Beanibazarview24.com






মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ফ্রান্সের সিনেটে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জনসম্মুখে হিজাব পরিধান নিষেধাজ্ঞা আরোপে তা অনুষ্ঠিত হয়।
সিনেটের ভোটগ্রহণে জনসম্মুখে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষেধের পাশাপাশি পাবলিক সুইমিং পুলে বুরকিনি ও স্কুলে আনা-নেওয়ায় শিশুদের সঙ্গে থাকা নারীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়।
তবে শুধুমাত্র ভোট গ্রহণের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আইন হিসেবে সাবস্ত না হলেও তা সিনেটের উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটাবে। এবং তা আইন হওয়ার জন্য দেশটির ন্যাশনাল এসেম্বলিতে পাশ হতে হবে।
ডানপন্থী সিনেট সদস্য ব্রুনো রিটেইলিও বলেন, ‘যখনই আমরা ওড়না ও হিজাবে বিষয়ে কোনো কঠোর প্রস্তাবের চেষ্টা করেছি সরকার পিছিয়ে পড়েছে। হিজাব বা ওড়না যৌনবাদি, নারীর আনুগত্যের চিহ্ন ও ইসলামের বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রতীক।’
এর আগে ফরাসি সরকার ঘোষিত প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধ বিলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হিজাব নিষেধাজ্ঞায় ভোট গ্রহণ করা হয়। নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেওয়া ফরাসি সিনেট সদস্যরা মনে করেন, প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের বিলটি শিশুদের স্পষ্ট ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ ও পুরুষের চেয়ে নারীর নিচুতা প্রকাশ করে এ ধরনের যেকোনো পোশাক জনসম্মুখে পরায় বারণ করে।
আগে থেকেই ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আছে। এর আগে হিজাব ফরাসি নাগরিক শিষ্টাচারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাঁখো। তবে হিজাব নিষেধাজ্ঞা আরোপে কোনো আইন করতে চান না বলে জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্রান্সের নতুন আইন দেশটির মুসলিমদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বৈষম্যের পথকে আরো বিস্তৃত করবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় গবেষক মার্কো পেরোলিনি এক বিবৃতিতে জানান, ফ্রান্সের সিনেটে প্রস্তাবিত আইনটি অধিকার ও স্বাধীনতায় মারত্মকভাবে হস্তক্ষেপ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র্রের অলিম্পিক ফেন্সার ইবতিহাজ মুহাম্মদ ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে লিখেন, ‘এমনটি ওই সময়ও ঘটে যখন আপনি ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী ঘৃণাত্মক বক্তব্য, পক্ষপাত, বৈষম্য, ঘৃণা ও ইসলামফোবিয়াকে লিখিত আইন হিসেবে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবেন।’
সূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.