Beanibazarview24.com
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় মাহাদী খান (৩৩) ও মোজাফফর আহমেদ (৪২) নামে দুই বাংলাদেশি মা.রা গেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল দেশটির পোর্ট ক্যাম্বেলার হিল সিক্সটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরো এক বাংলাদেশি আ.হ.তা.বস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
জানা গেছে, পোর্ট ক্যাম্বেলার হিল সিক্সটিতে দাঁড়িয়ে মাছ ধরছিলেন তারা। এ সময় আচমকা সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় মাহাদী পানিতে পড়ে গেলে অপর দুই বন্ধু তাকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
দেশটির এনএসডব্লিউ পুলিশ জানায়, উদ্ধারকারীরা মাহাদী খানকে সিপিআর দেয়ার সময় ঘটনাস্থলেই মা.রা যান তিনি এবং মোজাফফর আহমেদকে গু.রু.তর আ.হ.ত অবস্থায় উলঙ্গং হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃ.ত্যু হয়।
তৃতীয়জন রহমান এখনো হাসপাতালে আছেন। তবে পুলিশ রহমান সম্পর্কে কোনো তথ্য বাংলাদেশি কমিউনিটিকে জানায়নি।
তারা সিডনির ল্যাকেম্বা ও ওয়ালি পার্কের বাসিন্দা। মাহাদী ও মোজাফফর দু’জনই সিডনির ল্যাকেম্বা এলাকায় ব্যবসা করতেন।
স্থানীয় কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, ত্রিশোর্ধ্ব মাহাদী মাছ শিকারের ক্ষেত্রে বড় রকমের আসক্তি ছিল। সপ্তাহে দুই একবার তিনি বিভিন্ন সৈকতে মাছ ধরতে যেতেন। ল্যাকেম্বায় তাদের ‘মাহি হালাল বুচারি শপ’ ও ‘ঘরোয়া কিচেন’ নামে পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে।
মাহাদী গত বছর বিয়ে করেছেন ও তার স্ত্রী জান্নাত বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। করোনার কারণে এখনো সিডনিতে আসেননি। মাহাদী ল্যাকেম্বায় তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার দেশেরবাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহাদীর আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল এবং তিনি সাঁতারও জানতেন না।
চল্লিশোর্ধ মোজাফফর আহমেদ সিডনির ল্যাকেম্বায় ‘ডেইলি শপিং’ গ্রোসারি শপে কাজ করতেন। তিনি সিডনির ওয়ালিপার্কে বসবাস করতেন এবং তার দেশেরবাড়ি ফেনীতে। সে বন্ধু মাহাদীকে রক্ষা করতে যেয়ে ঢেউয়ের কারণে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। মাথায় আঘাত পেয়ে অতিরিক্ত র.ক্ত.ক্ষ.র.ণে তার মৃ.ত্যু হয়।
পুলিশের মাধ্যমে মাহাদীর মৃ.ত্যু.র সংবাদ পাওয়ার পর তার বাবা আকরাম হোসেন হা.র্ট অ্যা.টা.ক করেন।
ম.র.দে.হ দুইটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হ.স্তা.ন্ত.র করার পর তাদের জানাজার সময় জানানো হবে। দুই জনের মৃ.ত্যু.তে সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শো.কে.র ছা.য়া নেমে এসেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.