Beanibazarview24.com
মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ধা’র না দেওয়ায় খু’ন করা হয় সিলেটের ওসমানীনগরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী রহিমা বেগম আমিনা (৭০) কে। এ ঘটনায় গ্রে’প্তার হওয়া আব্দুল জলিল কালু (৩৯) পুলিশের কাছে এমনটি জানিয়েছেন।
শনিবার (১ আগস্ট) পুলিশের জি’জ্ঞাসাবাদে হ’ত্যার দা’য় স্বী’কার করেন কালু। এরআগে শুক্রবার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলার গোয়ালাবাজারের হেলাল ভিলা (করনসী রোড) থেকে তাকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে নিজ বাসার বা’থরুম থেকে উ’দ্ধার করা হয় রহিমা বেগমের গ’লাকা’টা ‘লা’শ।
গ্রে’প্তার হওয়া আব্দুল জলিল কালু উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নগরীকাপন গ্রামের মৃ’ত আব্দুল কাছিমের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গোয়ালাবাজারের করনসী রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করছেন।
লা’শ উ’দ্ধারের পর থেকে জ’ড়িতদের ধরতে তৎ’পর হয়ে উঠে পুলিশ। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলামের ত’ত্ত্বাবধানে ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিকের নেতৃত্বে এসআই সুজিত চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি চৌকষ দল শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জনকে জি’জ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে শুক্রবার দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে গোয়ালাবাজারস্থ হেলাল ভিলা (করনসী রোড) থেকে আব্দুল জলিল কালুকে গ্রে’প্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রে’প্তারের পর দীর্ঘ জি’জ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কালু তাকে ৫ হাজার টাকা ধার না দেওয়ায় রহিমা বেগমকে গ’লা কে’টে হ’ত্যার কথা স্বী’কার করেন। এরপর শনিবার (১ আগস্ট) পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমের খো’য়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও ২৮ জুলাই বিকেল ৫ টার দিকে এ হ’ত্যাকা’ণ্ডে ব্যবহৃত ব’টি দা নিহ’তের রান্না ঘর থেকে উ’দ্ধার করে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, আসামি আব্দুল জলিল কালু জি’জ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, টাকা ধার না দেওয়ার প্র’তিশো’ধ হিসেবে তিনি একাই প্রবাসী মহিলাকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করেছেন। ইতোমধ্যে খুনের আলামত জ’ব্দ করা হয়েছে। গ্রে’প্তারকৃত আসামি ২০০৭ সালের গোয়ালাবাজারের একটি হ’ত্যা মাম’লারও আ’সামি। তিনি একাধিক খু’নসহ চু’রি, ডা’কাতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।’
ওসমানীনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের মৃ’ত আখলু মিয়ার স্ত্রী প্রবাসী রহিমা বেগমের চার সন্তানসহ পুরো পরিবার যুক্তরাজ্যে থাকেন। রহিমা বেগম এক বছর ধরে গোয়ালাবাজারের করনসী রোডে নিজস্ব বাসায় এ’কা থাকতেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেল থেকে ব’ন্ধ থাকায় দেশে থাকা আত্মীয়রা বৃহস্পতিবার রাতে রহিমা বেগমের বাসাটি তা’লব’দ্ধ দেখতে পান। পরে গভীর রাতে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে গেইট ও দরজার তা’লা ভে’ঙে ঘরে প্র’বেশ করে বাথরুমে রহিমা বেগমের গ’লা কা’টা র’ক্তা’ক্ত লা’শ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ সময় রহিমা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁ’জে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সিলেটের পুলিম সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে নিহ’তের লা’শ ময়’না ত’দন্তের জন্য ম’র্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন নিহ’ত রহিমার ছোট ভাই উপজেলার ধিরারাই গ্রামের আব্দুল কাদির।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.