালির এক পুলিশ কর্মকর্তার। তাদের নাম সুমাইয়ারা ও দোমেনিকো তামবুররিনো। দীর্ঘদিনের প্রেমের ইতি টেনে অবশেষে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ ইতালির কাম্পানিয়া বিভাগের সালের্নো প্রভিন্সের মাইওরি পৌর এলাকায় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ ঘটনাটি ইতালির গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
সুমাইয়ারার পৈতৃক বাড়ি হচ্ছে মাগুরা জেলায় কিন্তু বড় হয়েছেন বাংলাদেশে ঢাকার মালিবাগে।তার বয়স ২৪ বছর এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।দেশে এস এস সি এবং এইচ এস সি শেষ করে ২০১৫ সালে সুমাইয়ারা তার বড়ভাইসহ বাংলাদেশ থেকে আসেন ইতালির রোম শহরে লেখাপড়ার জন্য।তারভাই রোমার তোরবেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে,সুমাইয়ারা তরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন।
তার পরিচয় হয় দমিনিকোয়া সাথে এবং শখ্যতা গড়ে উঠে।অবশেষে দমিনিকো তাকে বিয়ের কথা বললে সুমাইরা বলেন একজন বিধর্মীকে সে বিয়ে করতে পারবেনা।যদি বিয়ে করতে চায় তবে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে হবে তাহলে সুমাইয়ার অভিভাবক কে রাজি করাতে পারবেন অন্যথায় অসম্ভব!
অবশেষে দমিনিকো তামবুররিনো বিয়ের ৬ মাস আগেই নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে আইনগতভাবে যা যা করতে হয় সেসব করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বর দোমেনিকো তার বিখ্যাত বাহিনীর গৌরবের ইউনিফর্ম পরিধান করেন আর লাল রঙের শাড়িতে বাজিমাত করেন বাংলাদেশি বধূ সুমাইয়ারা।
ইতালীয় বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই নবদম্পতি। ইতালীয়-বাংলাদেশি ভিন্ন দুই সংস্কৃতির মেরুতে অবস্থান করেও প্রেমের টানে আপন করে নিলেন দুজনকে।
বর ইতালীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ক্যারাবিনিয়ারির মার্শাল হিসেবে উত্তর-পশ্চিম ইতালির পিয়েমন্তে বিভাগের তুরিন প্রভিন্সে কর্মরত।
স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি নারী ইতালীয় পুলিশকে বিয়ে করে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.