Monday, August 25, 2025
Home Blog Page 85

টানা তিন জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়েছে লাল-সবুজের দল। ফলে আজ তৃতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। হারলে বাড়বে অপেক্ষা। এমন সমীকরণের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মিডল অর্ডারে দুই তরুণের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে সফরকারীদের ইনিংস। তাতে ৯ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল শান্তরা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বির উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানে ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান ব্রায়ান বেনেট। ৮ বলে ৫ রান করে তানজিম সাকিবের বলে আউট হন এই ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর আউট হন ক্রেইগ এরভাইন। দলীয় ৩৩ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন এরভাইন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারীরা। এরপর টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। দলীয় ৫৮ রান সংগ্রহ করতে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে।

শেষ দিকে ফারাজ আকরামের ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে সফরকারীদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তাতে ৯ রানের জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি লিটন দাস। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস সূচনা করতে নেমে টাইগার এই ব্যাটার ফিরেছেন দলীয় ২২ রানেই। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার।

এরপর ক্রিজে থাকা আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমের সঙ্গী হয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে আগের দুই ম্যাচের মত শান্তও আজ ব্যর্থ হয়েছেন ইনিংস ধরতে। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন টাইগার দলপতি। এরপর বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন তামিম।

কিন্তু ফারাজ আকরামের বল উড়ে মারতে গিয়ে দলীয় ৬০ রানে ডিপ মিড উইকেটে মাদান্দের তালুবন্দী হন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ২১ রান করেন তামিম। এরপর ক্রিজে আসেন জাকের আলি। জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হৃদয়।

এই দুই ব্যাটের মারমুখী ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। তবে অর্ধশত রান করে করে হৃদয় সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় এ জুটি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৫৭ করেন তিনি। হৃদয়ের বিদয়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি জাকেরও। একই ওভারে মুজারাবানির ডেথ ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকের আলী অনিক। পায়ভিলিয়নে যাবার আগে ৪৪ রান করেন তিনি।

শেষদিকে রিয়াদ-রিশাদের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।

সাধারণ ক্ষমা নিয়ে দেশে আসা হলো না কুয়েতপ্রবাসী দেলোয়ারের

কুয়েতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের বিজি৩৪৪ এর ফ্লাইটে উড়াল দেওয়ার কথা, গন্তব্য বাংলাদেশ। বিমানে ওঠার একটু আগেই মারা যান দেলোয়ার হোসেন (৫০) নামে প্রবাসী।

রোববার (৫ মে) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কুয়েত টু ঢাকার ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ইবরাহিম খলিল রিপন জানান, বাংলাদেশি একজন যাত্রী দেলোয়ার হোসেন ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে যখন ২১ নম্বর গেট অতিক্রম করেন এবং বিমানে পা রাখার অল্প কিছুক্ষণ মাত্র বাকি, ঠিক তখনই আকস্মিকভাবে মারা যান।

ওই যাত্রীর পরিচয় জানতে চাইলে রিপন জানান, মারা যাওয়া প্রবাসী কুয়েতে আকামাহীন ছিলেন, ফলে কুয়েতের সাধারণ ক্ষমার সুযোগে দেশে যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায়।

প্রায় দুই যুগ আগে নোয়াখালী জেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন কুয়েতে আসেন। প্রথম দিকে তার বৈধ রেসিডেন্সি থাকলেও একটা সময় দেলোয়ার অবৈধ ‘আকামাহীন’ হয়ে পড়েন।

ফলে কুয়েতের সাধারণ ক্ষমার সুযোগে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা দেলোয়ার হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মোহাম্মদ আবুল হোসেন দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ কুয়েতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে।

যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে

হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এখন থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে।

শনিবার (৪ মে) সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বাসিন্দাদেরও পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে। পবিত্র স্থানগুলোতে যারা কাজ করবেন, মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের জন্য যাদের কাছে বৈধ অনুমতি থাকবে না তাদেরকে মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

২০২৪ সালের হজ পক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার জন্য গত সপ্তাহে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যা ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।

নুসুক অ্যাপ কার্ডের ফলে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে। ফলে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

নিজেকে শ্রমিক মনে করি: শাবনূর

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। গেল ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন এফডিসিতে।

তাকে ঘিরে তখন উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল। এর বাইরে শাবনূরের পুরো খবরাখবরই পাওয়া যায় ইউটিউব ও ফেসবুক পেজ থেকে।
সেখানেই জানান মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা। নিজেকে অভিনয় শ্রমিক দাবি করে এক ফেসবুক পোস্টে শাবনূর লেখেন, আমি নিজেকে একজন অভিনয় শ্রমিক বলে মনে করি। একটি সৃষ্টিশীল ভালো কাজ করতে গেলে আমাদের শিল্পীদের প্রচুর শ্রম দিতে হয়। প্রায় সময় প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে এবং বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে রাতদিন আমাদের কাজ করে যেতে হয়। তাই শ্রমিকদের কষ্ট কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি।

তিনি আরও লেখেন, শ্রম ও শ্রমিক ছাড়া উৎপাদন, সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। আধুনিক বিশ্ব গঠনে তাদের অবদান অপরিসীম। তাই শ্রমিকদের অবদানকে স্বীকার করে তাদের অর্জনকে সম্মান জানাতে হবে। মেহনতি মানুষদের অধিকার, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ ও সামগ্রিক অবস্থার যাতে উন্নতি হয় সেদিকে সবার বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া। গেল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন তিনি। কাজ শুরু করেছেন ‘রঙ্গনা’ সিনেমাতে। এছাড়াও ‘মাতাল হাওয়া’ নামের আরও একটি সিনেমায় তিনি মাহফুজের বিপরীতে অভিনয় করবেন তিনি।