Monday, August 25, 2025
Home Blog Page 5

এক দুর্ঘটনায় মা-স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ স্বজনকে হারালেন প্রবাসী বাহার

ফেসবুকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ স্ট্যাটাস দিয়ে আড়াই বছর পর ওমান থেকে দেশে ফিরছিলেন বাহার উদ্দিন। তবে তার সেই আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সাত সদস্যকে হারিয়েছেন তিনি।

বাহার উদ্দিন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামের কাশারি বাড়ির বাসিন্দা। সড়ক দুর্ঘটনায় মা, নানি, স্ত্রী, সন্তানসহ বাহারের সাত স্বজন মারা গেছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাহার উদ্দিনকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ববাজারের জগদিশপুর এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে তারা মারা যান। এতে বাহার উদ্দিন বাড়ি ফিরলেন ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে নিলেন দুঃস্বপ্নের ভয়াবহ স্মৃতি।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন ওমান প্রবাসী বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানি ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯) ও লামিয়া আক্তার (৮) এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় বেঁচে যান বাহার উদ্দিন, তার বাবা আব্দুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মির্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ।

বুধবার দুপুরে বাহার উদ্দিনের চৌপল্লি গ্রামের বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। একসঙ্গে সাতটি মরদেহ দেখে বাড়ির লোকজন, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। বাড়ির অদুরে একসঙ্গে খোঁড়া হচ্ছে সাতটি কবর।

প্রতিবেশী মো. গোফরান জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘বাহার উদ্দিন খুবই ভালো ছেলে। সবার সঙ্গে হাসিখুশি নিয়ে চলাচল করে। সে পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল। তার আগমনকে উপলক্ষ করে পরিবারের সবাই ঢাকা গেলো। তার বাড়িতে আজ আনন্দের পরিবর্তে কঠিন শোকাচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এটা সত্যিই কষ্টের।’

বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন ও তার বাবা আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে জানান, ঘুম চোখে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিলেন রাসেল। বারবার বলা সত্ত্বেও গাড়ি থামিয়ে সামান্যও বিশ্রাম নেননি তিনি। এর আগে কুমিল্লায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসেন। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগেই ঘুমন্ত চালক গাড়িটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেন। গাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে ডোবেনি, ধীরে ধীরে ডুবছিল। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও খুলে দেননি। তবে তিনি নিজে গাড়ির কাচ নামিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যান। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেননি।
এক দুর্ঘটনায় মা-স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ স্বজনকে হারালেন প্রবাসী বাহার
বাহার উদ্দিনের আত্মীয় মো. সুমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আড়াই বছর পর বাহার উদ্দিন দেশে আসছেন। এই আনন্দে পরিবারের সবাই খুব আশা নিয়ে তাকে বরণ করে আনতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। কিন্তু সেখান থেকে সাতজন ফিরেছেন নিথর দেহে। কীভাবে এ শোক সহ্য করবো জানি না। পুরো পরিবারটা শেষ হয়ে গেলো।’

বেগমগঞ্জের জগদিশপুর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে জানান, ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ দ্রুতগতিতে মাইক্রোবাসটি খালের পানিতে নেমে যায়। এর পরপরই চালক খালের পানি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। বাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন গ্লাস ভেঙে বের হয়ে আসতে পারলেও বাকি সাতজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েন। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা পানির নিচে ছিলেন।

এক দুর্ঘটনায় মা-স্ত্রী-সন্তানসহ ৭ স্বজনকে হারালেন প্রবাসী বাহার

শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ফায়ার সার্ভিসের কাছে ডুবুরি চাইলে তারা জানান, এখানে ডুবুরি নেই। বেগমগঞ্জ ও মাইজদী থেকে দুটি ইউনিট এলেও তারা কাউকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে গাড়িটি ওঠানোর পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।’

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়।’

তিনি আরও জানান, চালকসহ গাড়িটিতে মোট ১৩ জন ছিলেন। চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের মাইজদী ও চৌমুহনী স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। তারা ডুবুরি চেয়েছিলেন কিন্তু আমাদের নিজস্ব ডুবুরি নেই। আমরা চাঁদপুর থেকে ডুবুরি দল চেয়ে আনি। তবে তার আগেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যায়।’

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, সাতটি মরদেহসহ মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা থেকে দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ছেলের লা*শ নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করলেন মা : আ ট ক হোটেল মালিক

সিলেটে সন্তানের লাশ নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মা। খুনের বিচার দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওসমানীনগর থানার সামনে ছেলের লাশ নিয়ে বসে থাকেন তিনি।

জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগরের কিশোর রবিউল ইসলাম নাঈম ২৬ জুলাই নিখোঁজ হয়। রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্তানের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রবিউল ইসলাম নাঈমের লাশ নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন মা পারুল বেগম (৫৫) ও তাদের স্বজন এবং এলাকাবাসী।

বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা ওসমানীনগর থানার সামনে এলাকার শত শত মানুষ সহ নিহত রবিউলের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা হত্যাকারীর ফাঁসি ও মামলা দায়েরের দাবিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ওসমানীনগর থানার সামনের দুই দিকে মহাসড়কে শত শত যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পরে এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূরপাল্লার শত শত যাত্রী সাধারণ।

বিষয়টি আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুলকে ওসমানীনগর তানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়া ও পারুল বেগমের দ্বিতীয় ছেলে কিশোর রবিউল ইসলাম নাঈম উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটে বগুড়া রেস্টুরেন্টে নাইট শিফটে কাজ করত। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয় রবিউল। রবিউলের স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ কুলাউড়ায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশটি নিখোঁজ রবিউলের বলে সনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

রবিউলের পরিবারের দাবি রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল মিয়া হত্যা করে রবিউলের লাশ কুলাউড়ায় ফেলে আসে।

নিহত রবিউলের বড় ভাই কাইয়ুম বলেন, আমার ভাইকে বুলবুল খুন করেছে। আমরা বুলবুলের ফাঁসি চাই।

ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, বুলবুলকে আসামি করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

ওসি আরো জানান, বুলবুলকে কুলাউড়া থানায় পাঠানো হয়েছে, তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে।

এ ব্যাপারে রাত সাড়ে ১১টায় কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেটে ৪ ডাকাত গ্রেফতার : উদ্ধার হলো লুণ্ঠিত মালামাল

সিলেটের জকিগঞ্জে থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার, ১১ দিন আগে সংগঠিত ডাকাতির লুণ্ঠিত বিপুল পরিমাণ মালামাল, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ভুরুঙ্গাপুর পূর্ব তিলাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে ছোয়াবির আহমেদ প্রকাশিত ছাব্বির (৩৯), গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর নোয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (৩৬), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনিরচর গ্রামের মৃত আরজদ্দ উল্লার ছেলে সোহেল মিয়া (৪২), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবের গ্রামের সুমন মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (২৫)।

জানা যায়, গত ২২ জুলাই গভীর রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রাম এলাকায় এক বসতবাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় মামলা হলে, ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টিম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ও ৪ আগস্ট সিলেটের গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর, সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা (এসএমপি), এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর ও বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

ডাকাতদেরকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৬৫৮২), পূর্বে উদ্ধার করা আরেকটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৪৯৫৪), নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, নেপালি মুদ্রা ৭ হাজার ৮৯০ রুপি, ৩৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৭টি আইফোন, ২৬টি বাটন ফোন, ৫টি বিদেশি হাতঘড়ি, ৫টি ট্যাব, ২টি ল্যাপটপ, ১টি ভিডিও ক্যামেরা, ৫টি শাড়ি, ৪টি ছাতা, ১টি বড় ল্যাগেজ, ৩টি হ্যান্ডব্যাগ, কিবোর্ড, চার্জার, খেলনা পিস্তল, লোহার সুচালো সাবল, হাতুরি, সুইস চাকু, স্ক্রুড্রাইভার, প্লাস ও গোল্ড প্লেটের বিভিন্ন অলংকার উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সিলেট রেঞ্জের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও চুরি মামলার রেকর্ড রয়েছে। এ চক্রের আরও দুই সদস্যকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ গ্রেফতার চারজনকেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, ‘ডাকাতির ঘটনার পরপরই আমরা একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাই। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তির সহায়তায় আন্তঃজেলা এই চক্রের চারজনকে আটক করে তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের আরও সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে, তাদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

বড়লেখায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, যুবক গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি ব্যবসায়ী পরিবারের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় শরীফ আহমেদ (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া ৮ হাজার টাকা এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার শরীফ সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজারের খাশিবরন হাতির টিলা এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় বসবাস করছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই বড়লেখা পৌরসভার তেলীগুল এলাকার ব্যবসায়ী শামীম আহমদের ছেলে কানাডা প্রবাসী সাকিব আহমদের বৌভাত উপলক্ষে পরিবারের সবাই স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানে যান। এ সময় দোতলা বাড়ির প্রতিটি কক্ষে তালা লাগানো ছিল। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে চোরের দল তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দুটি স্বর্ণের বালা, একটি জোড়া কানের দুল, দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি ব্রেসলেট, নগদ এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০০ মার্কিন ডলারসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নেয়।

