Beanibazarview24.com
অপ্রয়োজনীয় নানা খরচকে আড়াল করে বন্যার্তদের সহায়তায় কোরবানির টাকা দান করতে যারা উদ্বুদ্ধ করে তাদের জবাব দিয়েছেন জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের নামে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা, ফূর্তির নামে কনসার্ট আর ডিজে পার্টি এবং ঈদ উদযাপনের নামে নানা অপচয় ইত্যাদিতে কী পরিমাণ টাকা আমরা ব্যয় করি? কই, সেসব বন্ধ করে বন্যার্তদের টাকা দেওয়ার কথা তো কেউ বলে না!
তিনি আরো বলেন, কোরবানি করা এবং বন্যার্তদের দান করা দুটি স্বতন্ত্র ইবাদত। এক ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ইবাদত বন্ধ করতে হয় না। কোরবানি করে যদি বন্যার্তদের মধ্যে বিলানো যায়, তা ক্ষেত্রবিশেষে বেশি কল্যাণকর হতে পারে। কারণ তাতে দুটি লক্ষ্যই অর্জিত হয়।
ঢাকা মেইলের পাঠকদের জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
কুরবানীর টাকা-ই কেন বন্যার্তদের দিতে হবে? অনুষ্ঠানের নামে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা, ফূর্তির নামে কনসার্ট আর ডিজে পার্টি এবং ঈদ উদযাপনের নামে নানা অপচয় ইত্যাদিতে কী পরিমাণ টাকা আমরা ব্যয় করি? কৈ, সেসব বন্ধ করে বন্যার্তদের টাকা দেওয়ার কথা তো কেউ বলে না!
মূলত কুরবানীর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি খোদ গরিব মানুষেরা। পশু পালনকারী কৃষকের আয় এবং অনেক অভাবী মানুষের পুষ্টির সবচেয়ে বেশি যোগান হয় কুরবানী থেকে। সুতরাং কুরবানী না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেসব দরিদ্র মানুষ।
দ্বিতীয়ত যে বাঁধতে জানে, সে রাঁধতেও জানে। বাস্তবতা হলো— যিনি কুরবানী করেন, তিনি অভাবী মানুষকে নগদ দানও করেন, অসহায় মানুষকে নানাভাবে সহায়তাও করেন। কারণ কুরবানীর নির্দেশ যিনি দিয়েছেন, সেই মহান সত্তা অভাবী মানুষকে খাদ্য দান, নগদ সহায়তা এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন। সুতরাং একজন মুসলিমকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবার জন্য কুরবানী বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না।
কুরবানী করা এবং বন্যার্তদের দান করা দু’টি স্বতন্ত্র ইবাদত। এক ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ইবাদত বন্ধ করতে হয় না। অবশ্য কুরবানী করে যদি বন্যার্তদের মধ্যে বিলানো যায়, তা ক্ষেত্রবিশেষ বেশি কল্যাণকর হতে পারে। কারণ তাতে দু’টি লক্ষ্যই অর্জিত হয়।
আমাদের দেশের অনেক বিত্তবান মানুষ একাধিক বা বহু পশু কুরবানী করেন। পরিস্থিতি সাপেক্ষে একটি মাত্র কুরবানী করে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো অধিক উত্তম। আর অপচয় এবং হারাম পথে ব্যয় না করে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো কেবল উত্তম নয়, অবশ্য-কর্তব্যও বটে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.