Beanibazarview24.com
ইখলাখ সালমানির হাতে ট্যাটুতে লেখা ছিল ৭৮৬। যা দ্বারা মূলত ‘বিসমিল্লাহ’ বোঝানো হয়। এই ট্যাটুর কারণে ভারতের পানিপথে এই যুবকের হাত কে’টে দিয়েছে ক’ট্টর ধর্মা’ন্ধরা।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে ইখলাখের ভাই বলেন, ‘হাতে উ’ল্কি করে বিসমিল্লাহ লিখেছিল। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি, এই কারণে হাতটাই কে’টে’ ফেলবে ওরা। ও জাতিতে মুসলিম শুনেই ওর হাতটা কে’টে দেয় ওরা।’
২৮ বছর বয়সী ইখলাখ পেশায় নাপিত। লকডাউনে কাজ নেই তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক।
অভিযোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মা’র খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ মা’রের চো’টে দীর্ঘক্ষণ অচৈ’তন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে রক্তা’ক্ত অবস্থাতেই পানি চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্রস্থ অ’ত্যাচারের পালা। প্রাণভি’ক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। ইখলাখকে তুমুল অ’ত্যাচার করে ওই দুই যুবক।
তাদের চোখে পড়ে ইখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। দেখেই ওই দুই যুবক সি’দ্ধান্ত নেয় তার হাত কে’টে দেওয়ার। ইখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধারে। পরদিন জ্ঞান ফিরতে ইখলাখ পথচা’রীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন।
অভিযোগ দা’য়ের করা হয় পানিপথের চাঁদনি বাগ স্টেশনে। ইখলাখের ভাইয়ের বক্তব্য, ‘আমার ভাইয়েক জীবনটা ধ্বং’স হয়ে গেল। ওরা আমার হাতই কা’টেনি। ওর সমস্ত স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
হয়তো কোনোদিনই আর কোনো কাজ করতে পারবে না ও। আমি এর বিচার চাই।’ তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ঘটনার সত্যতা জেনেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার বী’ভৎসতা নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে ও সামাজিক মাধ্যমে।
সূত্রঃ- নিউজ ১৮/ ইন্ডিয়া ডট কম/ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.