Connect with us

বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার নামে বাংলাদেশির মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার নামে বাংলাদেশির মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহ নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গতরাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জয়ন্ত কুমার সিংহ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী ফকির ভিঠা বেলপুকুর গ্রামের মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার মধ্য রাতে জয়ন্তসহ কয়েকজন সীমান্তের ৩৯৩ পিলারের কাছে যান। এ সময় ভারতের ডিংগাপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও জয়ন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তার মৃতদেহ ভারতের ইসলামপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা রংপুরে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

Continue Reading

আলোচিত

টোল প্লাজায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা, ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই

টোল প্লাজায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা, ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে অবস্থিত তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারপিট করে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে টোল প্লাজার পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। টোল না দেওয়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে মাহফুজার রহমান ওরফে রাজু (৪০) নামের স্থানীয় এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জনের একটি দল এই হামলা চালায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি মাহফুজার রহমান রাজু লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফি এলাকার বাসিন্দা। তিনি গোকুন্ডা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এজাহারে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিস্তা সড়ক সেতুর টোল আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রংপুর শহরের মেসার্স রানা কনস্ট্রাকশনের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য মো. নাজমুল আলম মামলাটির বাদী হয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ৩টার দিকে যুবদল নেতা মাহফুজার রহমান (৪০), ফজলুর রহমান (৩৫) ও আবদুর রহিম (৪২) মোটরসাইকেল যোগে তিস্তা সড়ক সেতু পার হচ্ছিলেন। তারা টোল প্লাজায় এসে টোল না দিয়ে যেতে থাকলে থামার জন্য সংকেত দেন টোল প্লাজার কর্মীরা। তারা টোল দেবেন না, এমনকি তাদের আরও যত গাড়ি আছে, সেই গাড়িগুলোও টোল দেবে না বলে হুমকি-ধমকি দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে টোল প্লাজার কর্মীদের কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনের একটি দল দা, ছোরা, লোহার রড ও দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেল ও অটোযোগে এসে টোল প্লাজায় হামলা চালান। হামলাকারীরা কর্মচারীদের মারপিট করেন।

এ সময় টোল প্লাজার কর্মচারী মো. জুয়েল ইসলামকে (৩৭) মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে টোল প্লাজার ক্যাশবাক্স থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রধান আসামি মাহফুজার ছিনিয়ে নেন। এ সময় টোল প্লাজায় ভাঙচুর করা হয়। টোল প্লাজায় কর্মরত কর্মীরা প্রাণভয়ে দৌড়ে পাশে থাকা আরেক ক্যাশঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানেও হামলা চালানো হলে টোল প্লাজার ম্যানেজার সুরুজ্জামান (৪০) গুরুতর আহত হন। সুরুজ্জামানের ক্যাশবাক্স থেকে মিঠু (৩৮) ও আবদুর রহিম (৪২) নামের দুজন ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সুরুজ্জামান (৪০) ও জুয়েল ইসলাম (৩৭) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া টোল প্লাজার আরও দুই কর্মী মোসলেম উদ্দিন (৪০) ও আক্কাস আলী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত আরেক কর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

মামলার বাদী নাজমুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আসামিরা টোল প্লাজার কর্মীদের বিনা দোষে বিনা উসকানিতে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন। নগদ ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।”

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় হামলার সংবাদ পেয়ে বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ছিনিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

Continue Reading

আলোচিত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের

ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের
ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপলক্ষ্যে বানানো মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ শনিবার ভোরের দিকে আগুন দেওয়া হয়। পুড়ে গেছে ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফের একাংশও। দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।

রোববার ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ঢাবির চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম রবিউল ইসলাম রাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।

এদিকে ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শুরুর আগেই নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, শনিবার ভোরের দিকে চারুকলা অনুষদের দেয়াল টপকে আগুন দেয় এক ব্যক্তি। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে এক যুবক মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় চারুকলা অনুষদের তিন নম্বর গেটের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি কালো টি-শার্ট ও খাকি রঙের প্যান্ট পরা ছিলেন। ভেতরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেয়াল টপকে বের হয়ে যান।

