Connect with us

সিলেট

সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি, বাড়লো পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা

সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি, বাড়লো পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যায় মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরে ২১টি ওয়ার্ডের অর্ধলক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য এটি।

২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই শনিবার (১৫ জুন) ফের কবলিত সিলেট।

ঈদের দিন (১৭ জুন- সোমবার) ভোররাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সঙ্গে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবনতি হয় বন্যা পরিস্থিতির। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। আজ বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) মধ্যরাতে সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সময় পর্যন্ত মহানগরের ২১টি ওয়ার্ড ও জেলার ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী।

জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে, বেশিরভাগ মানুষজন নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছুক নন। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশিদের উঁচু বাসা-বাড়ি বা আত্মীয়-স্বজনের ঘরে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র বুধবার সকাল ৯টায় জানিয়েছে, এ সময় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯২ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে।

এছাড়া সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.৯ সে.মি সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটজুড়ে ২০২২ সালের মতো ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। মহানগরের শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া, মেজরটিলা ও দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, বরইকান্দি, আলমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেকের বাসাবাড়িতে গলা পর্যন্ত পানি। নিচু এলাকাগুলোর কলোনি বা বাসা-বাড়ি প্রায় পুরোটাই তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এতে চরম বিপাকে এসব এলাকার মানুষ। অনেকে গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আবার অনেকে নিজের বাসা-বাড়ি ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না।

অপরদিকে, সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত) ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি ৫৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী কয়েক দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

Continue Reading

সিলেট

সিলেটে নৌকা চালিয়ে বাড়ি ফেরা হলোনা তাজুলের

সিলেটে নৌকা চালিয়ে বাড়ি ফেরা হলোনা তাজুলের

তাজুল ছিলেন জীবিকার সন্ধানে। কিন্তু কাজ শেষে আর বাড়ি হলোনা তার। কানাইঘাটের সুরমা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকার উপরে বজ্রপাতে নিহত হলেন তিনি।

এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে চাপনগর গ্রামের সুরমা নদীতে।

জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপ্রসাদ নয়াগ্রাম গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের পুত্র তাজুল ইসলাম (৩৬) কানাইঘাট সুরমা নদীর খেওয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে নিজস্ব ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে লোভাছড়া বাগান-বাগিচা ঘাটে যাচ্ছিলেন।

সুরমা নদীর চাপনগর খেওয়াঘাট এলাকায় আসলে ভারি বর্ষণের সাথে হঠাৎ করে বজ্রপাত নৌকার উপর পড়লে তাজুল ইসলাম নৌকা থেকে নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। এ সময় নৌকার যাত্রী উত্তর লক্ষীপ্রসাদ কুকুবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও শামীম আহমদ নামে আরো দু’জন আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নদীর পানিতে তলিয়ে গেলে তাজুল ইসলামকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে চাপনগর খেওয়াঘাটের অদূরে সুরমা নদীতে তাঁর নিথর দেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাজুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তাজুল ইসলাম তার নিজস্ব ইঞ্জিন চালিত নৌকার চালক হলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ফুটবল সহ অন্যান্য খেলাধূলার সাথে জড়িত ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে তার সম্পর্ক থাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কানাইঘাটের ক্রীড়াঙ্গন সহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাজুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন গভীর শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

নিহতের ছোট ভাই নজমুল ইসলাম জানান, তাজুল ইসলাম বিবাহিত, তার ৬ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, বজ্রপাতে তাজুল ইসলাম মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তাঁর লাশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Continue Reading

সিলেট

সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট মহানগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শনিবার (৩১ মে) দুপুর ১টার পর থেকে শুরু হওয়া কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে যায়। এতে সাধারণ মানুষের জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরের কাজলশাহ, মেজরটিলা, চৌহাট্টা, দরগাহ মহল্লা, পাঠানটুলা, হাওয়াপাড়া, লালাদিঘীর পার, ঘাসিটুলা, বন্দরবাজার, টিলাগড়, লামাবাজার ও সুবিদবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দরগা মহল্লা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আজমল আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়। দুপুরের পর শুরু হওয়া বৃষ্টিতে আমার বাসায় পানি ডুকেছে। হঠাৎ আসা এই পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

হাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, প্রতিবার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। এইটা তো বন্যা নয়। সিটি করপোরেশন ড্রেন পরিষ্কার করার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে কিছু হয় না। আমাদের দুর্ভোগ যেন শেষ হয় না।

সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

সিলেটে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত


সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু এলাকায় পানি জমেছে। আমরা জরুরিভিত্তিতে ড্রেন পরিষ্কার ও পানি নিষ্কাশনের কাজ চালাচ্ছি। তবে জলাবদ্ধতা কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ রুদ্র তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলেও দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

Continue Reading

সিলেট

মাটি খাওয়া ‘শাহী বাবা’ আসলে প্রতারক! দিরাইয়ে কোরবানির টাকা লুট!

