২২ গজে ভারতীয় জার্সিতে বহু বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ম্যান ইন ব্লু জার্সিতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে সুনামও কামিয়েছেন বেশ। এবার তিনি নাম লেখিয়েছনে রাজনীতিতে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন এই ক্রিকেটার। আর রাজনীতির মাঠেও প্রথম দেখায় ছক্কা মারলেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা।
ভারতের জার্সিতে ২২ গজে বহু বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইউসুফ পাঠান। কোনোদিন রাজনীতির পথ ধরে হাঁটেননি। স্বচ্ছন্দ ছিলেন ক্রিকেটের ময়দানে। ম্যান ইন ব্লু জার্সিতে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে সুনামও কামিয়েছেন বেশ। এবার তিনি নাম লেখিয়েছনে রাজনীতিতে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন এই ক্রিকেটার।
আর রাজনীতির মাঠেও প্রথম দেখায় বাজিমাত করেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার। বহরমপুরে যিনি টানা পাঁচবারের সাংসদ কংগ্রেসের, সেই অধীর চৌধুরীকে তৃণমূলের ইউসুফ হারালেন ৮৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ভারতীয় ক্রিকেটে বরাবরই সকলের পছন্দের তালিকায় থেকেছেন পাঠান ভাইয়েরা। খেলার মাঠে একে অপরের সাফল্য যেমন উচ্ছ্বসিত হয়েছেন, তেমনই রাজনীতির ময়দানে দাদার জয়ে উচ্ছ্বসিত ইরফান পাঠান।
রাজনীতিতে ইউসুফ পাঠানের প্রথম দেখার জয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বেশ কিছু ছবি দিয়ে ইরফান পাঠান আবেগঘন পোস্ট করেছেন। অধীর চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ একজনকে হারানোয় আরও বেশি উচ্ছ্বসিত ইরফান পাঠান। তার বিরুদ্ধে ইউসুফ যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করেছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন ভাই ইরফান। সব শেষে তার উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশে ইরফান লিখেছেন, ‘মেরা ভাই জিত গ্যয়া (আমার ভাই জিতে গেছে)।’
ভারতের একটা সময়ে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ছিলেন ইরফান পাঠান। দাদা ইউসুফ পাঠান স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। দীর্ঘ সময় বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করেছেন। বিশ্বকাপও জিতেছেন। দাদা-ভাইয়ের জুটি শুধু খেলার মাঠেই নয় বরং সামাজিক কাজেও নজর কেড়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে সমাজের জন্য নানা কাজে যুক্ত ছিলেন ভারতের এই দুই সাবেক ক্রিকেটার। ইরফান পাঠান এখন ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত। দাদা ইউসুফ পাঠান নতুন হাতেখড়ি হয়েছে রাজনীতিতে।