Beanibazarview24.com






কেউই অলস হয়ে থাকতে পছন্দ করেন না। কিন্তু তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেই অলসতা চলে আসে। যার কারণে শীতকালে অলসতা বেশি কাজ করে। সব কাজকেই অনেক কঠিন মনে হয়। গোসল থেকে শুরু করে প্রতিদিনের কাজে বের হওয়া সব কিছুই বিশাল কাজ মনে হয়। কিন্তু কাজ থেকে তো মুক্তি নেই। তাই বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খেয়ে অলসতা দূর করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫ খাবার খেলে তা অলসতা দূর করতে সাহায্য করে-




বাদাম
শীতে নাস্তা হিসেবে বাদাম সেরা। রান্না করার কোনো ঝামেলাও নেই। আপনার পছন্দের বাদাম নিন এবং তাৎক্ষণিক ক্ষুধা মিটিয়ে ফেলুন। চিনা বাদাম, আখরোট, কাজু এবং পেস্তার মতো বাদাম সব বাড়িতেই পাওয়া যায়। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রচুর প্রোটিন সরবরাহ করে। যা আপনার এনার্জি বাড়িয়ে অলসতা দূর করতে সাহায্য করবে।




খেজুরের মিল্কশেক
এই মিল্কশেক আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবে এবং শরীরকে উষ্ণ করে তুলবে। পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ। যা শরীরে শক্তি প্রদান করে প্রাণশক্তি বাড়িয়ে দেয়।




মৌসুমি ফল
শীতকালে শুধু শাক নয়, পাওয়া যায় প্রচুর ফলও। যা আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আঙ্গুরের মতো ফলগুলো বেছে নিতে পারেন। এ জাতীয় ফল আপনাকে বাড়তি শক্তি দেবে, দূর করবে অলসতাও।




ডিম
প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থের জন্য ভালো। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি-৩ এর মতো পুষ্টি উপাদান। ডিম দিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন মজাদার রেসিপিও যা আপনি সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। সব বয়সীর জন্যই ডিম হতে পারে একটি উপকারী খাবার। শুধু শীতকালে নয়, সারা বছরই এটি খাবারের তালিকায় রাখুন।




মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। মাত্র ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলু থেকে পাওয়া যায় ১০৯ কিলোক্যালরি শক্তি এবং ২৪ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট। শীতকালে যেহেতু এটি প্রচুর পাওয়া যায় তাই এটি আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকম খাবারও খেতে পারেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.