মাটি খাওয়া ‘শাহী বাবা’ আসলে প্রতারক! দিরাইয়ে কোরবানির টাকা লুট!

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের মধ্যবাজারে পচা বালু ও কাদা মাটি খাওয়া এক অদ্ভুত বয়স্ক ব্যক্তিকে ঘিরে সম্প্রতি সৃষ্টি হয়েছিল চাঞ্চল্য। নিজেকে ‘শাহী বাবা’ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি দাবি করেন- তিনি সারা দেশে ঘুরে বেড়ান এবং আত্মিক শক্তি অর্জনের জন্য মাটি খান। তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ পেলো তার প্রতারণার এক ভয়ানক কাহিনী।

স্থানীয় ব্যবসায়ী শ্যামল দাস জানান, ২৭ মে রাতে মধ্যবাজারে হঠাৎ এক বয়স্ক ব্যক্তি ‘ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্ট’—এর সামনে ড্রেনের পাশে বসে ময়লা, বালু ও কাদা মাটি খেতে শুরু করেন। দৃশ্যটি দেখে উপস্থিত জনতার মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক এবং রহস্যজনক।

শ্যামল জানান, ওই ঘটনার পর বিক্রম নামে একজন ব্যক্তি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন শাহী বাবা নামে ওই বয়স্ক ব্যক্তি উপস্থিত সদস্যদের যে খাবারই দিয়েছে তারা তাতে অকল্পনীয় স্বাদ পেয়েছে। শ্যামল বলেন, এরপর শাহী বাবাকে আমার দোকানে নিয়ে আসলে আমিও তার কথাবার্তা ও আচরণে মুগ্ধ হই। সাধু, সুফিদের প্রতি আমি এমনিতে একটু দুর্বল।তিনি বলেন, তখন ‘শাহী বাবা’ নামের লোকটি সিলেট শাহজালাল (রঃ) মাজারে যাবার জন্য তাগিদ দিতে থাকে। আমরা তাকে বলি আপনি অবশ্যই যাবেন, প্রয়োজনে আমরা আপনাকে পৌঁছে দিব।সিলেট ভ্রমণ প্যাকেজ

তারপর কথামত রাত ১১ টায় মোটরসাইকেল করে আমি লোকটিকে নিয়ে যেতে চাইলে সেই সময় আমার এক বন্ধুও যেতে চায়। ভাবলাম আরেকজন সাথে গেলে ভালই হবে। তিনজন মোটরসাইকেল করে রওনা দেই। গভীর রাতে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারে পৌঁছে ‘শাহী বাবা’ সিগারেট আনতে বলেন। আমি সিগারেট আনতে যাই তখন আমার বন্ধু একা ‘শাহী বাবা’র সঙ্গে ছিলেন।

পরদিন ২৯ মে বন্ধু জানায়, সেই সময় ‘শাহী বাবা’ তার নাকের কাছে কিছু একটা ধরেন এবং তারপর তার কাছ থেকে মানিব্যাগসহ ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ওই টাকা ঈদের কুরবানির গরু কেনার জন্য এক ব্যক্তি তাকে দিয়েছিলেন।

শ্যামল বলেন, আমি কখনও ভাবতে পারিনি সকালে দেওয়া টাকাটা রাতেও তার সাথে ছিল। জানলে কখনও সাথে নিয়ে যেতে দিতাম না বলে তিনি জানান।প্রতারণার ধরন ছিল এতটাই চতুর, যে শ্যামলের বন্ধুকে ‘শাহী বাবা’ এমনভাবে প্রভাবিত করেন যে, সে কিছুতেই ঘটনার কথা জানাতে পারেননি। তার মন—মস্তিষ্কে তখনও ঘুরপাক খাচ্ছিল শাহী বাবার দেওয়া কথাগুলো।

