Beanibazarview24.com
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খু’ন হন বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ। পুলিশ বাসা থেকে ফাহিমের ক্ষ’ত-বিক্ষ’ত ম’রদেহ উ’দ্ধার করে।
জানা গেছে, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ফাহিম সালেহকে হ’ত্যা করে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিল। পুলিশ সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২১ বছর বয়সী হাসপিল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ফাহিমের আরেক প্রতিষ্ঠান অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটেলে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে ফাহিমের কাছ থেকে সে ৯০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ আ’ত্মসাৎ করেন, যা ফাহিম একটা সময় জানতে পারেন।
কিন্তু তিনি পুলিশকে না জানিয়ে বরং সহকারী হাসপিলকে অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেন। এরপরই এ হ’ত্যাকা’ণ্ডটি ঘটে।
তদন্তকারীরা জানান, ফাহিমকে খু’ন করা হয়েছে সোমবার। আর ম্যানহাটনে ২২ কোটি ডলারে কেনা তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ম’রদেহ পাওয়া যায় পরদিন মঙ্গলবার।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা যায় যে কালো স্যুট এবং কালো মাস্ক পরা একজন ব্যক্তির সঙ্গে একই লিফটে প্রবেশ করেন ফাহিম সালেহ। লিফট ফাহিম সালেহ’র অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়ালে দুজনেই সেখান থেকে বের হয়ে যান।
এরপর ফাহিম সালেহ তার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। তখন সেই ব্যক্তি ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে। এরপর দুজনের মধ্যে ধ’স্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ফাহিমকে হ’ত্যার পর তারই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হাসপিল হ’ত্যার স্থান পরিষ্কার করার জন্য উপকরণ কেনেন। পরদিন তিনি আবার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে মরদেহ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ডে করেন এবং স্থানটি পরিষ্কার করেন।
লিফটের ভেতরে থাকা ক্যামেরায় দেখা গেছে, হ’ত্যাকারী তার অবস্থানের চিহ্ন মু’ছতে ব্যাটারিচালিত একটি পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করেছেন।
-ডেইলি বাংলাদেশ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.