Beanibazarview24.com
সিলেটের কানাইঘাটের একটি ভিডিও শনিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায় কয়েকজন নারী লা.ঠিসো.টা নিয়ে একটি টিনের ঘর ভাঙছেন। উ.ত্তেজিত হয়ে গা.লাগা.লিও করছেন তারা। তিনজন নারী ও এক তরুণ মিলে এই ভাং.চুর করছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক লোক দাঁড়িয়ে এমন ভাং.চুর দেখলেও বাধা দিচ্ছেন না কেউ। বরং সবার সামনেই পুরো ঘরটি একেবারে তছনছ করে দেন তারা। ঝাজড়া করে দেন টিনের বেড়া। এমনকি বাড়ির সামনের গাছপালাও কেটে দেন।
আসলে কী ঘটেছিলো সেখানে? কবেবার ঘটনা এটি? কেনো এতো মারমূখী হয়ে উঠেছিলেন এই নারীরা?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলের। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষিপাশা পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের দায়ে শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রে.প্তা.র করেছে পুলিশ।
কাড়াবাল্লা গ্রামের সালেহা বেগম নিজের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই ভা.ঙ.চুর চালান বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাড়াবাল্লা গ্রামের মইনুদ্দিন লুকু ও সালেহা বেগমের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জায়গায় একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন মইনুদ্দিন লুকু। এরপর দুপক্ষের মধ্যে উ.ত্তেজনা দেখা দেয়।
শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে সালেহা বেগম ও তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে দেশিয় অ.স্ত্রশ.স্ত্র নিয়ে ঘরটি ভে.ঙে দেন। এই ভা.ঙচুরের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, শুক্রবার শেষ বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরই খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শনিবার সকালে মইনুদ্দিন লুকু বাদি হয়ে সালেহা বেগমকে প্রধান আসামি করে মাম.লা দা.য়ের করেছেন। মাম.লায় আরও ৫/৬ জনকে আ.সামি করা হয়েছে। মামলা নং-১১।
তিনি বলেন, মামলা দায়ে.রের পর শনিবার দুপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেলাহে বেগমসহ তার পরিবারের ৬ জনকে গ্রে.প্তার করে। গ্রে.প্তারকৃত অন্যরা হলেন, নাজমিন বেগম, নাসির উদ্দিন, সুমি বেগম, সুহাদা বেগম, রহিমা বেগম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.