Beanibazarview24.com
প্রথমে মা, এরপর নানী, এরপর বোন এবং সবশেষে বাবাকে খু’ন করেন ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত তরুণ মিনহাজ জামান। পরিবারের সদস্যদের খু’নের বর্ণনা এভাবেই তিনি উল্লেখ করেছেন একটি চ্যাট গ্রুপে।
টরন্টোর সিটি নিউজ সূত্রে জানা যায়, অনলাইন গেম খেলার সময় মিনহাজ সেখানকার অন্য সদস্যদের সঙ্গে খু’ন করার বিষয়টি জানায় এবং নি’হতদের ছবিও পাঠায়।
মিনহাজের সঙ্গে অনলাইন গেমের এক সদস্যের আলাপচারিতা এবং এডভেঞ্চারধর্মী ফ্যান্টাসি গেম ‘পা’রফেক্ট ও’য়ার্ল্ড ভ’য়েড’ এর এক সদস্যদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার স্ক্রিন শটও প্রকাশ করে সিটি নিউজ।
ওই স্ক্রিন শটের আলাপচারিতায় দেখা যায়, অভিযুক্ত মিনহাজ একে একে তার মা মুক্তা জামান, নানী, বোন মিকু এবং বাবা মনির জামানকে হ’ত্যা করে।
জানা যায়, মিনহাজ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ত এবং দ্বিতীয় বছরে রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় ড্রপ আউট করেছিল। এই ড্রপ আউট তাকে কিছুটা ডি’প্রেশনে নিয়ে যায়।
তার মাথায় আসে তার ড্রপ আউটের জন্য তার বাবা-মা অন্যের কাছে ছেলের জন্য লজ্জা পাবে। একই সাথে দীর্ঘদিন যাবত ইন্টারনেট গেমিংয়ে আ’সক্ত হয়ে পড়ে এবং ওয়েব কি’লিং গেম নেটওর্য়াক গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।
‘আমি ধীরে ধীরে মা’নসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি, নাস্তিক হয়ে পড়ি, এবং ধীরে ধীরে এই খু’নের পরিকল্পনা করি’ – অনলাইনের ওই লেখায় উল্লেখ করেন মিনহাজ। জানা যায়, দুই বছর যাবত সে এই হ’ত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলো।
মিনহাজের ওই লেখা শেষ হয় এভাবে, ‘এখানে পু’লিশ এসে গেছে, বিদায়’। গেম খেলায় মিনহাজের সহযোগীদের একজন বার্তাগুলো দেখার পর মিনহাজের বাড়ির অবস্থান জেনে নিয়ে পু’লিশকে খবরটি জানান। এরপর পু’লিশ গিয়ে মৃ’তদেহগুলো উ’দ্ধার করে এবং মিনহাজকে আটক করে।
টরন্টোর সাংস্কৃতিককর্মী নাফিয়া ঊর্মি সিবিএন’কে জানান, নি’হত দম্পতির ছেলে সম্ভবত মা’নসিকভাবে বি’কারগ্রস্থ ছিল, এমনকি সে মা’দকাসক্তও ছিল। তিনি ধারণা করছেন, খাবারে কিছু মিশিয়ে অ’জ্ঞান করার পর ছু’রিকাঘা’তে তাদের হ’ত্যা করে সে। এরপর সে গেম খেলতে থাকে। এদিকে একই পরিবারের ৪ জন খু’নের ঘটনায় কানাডার বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.