Beanibazarview24.com
মাদরাসার ছোট হুজুরকে না বলে বাড়ি যাওয়ার অপরাধে মো. ইয়াছিন হাওলাদার (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন শিক্ষক সেলিম শেখ (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে ফুলতলার মুক্তিশ্বরীতে অবস্থিত হযরত বুড়ো ফকিরিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। বেত্রাঘাতে যন্ত্রণাকাতর শিশু ইয়াছিনকে রাত ১টায় ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল বেডে যন্ত্রণাকাতর ইয়াছিন জানায়, সে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিওলধারা গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের পুত্র। স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলে ইয়াছিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) তাকে এ মাদরাসার নজেরা শাখায় ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বড় হুজুরের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে সে পার্শ্ববর্তী খালা বাড়িতে যায়। সন্ধ্যার পর মাদরাসায় আসলে ছোট হুজুর সেলিম শেখ তাকে ধরে নিয়ে রুমের ভেতর আটকিয়ে রেখে দু’হাত বেঁধে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। বেধড়ক পিটুনিতে তার পিঠ, বুক, দুই উরুতে দাগ পড়ে যায়।
শিক্ষক সেলিম তাকে গাড়াখোলা উত্তরপাড়ায় তার খালু কালাম শেখের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ইয়াছিনের পিতা ইদ্রিস হাওলাদার তাকে ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে হযরত বুড়ো ফকিরিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আ. জলিল ছোট হুজুর কর্তৃক প্রহারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইয়াছিন মাদরাসায় এখনো ভর্তি হতে পারেনি। ঘটনার সময় সে অন্য শিক্ষার্থীদের জুতা চুরি করতে আসায় সেলিম হুজুর তাকে পিটিয়েছে মাত্র।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.