পরিবারের সদস্যরা দুপুর আড়াইটার দিকে বাসায় ফিরে পেছনের ফটক ও ঘরের দরজার তালা ভাঙা এবং ঘরের জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান। পরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শামীম আহমদ বড়লেখা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর বড়লেখা থানার এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই দেবল চন্দ্র সরকার ও এএসআই ফজলে আজিম সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ শরীফ আহমেদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং রোববার রাতে দোয়ারাবাজার থানার সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা সোমবার বিকেলে জানান, “গ্রেপ্তার শরীফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল এবং চুরি হওয়া টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

মদিনাকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

পবিত্র নগরী মদিনাকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মুসলিমদের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং মসজিদে নববীর আবাসস্থল এই শহরটি ডব্লিউএইচও-এর নির্ধারিত ৮০টি মানদণ্ড পূরণ করে এই মর্যাদা অর্জন করেছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল জালাজেলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি সনদ গ্রহণ করেন মদিনা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন সুলতান।

অনুষ্ঠানে যুবরাজ সালমান বলেন, “মদিনার এই স্বীকৃতি দেশের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টারই ফল। এটি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের অন্যতম উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, মদিনার চলমান রূপান্তর আজ একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ‘শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন মডেল’-এ পরিণত হয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, ডব্লিউএইচও-এর স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কোনো শহরকে অবশ্যই নির্ধারিত ৮০টি মানদণ্ড পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে—জনস্বাস্থ্যের জন্য উন্মুক্ত পার্ক, হাঁটার উপযোগী স্থান, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবামূলক অবকাঠামো।

ডব্লিউএইচও এর আগেও সৌদি আরবের অন্তত ১৪টি শহরকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: তায়েফ, তাবুক, আদ-দিরিয়া, উনাইজা, জালাজেল, আল-মান্দাক, আল-জুমুম, রিয়াদ আল-খুবরা এবং শরুরাহ।

স্বাস্থ্যবান, সবুজ ও টেকসই নগরায়নের লক্ষ্যে মদিনার এ স্বীকৃতিকে সৌদি সরকারের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারে ৭২ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নকালে বিমানের সঙ্গে কুকুরের ধাক্কা

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ফেরত যেতে উড্ডয়ন প্রস্তুতিকালে রানওয়েতে একটি কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে এয়ারএস্ট্রা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের।

শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় ফ্লাইটটি সাময়িকভাবে যাত্রা স্থগিত করে নিরাপত্তাজনিত পর্যবেক্ষণে নেয়া হয়। তবে পাইলট ও গ্রাউন্ড টিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে সফলভাবে উড্ডয়ন করে। অল্পের জন্য ফ্লাইটটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়ে সংশ্লিষ্টরা যে যার মতো শোকরিয়া জ্ঞাপন করছেন।

সূত্র মতে, বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সমন্বিত দল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রানওয়ে থেকে মৃত কুকুরটিকে সরিয়ে নেয়। এরপর ফ্লাইটটির পাইলট ও গ্রাউন্ড ক্রু বিমানের ‘থ্রো-চেক’ সম্পন্ন করে নিশ্চিত হন, এতে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়নি। সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় রাত সোয়া ৮টার দিকে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বে ফ্লাইটটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইটে থাকা ৭২ যাত্রী নিরাপদে ঢাকা পৌঁছান।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম মর্তুজা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্লাইটের ধাক্কায় কুকুরটি মারা গেছে। তবে যাত্রীরা নিরাপদে ছিলেন এবং ফ্লাইটটি স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করে একঘণ্টা পর ঢাকায় অবতরণ করেছে।

গোলাম মর্তুজা আরও জানান, দিনের বেলায় কুকুরের তেমন উপদ্রব না থাকলেও সন্ধ্যার পর রানওয়ে এলাকায় কুকুরের বিচরণ বেড়ে যায়। আলো কম থাকায় পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৮৯ জন আনসার সদস্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। তবুও এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না।

৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক নারীসহ ৩৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে পৌনে ৭টায় একটি বিশেষ সামরিক বিমানে (সি-১৭) করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টার অবর্ণনীয় ক্লান্তি আর যাত্রাশেষে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন তারা কেউ বিমর্ষ, কেউ বাকরুদ্ধ। দেশে ফেরার পর ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের পরিবহন সহায়তা দেওয়া হয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভিযোগ, দীর্ঘ বিমান যাত্রার পুরোটা সময় তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ফেরত আসা একজন বলেন, আমরা অপরাধী নই, আমরা তো আশ্রয় চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বন্দিদের মতো আচরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, আমরা যতটা জেনেছি ঘরবাড়ি বিক্রি করেছেন, ধার-দেনা করে এরা কেউ ৩০ লাখ, কেউ ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে মেক্সিকো বা দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে অনিয়মিত পন্থায় পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

বড়লেখায় দিনদুপুরে ছিন তা ই য়ে র ঘটনায় গ্রে প্তা র ২, টাকা ও মোবাইল উ দ্ধা র

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনদুপুরে এক ব্যবসায়ী ও তার মেয়ের গলায় দা ধরে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও রুপার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সিলেটের টিকরপাড়া (পীরের বাজার) এলাকা থেকে শাহপরাণ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বড়লেখা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্টফোন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মৃত চান মিয়ার ছেলে সেলিম আহমদ ওরফে অনিক ওরফে বটলা সেলিম (৩৫) এবং সিলেট জেলার শাহপরান থানার মীরমহল্লা এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (২৫)।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ খসরু তার মেয়ে সুহাদা বেগম ও ছেলে সিয়াম আহমদকে সঙ্গে নিয়ে বড়লেখা পৌরশহরের পূবালী ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এরপর তাদের গলায় দা ধরে সুহাদার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

ব্যাগে নগদ ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্টফোন, দুই ভরির একটি রুপার চেইন এবং ভিকটিমের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। এই ঘটনায় ওইদিনই ভুক্তভোগী বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার পরই বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লার তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান, এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস ও অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইয়ে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সিলেটের টিকরপাড়া (পীরের বাজার) এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সেলিম আহমদ ও সাকিব আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা শনিবার বিকেলে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে এবং পলাতক আরও দুই সহযোগীর নামও প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই পুরো চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সিলেটের সাদাপাথরে বন্ধুকে নিয়ে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

সিলেট নগরীর বড়শালা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. জিসান আহমদ (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বন্ধু মো. হাসান (২৪)।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিসান সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিসান ও হাসান মোটরসাইকেলে করে বিশ্বনাথ থেকে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বড়শালা এলাকায় আসার পর তাদের মোটরসাইকেলটি সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ঘটনাস্থলেই জিসানের মৃত্যু হয় এবং হাসান গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসান বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “দুই বন্ধু সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথে বড়শালা এলাকায় মোটরসাইকেলটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

খাবারের জন্য খালি পায়ে ১২ কিমি হেঁটে আসা ছোট্ট আমিরকেও ছাড়েনি ইসরাইল!

সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, অ্যান্থনি আগুইলার নামে সাবেক ওই সেনা সদস্য তার সাক্ষ্যে গত ২৮ মে তারিখের মর্মান্তিক ঘটনার কথা স্মরণ করেন, যেদিন খাবারের জন্য গিয়ে নিহত হয় আমির।

অ্যান্থনির বিবরণ মতে, খালি পায়ে এবং রোগা অবস্থায় প্রচণ্ড রোদের নিচে ১২ কিলোমিটার হেঁটে এসেছিল আমির। আশা ছিল, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও যদি খাওয়ার কিছু মেলে।

আরও পড়ুন: লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালালো ইসরাইল

তবে ছোট্ট আমির সংগ্রহ করতে পেরেছিল কেবল এক মুঠো চাল এবং ডাল, যা পড়েছিল মাটিতে।

গভীর আবেগঘন মুহূর্তটির বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবেক মার্কিন ওই সেনা বলেন, শিশুটি তার কাছে এসে তার জিনিসপত্র রেখেছিল, তার হাতে চুম্বন করেছিল এবং ইংরেজিতে তাকে ধন্যবাদও জানিয়েছিল।

ছেলেটি এরপর তার জিনিসপত্র তুলে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে চলে যায়। কয়েক মিনিট পরে, যখন সে অন্যান্য বেসামরিক লোকদের সাথে চলে যাচ্ছিল, তখন ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায় এবং এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমিরের।

অ্যান্থনি আগুইলারের ভাষ্য, ‘গাজার অন্যান্য দিনগুলোর থেকে ওই দিনটি আলাদা ছিল না — তবে মৃত্যু এসেছিল দ্রুত।’

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর