মৌলভীবাজারের “গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ” নামের পাঁচ তারকা হোটেলে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমান আত্মগোপন করেছেন- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর হোটেলের সামনে শত শত মানুষ ভিড় করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে জানতে পারে বিষয়টি গুজব।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান গোপনে পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন। ফেসবুকে ছড়ানো এমন গুজবে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন বয়সী মানুষ সেখানে ভিড় করতে থাকেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় তারা হোটলটিতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। তবে সেখানে শামীম ওসমান থাকার বিষয়ে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। এখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে, তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।”
শামীম ওসমানের থাকার গুজবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে ঘটনাস্থলে যান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া। তিনি গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উৎসকু জনতাকে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, “শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। রিসোর্টটি অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট। সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার-বিবেচনা না করেই উসকানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে, যা পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট।”
কোনো কিছু না জেনে-বুঝে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।




