আন্তর্জাতিক
ভারতের মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা

রাজধানী ইম্ফলে গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের পর ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরের রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসন দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইম্ফলে মণিপুর রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল শিক্ষার্থী-জনতার। সেই অনুযায়ী তারা দুপুর একটার দিকে মিছিল গভর্নর হাউসের কাছাকাছি পৌঁছালে সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষ শেষে দুপুর ২টার কিছু পরে শিক্ষার্থী-জনতাকে পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তার কিছুক্ষণ পরই ইন্টারনেট বন্ধের বিবৃতি দেয় মণিপুর রাজ্য সরকার।
জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে গত বছর মে মাস থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মাঝখানে কয়েক মাস খানিকটা থিতিয়ে এলেও সম্প্রতি ফের তীব্র রূপ নিয়েছে সংঘাত। গত প্রায় দেড় বছরের সহিংসতায় উভয় সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। সংঘাত-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে রাজধানী ইম্ফল ও তার আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে মণিপুরে তৎপর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীও। গত বছর থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তাদের। এতদিন সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড ব্যবহার করে আসা এই গোষ্ঠীর সদস্যরা সম্প্রতি লাদেন ড্রোন এবং বিস্ফোরক রকেটের প্রয়োগ করা শুরু করেছেন, যা ভাবিয়ে তুলেছে রাজ্যের প্রশাসনকে।
মঙ্গলবারের বিবৃতিতে ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণার পাশাপাশি ভুয়া সংবাদ না ছড়ানোর জন্যও কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
আন্তর্জাতিক
তুলশী গ্যাবার্ডের সামনেই এবার ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন!

সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ড। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রসাশনের উদ্বেগের কথাও জানান তিনি। ভারতের পক্ষ নিয়ে যেভাবে তাদের মিথ্যা ছড়ানো প্রোপাগাণ্ডা নিয়ে কথা বলেছেন এবার সেই ভারতে বসেই তিনি দেখলেন কিভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নীপিড়ন চালাচ্ছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদিরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম নিধনের জন্য নিজ দেশেই পরিচিত কসাই হিসেবে। তার সময়ে যেভাবে দেশজুড়ে বেড়েছে মুসলিমদের ওপর অন্যায় অত্যাচার তা ভারতের ইতিহাসে কোন সরকারের সময়ই হয়নি। এবার ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে অবস্থানকালেই মাহারাষ্ট্রের নাগপুরে ঘটতে থাকা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চাক্ষুস স্বাক্ষী হলেন তুলশী গ্যাবার্ড।
উগ্র হিন্দুত্ববাদি সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও এর সাথে আরও কয়েকটি হিন্দুত্ববাদি সংগঠন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং সমাধির পুস্পস্তলিকা পুড়িয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর ছাড়াও মুসলমানদের ওপর নেক্কারজনক হামলার ঘটনাও ঘটায় তারা। বর্তমানে সেখানে কারফিউ চলছে। এখন কি এসব দেখবেন তুলশী গ্যাবার্ড? নাকি তিনি এরপরও গলা ফাটাবেন মুসলিম নিধনকারী উগ্রবাদের জনক নরেন্দ্র মোদির হয়ে?
এইতো কদিন আগে ভারতে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের ওপর মসজিদের সামনেই হামলা চালাতে দেখা যায় উগ্র হিন্দুত্ববাদিদের। এমনকি মোদির অন্যতম আস্থাভাজন একজন পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি মুসলিমদের জুম্মার নামাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
শুধু কি এতটুকু? শেষ পর্যন্ত হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে পবিত্র রমজান মাসেই মুসলিমদের উপাসনালয় মসজিদ ঢেকে দেয় ত্রিপল দিয়ে। এটা সেই ভারত যেখানে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে রাম মন্দির। এছাড়াও আরও অসংখ্য মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায় কসাই নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে।
তুলশী গ্যাবার্ডকে দিয়ে ভারত তার স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ভারত। সর্বশেষ মোদি আমেরিকা সফরকালে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের মনোযোগ আকর্ষণ করে। কিন্তু তখন ট্রাম্প তাতে সায় দেয়নি আর তাই এবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ডকে দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করিয়ে ভারত তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ইসলাম বিদ্বেষী মোদির দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র খুব কাছ থেকে দেখলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ড। এবারও কি তবে তিনি চুপ থাকবেন? নাকি উদ্বেগ জানাবেন?
আন্তর্জাতিক
ভারতের নাগপুরে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানো নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব, কারফিউ জারি

