Beanibazarview24.com
যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য সিলেটে দুটি হোটেল চুড়ান্ত করা হয়েছে। আজকালের মধ্যে আরও ৬টি হোটেল চুড়ান্ত করবে প্রশাসন। এসব হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে প্রতি সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট সিলেট আসে। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ওসমানী বিমানবন্দরে আসে বিমানের এসব ফ্লাইট। যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। তবে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। একারণে বাংলাদেশে নতুন ধরণের করোনা (স্ট্রেইন) ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। যা আজ ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই নির্দেশনা কার্যকরের পর আগামী সোমবার যুক্তরাজ্য থেকে প্রথম ফ্লাইট সিলেট আসবে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা। সিলেটে গত একমাসে যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী এসেছেন। এতে করে সিলেটে স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রেন্টিনের জন্য আমরা হোটেল স্টার স্পেসিফিক ও হোটেল হলি গেইট চুড়ান্ত করেছি। এছাড়া আমরা আরও ৬টি হোটেল আজকালের মধ্যে চুড়ান্ত করা হবে। একসাথে ৬য়শ’ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখার মতো বন্দোবস্ত করা হবে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা প্রবাসীদের এসব হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
জানা যায়, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সভা হয়। সভায় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরডিটিআই ক্যাম্প এবং যাত্রীদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যারা কোয়ারেন্টিনের খরচ দিতে পারবেন না তারা থাকবেন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা সিলেটের শাহপরাণ এলাকার বিআরডিটিআই ক্যাম্পে। যারা টাকা দিয়ে মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে চাইবেন তাদের জন্য সে রকম ব্যবস্থা করা হবে এবং যারা ভালো হোটেলে থাকতে চাইবেন তাদের জন্য ভালো হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে।
গত বুধবার সিলেট মিররকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান এনডিসি। তবে সেদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল নির্ধারণ করা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে জানতে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও কোনো লিখিত নির্দেশনা আসেনি।’
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওসমানী বিমানবন্দরে নিযুক্ত হেলথ টিমের সমন্বয়ক, সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুম মুনির বলেন, যুক্তরাজ্য ফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যপারে কোনো নির্দেশনা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.