বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে এ খবর পাওয়া মাত্রই এক নজিরবিহীন বিজয় উল্লাসে মাতে সারাদেশের মানুষ।
এরই মধ্যে ঘটে যায় বেশকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এদিন চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গণপিটুনিতে নিহত হন। আর এ খবর টালিগঞ্জে পৌঁছাতেই স্তব্ধ হয়ে যান নায়িকা কৌশানী মুখার্জী; নায়ক শান্তর এমন মৃত্যু যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে কৌশানী বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছাড়াও টালিউডের অনেকেরই শাপলা মিডিয়ার সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। শান্তর চাঁদপুর এলাকার নিজের একটা রাজত্ব ছিল। আমি ওখানে যাওয়ার পর ঢাকা ঘোরানো থেকে সিম কার্ড সংগ্রহ, সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। মানুষকে ভালোবাসত। আমি যেহেতু অভিজ্ঞতায় বড়, আমার থেকে নানা উপদেশ নিত। আমি ভাবতেই পারছি না এমন।’
শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে টালিউডের দেব থেকে অঙ্কুশ, বনিদের যোগাযোগ ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু কাজ করার কথাও ছিল তার। এ ছাড়া তার ছেলে শান্তর সঙ্গে সিনেমা করেছেন কৌশানী মুখার্জী ও শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। ‘পিয়া রে’ ছবিতে শান্তর নায়িকা ছিলেন কৌশানী। এখন নায়কের মৃত্যুর খবর শুনেই স্তব্ধ কৌশানী। বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সত্যিই এটা হয়েছে।’
‘পিয়া রে’- র সমস্ত কাজ প্রস্তত ছিল, অপেক্ষা ছিল শুধু মুক্তির। কৌশানী বলেন, ‘এখন তো আর ছবিটাও মুক্তি পাবে না।’
বাবা সেলিমের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্র ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’তে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শান্ত।