Continue Reading

আলোচিত

ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে ওএমএসের চাল উদ্ধার

ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে ওএমএসের চাল উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়ি থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির (৩০) ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে মো. খবির মিয়াজি পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজি। সে সরকারিভাবে ওএমএসের চাল বিক্রি না করে গোপনে তার বাড়িতে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখেন। এমন তথ্য স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতারা পুলিশকে জানালে বিকালের দিকে খবির মিয়াজির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় খবিরের বসত ঘরের মধ্যে থেকে ওএমএসের ছয় বস্তা সরকারি চাল জব্দ ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় খবির মিয়াজিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার খবির মিয়াজি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পারেনি।

মতলব উত্তর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রামে ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে চালের বস্তা ও খালি বস্তাগুলো জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি গোলাম হোসেনের হেফাজতে রাখা হয়।

মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি নেতা মনির হোসেন জানান, যারা এই সমস্ত কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করবন। পাশাপাশি বিএনপির দলীয় নেতার কাছে আহ্বান এ বিষয়ে যাতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জহিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিচ্ছি। অভিযুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, বিষয়টি জেনেছি, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading

আলোচিত

রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ

রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ

সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন সনাতন ধর্মের ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ। এতে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ (৪০)। তিনি নড়িয়া বাজারের চাকধ রোডে ‘মিষ্টি কানন’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তার দোকানে পাওয়া যায় রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশসহ অন্তত ২৪ প্রকারের মিষ্টি। গতবছর রমজান মাসে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। নিন্মআয়ের মানুষ খাবার কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তাদের এই দুরবস্থা দেখে নিজ দোকানের সব পণ্যে মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি শুরু করেন তিনি। তার এমন উদ্যোগে প্রশংসা করেছিলেন অনেকে।

মানুষের মধ্যে সাড়া ও ভালোবাসা পেয়ে এই রমজানেও রোজাদারদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন অভিজিৎ ঘোষ। সিদ্ধান্ত নেন বিনালাভে দুধ বিক্রি করবেন। সেই থেকে রমজানের প্রথম থেকে বাজার থেকে পাইকারি দামে দুধ কিনে এনে লাভ ছাড়াই বিক্রি শুরু করেন। এতে বাজার থেকে ১০-১৫ টাকা কমে দুধ কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ
এখানেই শেষ নয়, দুধের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘসময় সংরক্ষণ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে দেড়লাখ টাকা খরচে কেনেন অত্যাধুনিক এক মেশিন। এতে ক্রেতারা তাদের সময় অনুযায়ী তার থেকে দুধ নিতে পারছেন। তার এমন উদ্যোগ খুশি স্থানীয় ও ক্রেতারা।

সজিব বেপারী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজান এলেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখানে এসে দেখলাম উল্টো।অভিজিৎ দাদা লাভ ছাড়াই দুধ কিনে বিক্রি করছেন। অন্যান্য জিনিস সুলভ মূল্যে পেয়ে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন

জানতে চাইলে মিষ্টি কাননের স্বত্বাধিকারী অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নয়, মানুষের ভালোবাসা পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। মুসলিম ভাইয়েরা যেন এই রোজার মধ্যে আমার কাছ থেকে বাজারের চাইতে কম টাকায় দুধ পান। তাছাড়া আমি আমার দোকানের সব পণ্যে রোজাদারদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছি। আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।’

অভিজিৎ ঘোষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নড়িয়া বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শামীম বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের জন্য অভিজিৎ বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন। এটি অবশ্যই ভালো কাজ। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, সবার উচিত অভিজিৎ ঘোষকে অনুকরণ করা।’

Continue Reading

আলোচিত

বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ

বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাথরুমের ওপরের স্টোররুমে লুকিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। তবে শেষরক্ষা হয়নি তার।

ওই নেতার বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে ওই স্টোররুম থেকে নামিয়ে আনে পুলিশ।

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য ওই নেতার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে স্টোররুম থেকে নেমে আসতে বলছেন। পুলিশ সদস্যদের নির্দেশে তিনি ওই রুমের ঢাকনা খুলে নিচে নেমে আসেন।

পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।

Continue Reading

আলোচিত

‘পালিয়ে যাওয়ার আগে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা!’

‘পালিয়ে যাওয়ার আগে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা!’

পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’

এসময়, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের সেসকল সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃতদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি, কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি।

এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে সেই মুহূর্তে মানবতা বিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।

তাই এ কারণে তাদের কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কি ধরনের নিষ্ঠুরতার সাথে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

Continue Reading

Trending