Beanibazarview24.com






সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজে’লার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অসহায় কৃষক আব্দুল হকের স্ত্রী’ সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় ৬ মাস ধরে নি’খোঁজ রয়েছেন। এ অবস্থায় বারবার দালালের কাছে সহায়তা চাইলেও সন্ধান পাচ্ছে না তার পরিবার।
অবশেষে আজ রোববার (৯ মে) ওই নারীর সন্ধান পেতে উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা বরাবরে সন্ধান পেতে সাহায্যের আবেদন করেছে পরিবারটি।
দরখাস্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজে’লার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে সোনাফর আলীর ছে’লে আমির উদ্দিনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সৌদিআরবে পাড়ি জমান রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী’ মোছা. নাজমা বেগম (৩৬)। পরবর্তীতে প্রায় দুই তিন মাস পরপর বাড়িতে যোগাযোগ করলেও গত ৬ মাস ধরে পরিবারের সাথে নাজমা বেগমের কোন যোগাযোগ নেই।
গত ৬ মাস ধরে একবারে যোগাযোগ না করায় অসহায় হয়ে আমির উদ্দিনের সাথে দেখা করে স্ত্রী’কে দেশে ফিরিয়ে আনতে ৩০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা নিয়ে তার স্ত্রী’কে দেশে আনেনি আমির উদ্দিন।
এ ব্যাপারে আব্দুল হক বলেন, ‘আমি দালাল আমির উদ্দিনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আমা’র স্ত্রী’কে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলাম। আমা’র ঘরে ২টি মে’য়ে রয়েছে। আমি কৃষক মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রত্যেক দিন কাজ করে বাড়ীতে ফিরে আসলে আমা’র মে’য়েদের কা’ন্নায় ঘরে থাকতে পারি না। এখন আমি অসহায় হয়ে গেছি। উপজে’লা প্রশাসনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আমা’র স্ত্রী’কে খোঁজ নিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।’
এ বিষয়ে আমির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমা’র মাধ্যমে মোছা. নাজমা বেগম সৌদি আরব গিয়েছিল। প্রায় ১৮ মাস বাড়িতে বেতনও দিয়েছেন। পরে মালিকের সাথে ঝগড়া করে কাজ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হ্যাঁ, তারা আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। দ্রুত দেশে আনার জন্য কিন্তু অল্প সময়ে ভিতরে দেশে না আনতে পারায় আবার তাদের টাকা তার বোনের জামাই আব্দুল মালিকে মাধ্যমে ফেরত দিয়েছি। আমা’র উপর আনিত অ’ভিযোগ মিথ্যা।’
আমির উদ্দিন বলেন- ‘আমি এখনো চেষ্টায় আছি মহিলাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। লকডাউনের জন্য পুরোপুরি কাজ করতে পারছি না, চেষ্টায় আছি।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.