Beanibazarview24.com






মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজে’লার পশ্চিম-দক্ষিণভাগ গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যানচালক আব্দুল হান্নান ও গৃহিণী মমতাজ বেগম ময়নার মে’য়ে মেধাবী বুশরা আক্তার বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে আনন্দের চেয়ে অর্থাভাবে ভর্তি হতে না পারার দুশ্চিন্তায় ভুগছে সে ও তার মা-বাবা।




বুশরার মেডিকেলে ভর্তির সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে না আসলে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের এখানেই ইতি ঘটবে।
জানা গেছে, বাবা-মায়ের চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে বেড়ে উঠা বুশরা আক্তারের। অদম্য মেধার কারণেই পারিবারিক প্রতিকূলতার মধ্যেও পড়াশুনায় সে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে থাকে। টেলেন্টপুলে প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি অর্জন করেছে। লেখাপড়ায় জেদ ধ’রায় অভাব অনটনের মধ্যেও মা-বাবা তার পড়াশুনা বন্ধ করেননি।
২০১৮ সালে দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে জুড়ী টিএন খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয় বুশরা। ২০২০ সালে এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে বেসরকারিতে ভর্তির চান্স পায়। কিন্তু দরিদ্র মা-বাবার পক্ষে ভর্তির এত অর্থ জোগান দেওয়া কোনোমতেই সম্ভব নয়।
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আনন্দিত হওয়ার চেয়ে অর্থাভাবে ভর্তি না হওয়ার দুশ্চিন্তায় ভুগছে হতদরিদ্র পরিবারের মে’য়ে মেধাবী ছা’ত্রী বুশরা আক্তার। সে জানায় আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এখন চান্স পেয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে। দারিদ্র্যের বাধা অ’তিক্রম করে মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় করা মা-বাবার পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বুশরা আক্তার সমাজের বিত্তবান ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কা’মনা করেছে।
বুশরার মা মমতাজ বেগম জানান, পড়ার প্রতি মে’য়ের প্রচণ্ড ঝোঁকের কারণেই অর্থক’ষ্টের মধ্যেও তার পড়াশুনা বন্ধ করেননি। এসএসসি পাশের পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যায়। এখন ভর্তির চান্স পেয়েছে। তার বাবার একটি ভ্যান গাড়ি ও ৫ শতাংশ বসতবাড়ি ছাড়া আর কোনো সম্বল নেই। এগুলো বিক্রি করেও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মে’য়েকে ভর্তি করাতে পারবো না। তিনি তার মে’য়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবান ও কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.