Beanibazarview24.com
সামিউল হক খান।। স্থলপথে কমপক্ষে সাতটি দেশ পাড়ি দিয়ে পৌছাতে হয় পানামার ভয়ঙ্কর জঙ্গলে। পানামা-কলম্বিয়া সীমান্তের ভ.য়ংকর জঙ্গল ‘ড্যারিয়েন গ্যাপ’ পার হয়ে কিছুদুর গেলেই স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
যেখানে ওঁত পেতে থাকে মৃ.ত্যু। দা.লালের প্র.লো.ভনে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ করে বাংলাদেশী তরুণরা এগিয়ে যায় ঐ মৃ.ত্যু.র দিকে। ভা.গ্য.ক্র.মে যারা বেঁচে যান তাদের অনেকেরই ঠাই হয় কা.রাগা.রে। পরম সৌভাগ্যবান কেউ কেউ হয়তো ভ.য়ঙ্কর নিরাপত্তা বেষ্টনি আর উঁচু পাচিল টপকে কোন রকমে পৌঁছাতে পারেন স্বপ্নে.র দেশে।
পানামা-কলম্বিয়া সীমা.ন্তে অবস্থিত ডায়রিয়েন গায়প নামক এ জঙ্গলটিকে মা.রা.ত্মক ভ.য়ঙ্কর হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। বহু মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া জঙ্গলটি পাড়ি দিতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত। প্রতিবছর শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী ৮/১০টি দেশ পাড়ি দিয়ে আমেরিকার সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায়। এরপর সুযোগ বুঝে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকার চেষ্টা চলে। দুর্গম এবং ভ.য়ঙ্কর এই কন্টকাকীর্ণ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ঝরছে বহু অভিবাসন প্রত্যাশীর প্রাণ।
ঝুকিপূর্ণ এই পথে খাবারের অভাবেও অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মৃ.ত্যু.র মুখে ঢলে পড়েন। অস্ট্রেলিয়াসহ বেশকিছু বিদেশী গণমাধ্যমে আসা সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দা.লা.লের প্রলো.ভনে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ করে বাংলাদেশী তরুনরা এগিয়ে যায় ঐ মৃ.ত্যু.র দিকে। নিজ চোখে মৃ.ত্যু.র ভ.য়া.বহতা দেখা এ যুবকরা সবার প্রতি আকুতি জানিয়েছেন, যেন কেউ মৃ.ত্যু.কূ.প ড্যারিয়েন গ্যা.প দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দুঃসাহ.স না দেখায়।
পানামা’র একটি এনজিও’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই বছরে যেসব অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ড্যারিয়েন গ্যা.প পাড়ি দিয়েছেন এর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। বিপ.দসংকুল এই রুটের নানান জায়গায়, অস্থায়ী আবাসগুলোতে দেখা গেছে বাংলা শব্দের অনেক আঁকিবুকি। অনি.শ্চিত পথে পা বাড়ানোর আগে নিজের নাম-পরিচয় লিখে গেছেন এসব বাংলাদেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবছর পানামা’র ড্যারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিতে গিয়ে মা.রা যাচ্ছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এই দুর্গম সড়কের যেখানে সেখানে মানুষের খুলি এবং হাড়গোড়ও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবু স্বপ্নের দেশে পৌঁছাতে মরিয়া হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.