ঘটনার পর বাজারের অনেকে ধারণা করছেন, ‘শাহী বাবা’ আসলে একজন প্রতারক যিনি অলৌকিকতার ছদ্মবেশে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন তিনি ৭০ বছর ধরে মাটি খাচ্ছেন এবং তার বয়স ৮৫ বছর। কেউ কেউ একে মানসিক ভারসাম্যহীনতা বললেও এখন বোঝা যাচ্ছে এটি ছিল একটি অভিনব প্রতারণার কৌশল। স্থানীয়রা অনুরোধ করেছেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনের উচিত ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং জনগণকে সতর্ক করা।

Continue Reading

সিলেট

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী নৌকায় আগুন

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী নৌকায় আগুন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটকবাহী হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৮টায় উপজেলার অন্যতম পর্যটনস্পট ট্যাকেরঘাট নিলাদ্রী লেকের পাড়ে রাহবার লাক্সারি হাউজবোটের একটি বোটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেন ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর আবির দাস।

আবির দাস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হাউজবোটের জেনারেটর সিস্টেম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পুলিশ ও স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এ হাউজবোটে ১২ যাত্রী ছিল বলেও জানা গেছে। তবে বোট মালিক বা মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে আরও বিস্তারিত বলতে পারব।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ নিলাদ্রী লেক পাড় থেকে একটু দূরে পাড়ে রাখা হাউজবোটে আগুন দেখে সবাই এগিয়ে যায়। এরই মধ্যে হাউজবোটটি পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। আগুন অনেক ভয়াবহ ছিল, এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

হাউজবোর্ট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর ইসতি বলেন, রাহবার লাক্সারি হাউজবোটটি আমাদের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নয়। তারা অন্য এলাকা থেকে এসেছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আসেনি। পুলিশসহ স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

Continue Reading

সিলেট

সিলেট সীমান্তে মহিষ ও গরুর মাংসের সাথে যা আটক করলো বিজিবি

সিলেট সীমান্তে মহিষ ও গরুর মাংসের সাথে যা আটক করলো বিজিবি

ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই মালামাল ও মদ জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। শুকবার (৩০ মে) বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় শ্রীপুর, তামাবিল, সংগ্রাম, প্রতাপপুর, পান্থুমাই এবং সোনারহাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসা এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত মালালালের মধ্যে রয়েছে- বিপুল পরিমান ভারতীয় সুপারি, মহিষ, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, গরুর মাংস, পন্ডস্ ফেইসওয়াশ, বিভিন্ন প্রকার পুরাতন মোবাইল, মদ। এই সময় অবৈধ মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও আটক করা হয়। আটককৃত মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য ১ কেটি ১০ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ ৯৯ টাকা।

সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়ন বিজিব’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই মালামাল ও মদ জব্দ করা হয়েছে। এই সময় অবৈধ মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও আটক করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য- ১ কেটি ১০ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ ৯৯ টাকা। জব্দকৃত চোরাই মালামালের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিলেট বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্তে চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল সমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Continue Reading

সিলেট

হামজার পর এবার চমক দেখানোর অপেক্ষায় আরেক সিলেটি

হামজার পর এবার চমক দেখানোর অপেক্ষায় আরেক সিলেটি

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর পর এবার আরও এক হাই-প্রোফাইল প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায়। তিনি কানাডা জাতীয় দলে খেলা সিলেটের মৌলভীবাজারের সামিত সোম। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব ও এর আগে ভুটান ম্যাচকে সামনে রেখে প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে তাকে।

সামিতের পৈতৃক বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। তবে সামিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। এর পরও পরিষ্কার বাংলায় কথা বলতে পারেন সামিত। ইতমধ্যেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের হয়ে খেলার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বাফুফে।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ২৬ সদস্যর দল ঘোষণা করেন হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।

যেই দলে হামজা চৌধুরী, শমিত সোমসহ জায়গা হয়েছে ফাহমিদুল ইসলামের। তবে এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে অনেক প্রসেস বাকি থাকায় রাখা হয়নি কিউবা মিচেলকে।

আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তার আগে ৪ জুন একই ভেন্যুতে ভুটানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন হামজারা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, মোহাম্মদ সুজন হোসাইন ও মেহেদি হাসান শ্রাবণ।

ডিফেন্ডার: মো. শাকিল আহাদ তপু, জাহিদ হাসান শান্ত, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী ও তপু বর্মণ।

মিডফিল্ডার: মো. হৃদয়, সাইয়্যেদ শাহ কাজেম কিরমানি, সোহেল রানা, মুজিবুর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম।

ফরোয়ার্ড: ফাহমিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসাইন, ইমন শাহরিয়ার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন ও সুমন রেজা।

Continue Reading

Trending