Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

কিডনিতে পাথর কেন হয়? উপসর্গ এবং চিকিৎসাই বা কী


শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। এই অঙ্গের প্রধান এবং মারাত্মক একটি সমস্যা পাথর জমা। সাধারণত কোনো বিশেষ প্রকৃতির খনিজ পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে কিডনিতে জমতে থাকলে তা পাথরের আকার নেয়। এর থেকেই কিডনির স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিডনিতে জমা পাথর আকারে বড় হতে থাকে। এর ফলে কিডনি ফুলে যায়। এমনকি কিডনি নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

কিডনিতে পাথর কেন হয়?
মূলত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, বেশি ওজন ও দিনের পর দিন কম চলাফেরা থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত তুলসীপাতা, আঙুর, আপেল খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে সমস্যা গুরুতর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনিতে পাথর কাদের হয়?

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের কিডনিতে পাথর হয়। তবে শিশু ও কিশোরদেরও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস, মেটাবলিক ডিসঅর্ডার ও অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রতিদিনকার খাওয়াদাওয়ার উপরেও এই রোগ নির্ভর করে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বেশিরভাগ তেলেভাজা ও ফাস্টফুডেই লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। একইসঙ্গে পানি কম খেলে এই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে।

কিডনিতে পাথর হলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়
কিডনির পাথর যতক্ষণ না এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরছে ততক্ষণ সেভাবে ব্যথা বা উপসর্গ বোঝা যায় না। ছোট পাথর মূত্রনালি দিয়ে সহজেই বের হয়ে যায়। তবে বড় পাথর মূত্রনালিতে আটকে তীব্র ব্যথার কারণ হয়।

এই অবস্থায় হঠাৎ করেই পেটে বা কোমরের একদিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। কিডনি ফুলে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ব্যথা কমেও যেতে পারে। কিন্তু এমন ব্যথা হলে মোটেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। ব্যথার পাশাপাশি মূত্রের বর্ণ পাল্টে যেতে পারে। জ্বর, বমি ও মাথাব্যথার উপসর্গও দেখা দিতে পারে।

কিডনিতে পাথর হলে চিকিৎসা কী?
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিডনি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিডনি থেকে পাথর বের করতে চিকিৎসক প্রথমে সিটি স্ক্যান ও ইমেজিং পরীক্ষা করে এটির আকার দেখে নেন। এরপর কোন ধরনের অস্ত্রপচার জরুরি তা সিদ্ধান্ত নেন।

পাথরের আকার ছোট হলে রোগীকে ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রচুর পানি খাইয়ে পাথরটিকে মূত্রনালি দিয়ে বের করা হয়।

এছাড়া চিকিৎসক আলফাব্লকার দিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন, যাতে পাথরটি আরও সহজে বেরিয়ে যায়। এর পাশাপাশি সোডা ও লবণ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়। পাথরের আকার বড় হলে সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকরা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.