Beanibazarview24.com
ইউরোপের স্বপ্নে লিবিয়ার পাড়ি জমিয়েছিলেন বিয়ানীবাজারের তরুণ আমিনুল ইসলাম (২২)। তবে তার ইউরোপের স্বপ্ন পূরন হয়নি, লিবিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে সে। নিহত আমিনুল বিয়ানীবাজার উপজেলার খশির আব্দুলাহপুর শাজিপারা এলাকার আলা উদ্দিন এবং সুফিয়া বেগম দম্পতির ছেলে।
সরেজমিনে তার বাড়িতে গেলে স্বজনরা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪/৫ দিন পূর্বে লিবিয়ার জেলে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আমিনুলের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর তারিখ পরিবারের কেউ সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। পরিবারের দাবী আমিনুলের মৃত্যুর কথা তারা নিশ্চিত হয়েছেন রোববার লিবিয়ায় অবস্থানরত বিয়ানীবাজার উপজেলার আরেক যুবকের মাধ্যমে।
নিহত আমিনুলের স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়, বছর খানেক আগে আমিনুল ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নে দালালের মাধমে পাড়ি জমিয়েছিলেন লিবিয়ায়। সেখানে ইতালিতে যাওয়ার জন্য গত ৩ মাস পূর্বে গেইমে উঠার সময় তিনি লিবিয়ার পুলিশের কাছে আটক হন। তখন থেকে তিনি দীর্ঘ ৩ মাস পরিবারের কাছে নিখোঁজ ছিলেন।
পরিবারের সাথে ছিল না কোন যোগাযোগ। রোববার (২ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় পরিবারের স্বজনদের কাছে লিবিয়ায় অবস্থানরত বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের এক যুবক জানান আমিনুল মৃত্যুবরণ করেছেন। ৪/৫ দিন পূর্বে লিবিয়ার জেল থেকে কয়েকজন পালাতে চাইলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। সেই গুলিতে নিহত হন আমিনুল (২২)। পরিবারের সদস্যরা বলছেন সেই যুবকের দাবী নিহত আমিনুল (২২) কে লিবিয়ায় দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, পরিবারের বড় ছেলের এমন করুণ মৃত্যুর কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন সুফিয়া বেগম। পাগলপ্রায় মাকে কোনভাবে যেন থামানো যাচ্ছে না। পাশে থাকা অনেকেই স্বান্ত্বনা দেওয়ারও যেন সাহস খুঁজে পাচ্ছেন না।
আমিনুলের চাচাত ভাই জিয়াউর রহমান জানান, আমাদের সেখান থেকে জানানো হয়েছে সে মারা গেছে, তবে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি তার মৃত্যুর খবর পাইনি। আমরা চেষ্টা করছি লিবিয়াস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের মাধ্যমে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.