Beanibazarview24.com






গত বছরের জানুয়ারিতে উচ্চতর পড়ালেখার উদ্দেশ্যে কানাডায় যান বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আরিয়ান আলম দীপ্ত (২১)। সেখানে হামবার্গ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মাসখানেক আগে ক্লাসও শুরু হয়েছিল তার। এর মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বন্ধুরা মিলে দীপ্তর জন্মদিন পালন করে। কিন্তু জন্মদিনের একদিন পর বন্ধুরাসহ গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বের হওয়াই কাল হলো দীপ্তর।




কানাডার টরন্টোয় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ম.র্মান্তি.ক সড়ক দুর্ঘ.টনায় দিপ্তসহ তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃ.ত্যু হয়। চার ভাই-বোনের মধ্যে দীপ্ত ছোট। তার এমন মর্মা.ন্তিক মৃ.ত্যু পরিবারের কেউ মানতে পারছেন না। দী.প্তর বোন অনন্যা আহসান দোলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বারবার বলছিলেন, তোমরা ওকে কেন বিদেশে যেতে দিলে? ওকে আটকালে তো আর এমন কিছু ঘটত না। আমি আর কোনোদিন ওকে দেখতে পাব না।




রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় দীপ্তর বাসায় গিয়ে এমন বেদনাবিধুর দৃশ্য দেখা গেছে। শুধু অনন্যা দোলাই নয়, দীপ্তর মা রেজিনা সুলতানাকেও অঝোরে কাঁ.দতে দেখা গেছে। একটু পর পর তিনি বলছিলেন, দীপ্ত কোথায়? ওর কিছু হতে পারে না।
দীপ্তর বাবা এ টি এম আলমগীর জানান, দীপ্তর সঙ্গে শেষবার জন্মদিনে কথা হয়েছিল। সেদিন ক্লাস করেছিল সে। তখন কি আর জানতাম এটাই শেষ কথা।
এদিকে চার বন্ধুর মধ্যে তিনজনের মৃ.ত্যু হলেও গু.রু.তর আহ.ত. হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার।
উল্লেখ্য, জন্মদিন উপলক্ষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চার বন্ধু মিলে বেড়াতে হন দীপ্ত। এ সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার। কিন্তু এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে ওঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় হাইওয়ের রেলিংয়ে ধা.ক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে। এ সময় নিবিড়ের সঙ্গে থাকা দীপ্তসহ তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃ.ত্যু হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.