Beanibazarview24.com
ছোট্ট ছোট্ট বোটে বা নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে কয়েক হাজার অ’ভিবাসী পৌঁছেন বৃটেনে। এরপর তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় হোটেলে। কিন্তু হোটেল থেকে তারা পালানোর পর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর এ প্রক্রিয়ায় বৃটেনে গিয়েছেন ১০ হাজার ৫০০ অ’ভিবাসী। ২০২০ সালের তুলনায় এই সংখ্যা দুই হাজার বেশি।
ওদিকে ক্যালে এবং ডানকির্কে আবহাওয়া উন্নত হওয়ার অ’পেক্ষায় রয়েছেন ১৫০০ অ’ভিবাসী। এ খবর দিয়ে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বলছে, এসব অ’ভিবাসী গত এক বছরে বৃটেনে পৌঁছার পর তাদেরকে প্রক্রিয়াকরণ করার আগেই করো’না ভাই’রাস সংক্রমণের জন্য রাখা হয় হোটেলে। কিন্তু সেখান থেকে পালানোর পর তারা এখন নিখোঁজ।
ওদিকে আর কত অ’ভিবাসী এভাবে বৃটেনে প্রবেশ করবেন তা নিয়ে সরকারের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ’ভিবাসীরা বৃটেনে পৌঁছার পর তাদেরকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ১০ দিনের জন্য। সারাদেশে এমন অ’ভিবাসীরা হোটেলের ১০ হাজার বেডে অবস্থান নেন।
জানুয়ারি পর্যন্ত এসব হোটেল অ’ভিবাসীদের জন্য বুকিং করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওদিকে নৌপথে যাওয়া অ’ভিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে যৌথ নৌমহড়ায় চাপের মুখে রয়েছে ফরাসি সরকার। সমুদ্রে এসব অ’ভিবাসীর ঢল বন্ধ করতে এবং বোটে করে অ’ভিবাসীদের ফ্রান্সে প্রবেশ ঠেকাতে যৌথ মহড়ায় বৃটিশ বাহিনীর সঙ্গে যু’ক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ই’মানুয়েল ম্যাক্রনকে।
কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তার কর্মক’র্তারা বলছেন, নৌআইনে তারাই এসব অ’ভিবাসীকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবে। সমুদ্র সৈকতে ২০০ পু’লিশ কর্মক’র্তাকে দায়িত্ব পালনে এবং নজরদারি বাড়াতে ফ্রান্সকে ৫ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড দিয়েছে বৃটেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.