Beanibazarview24.com
বেলাল; প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক। পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন, তৈরিও হয়। কিন্তু সেই পাসপোর্ট এখনও হাতে পাননি বেলাল! হতাশ, তিনি এখন কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন? ভেবে পাচ্ছেন না এই প্রবাসী বাংলাদেশি।
অবাক করার মতো ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে। পাসপোর্ট সমস্যার সমাধানে হাইকমিশনের কর্তাদের টেবিলে টেবিলে ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগী বেলাল।
বারবার যাওয়ায় বিরক্ত হন হাইকমিশনের খোদ কর্তারা। তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় হতাশ এই প্রবাসী বাংলাদেশি। পাসপোর্ট না থাকায় ওয়ার্ক পারমিটও নবায়ন করতে পারেননি।
ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে না পারায় তার নাম উঠেছে অবৈধ প্রবাসীর খাতায়। এরই মধ্যে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে মালয়েশিয়া পুলিশ তাকে আটকও করে।
এক রাত থাকার পর ১২০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা) ঘুষ দিয়ে ছাড়িয়ে নেন তার চাকরিদাতা।
কিন্তু এভাবে কয়দিন চলবেন? আবার বেশি দিন অবৈধ থেকে গেলে নতুন করে নবায়ন করতে জটিলতায় পড়তে হবে তাকে। এসব জটিলতার কথা পাসপোর্ট উইংয়ের সবারই জানা।
কিন্তু এই প্রবাসীর পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। উল্টো তাকে শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়োজিত সেই কর্মকর্তারাই হাইকমিশন থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী বেলাল জাগো নিউজকে জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন জমা দেন (এনরোলমেন্ট নম্বর MYS20000051…)। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য তাকে সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয় চলতি বছরের ২৫ মার্চ।
এরই মাঝে করোনা সংক্রমণরোধে মালয়েশিয়া সরকার চলাচলে জারি করে বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধে দূতাবাস অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে পোস্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে নোটিশ জারি করা হয়। অনলাইনে আবেদন করতে গেলেই উপরে উল্লিখিত এনরোলমেন্ট নম্বরে আসে মোহাসিন মিয়া নামে আরেকজনের নাম।
কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে বেলাল তার নিয়োগকর্তাকে বিষয়টি অভিহিত করেন। নিয়োগকর্তা তার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বেলালের পাসপোর্ট পেতে হাইকমিশনে লিখিত আবেদন করেন। আবেদন করেও পাসপোর্ট এখনও মেলেনি। সরাসরি হাইকমিশনে গিয়ে বিষয়টি অভিহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
অনেকটা অপমান করে তাকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী। তিনি বলেন, চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। অনেক টাকা গচ্চা গেছে কিন্তু পাসপোর্ট পাইনি। আবার অবৈধ হয়ে গেছি। এখন পুলিশের হাতে পড়লে আর রক্ষা নাই জেলে পচতে হবে। তারপর দেশে ফেরত। রঙিন স্বপ্ন এখন ধূসর হয়ে গেছে।
‘হাইকমিশনের লোকজন প্রবাসীদের মানুষ বলেই মনে করেন না। আমাদের তারা গরু-ছাগল মনে করেন। সেভাবেই আচরণ করেন,’ যোগ করেন বেলাল।
প্রবাসী বেলালের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পাসপোর্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা দূতালয় প্রধান রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
-আহমাদুল কবির, জাগোনিউজ২৪.কম
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.