Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

বহিষ্কারের আদেশ থাকলে ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন নয়


বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একের পর এক অভিবাসনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অতীতে বহিষ্কারের আদেশ ছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমতিসহ অস্থায়ীভাবে তারা ছাড়া পেয়েছিলেন—এমন অভিবাসীদের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ আর নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

১৭ নভেম্বর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, ‘ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করলে ওই অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যেতে উৎসাহিত হবে।’

যেসব অভিবাসীর নামে এই মুহূর্তে বহিষ্কারের আদেশ রয়েছে, তাদের দেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ভ্রমণের নথিপত্র হাতে পাওয়া পর্যন্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের গতিবিধি তদারকি করবে। তবে তারা এই প্রক্রিয়া চলাকালে ‘ওয়ার্ক পারমিট’ সুবিধা পাবেন। সে ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, তাদের সময়ে সময়ে ইমিগ্রেশন অফিসে হাজিরা দিতে হবে। নিজ নিজ দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেতে অভিবাসন অফিসকে সহযোগিতা করতে হবে।

বিতর্কিত এইচ১বি গেস্ট ওয়ার্ক প্রোগ্রামেও ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রোগ্রামের আওতায়, যাদের কাজের অনুমতি ছিল, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাও এখন বন্ধ হতে যাচ্ছে। যদি প্রমাণিত হয়, কোনো অভিবাসীর বহিষ্কার অসাধ্য, ভ্রমণ ডকুমেন্ট যাদের পাওয়া সম্ভব নয় ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে তাদের নিয়োগদাতাদের ‘ই-ভ্যারিফাই ওয়ার্ক পারমিট’ প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে।

যেসব অভিবাসীর নামে বহিষ্কারের চূড়ান্ত আদেশ ঝুলছে এবং অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ছাড়া পেয়ে বসবাস করছেন, তারা নজরদারিতে থাকলেও বিবেচনামূলক ওয়ার্ক পারমিট পাচ্ছিলেন। এখন সেটি আর পাচ্ছেন না। তবে এ ক্ষেত্রে যাদের ভ্রমণ ডকুমেন্ট নেই, তাদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অনুরোধ সত্ত্বেও অনেক দেশ তাদের অভিবাসীদের জন্য ভ্রমণ ডকুমেন্ট ইস্যু করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সে সব অভিবাসীর ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন আগের মতো অব্যাহত থাকবে বলে নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, বহিষ্কারের চূড়ান্ত নির্দেশ পাওয়ার পর অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক-কর্মীদের স্বার্থ রক্ষ করতে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হার্ড লাইনে যাওয়ার আরেক লক্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মক্ষম জনসংখ্যা সীমিত রাখাও এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য।

ইমিগ্রেশন বিভাগের নীতি নির্ধারণ বিষয়ক উপপরিচালক জোসেফ এডলো এক বিবৃতিতে বলেন, যেসব অভিবাসীকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাদের কাজের বৈধতা দেওয়া হবে আইনের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। এতে বিভাগটির আইন প্রয়োগে দুর্বলতা দেখা দেবে। ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন অব্যাহত থাকলে, এসব অভিবাসী নিজ দেশে ফেরত যেতে প্রয়োজনীয় ভ্রমণ ডকুমেন্ট সংগ্রহে অর্থনৈতিক কারণে অসহযোগিতা করবে।

ইমিগ্রেশনের নতুন এই পরিবর্তন নিয়ে কথা হয় অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ সময়ে এমন প্রয়াস বেশ কিছু অভিবাসীর ওপর প্রভাব ফেলবে। এ নিয়ে এখনই আতঙ্কিত না হয়ে ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পরিবর্তন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি।

অ্যাটর্নি মঈন আশা প্রকাশ করেন, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক আদেশই পাল্টে দেবে।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.