ভারতের নাগপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভের পর তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুরে সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল। বিক্ষোভে আওরঙ্গজেবের একটি ছবি ও ঘাসে ভরা সবুজ কাপড়ে আবৃত একটি প্রতীকী সমাধি পুড়িয়ে দেয় তারা।
পুলিশ জানায়, এদিন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভিএইচপির বিক্ষোভ চলাকালে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ ক্ষুব্ধ হয় ও পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
সোমবার (১৭ মার্চ) নাগপুরের গণেশপেঠ, মহাল ও গান্ধীবাগ এলাকায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। এসময়, পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এদিন, হিন্দু পুণরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল কার্যালয়ের একেবারে কাছের এলাকাগুলোতেই এসব সংঘর্ষ বাঁধে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৩ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। এদিন, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়ে পুলিশ। এছাড়া, নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।
মঙ্গলবার নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, কোটওয়ালি, গণেশপেঠ, তাহসিল, লাকড়গঞ্জ, পাচপাওলি, শান্তিনগর, সাক্কারদারা, নন্দনবান, ইমামবাড়া, যশোধরানগর ও কপিলনগর থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী যোগেশ কদম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, এখনও সহিংসতার কারণ খুঁজে বের করা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
হনসাপুরি অঞ্চলের এক দোকান্দার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি দোকান বন্ধ করছিলেন। এসময়, তিনি দেখেন একদল লোক গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে। দ্রুত তিনি পানি নিয়ে আগুন নেভাতে গেলে তারা তার মাথায় পাথর ছোঁড়ে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা এএনআইকে জানান, সংঘর্ষ শুরুর আগে প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আক্রমণকারীরা। সবার মুখই ঢাকা ছিল। তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও কাঁচের বোতল নিয়ে এসেছিল। এসেই দোকানগুলোতে তারা হামলা চালায়, পাথর ছোঁড়ে ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আন্তর্জাতিক
অবৈধভাবে ইসরাইল প্রবেশের চেষ্টা, গুলিতে নিহত ভারতীয়

জর্ডান থেকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢোকার সময় জর্ডান সেনার গুলিতে প্রাণ হারালেন এক ভারতীয়। নিহতের নাম থমাস গ্যাব্রিয়েল পেরেরা। তিনি ভারতের কেরালা রাজ্যের থুম্বার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ ফেব্রুয়ারি। যদিও কেন তিনি ইসরাইলে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি।
জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাস গতকাল রোববার (২ মার্চ )বিষয়টির কথা জানিয়েছে। একটি দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির কারণে ওই ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দূতাবাস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে দূতাবাস।
পরিবারের কাছে দেহ ফেরানোর জন্য জর্ডানের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।পেশায় মৎস্যজীবী ও রিকশাচালক থমাস চলতি মাসে তিন বন্ধু মিলে পর্যটক ভিসা নিয়ে জর্ডানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার ৫ দিন পর, থমাস ও তার এক বন্ধু এডিশন অবৈধভাবে ইসরাইলে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় থমাসের। পাশাপাশি আহত হয়ে দিনদুয়েক আগে কেরালায় ফিরেছেন থমাসের বন্ধু এডিশন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি চিঠি আসে। যেখানে বলা হয়, থমাস ও অন্য একজন বন্ধু কারকাক জেলা দিয়ে অবৈধভাবে ইসরাইলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে তাদের সতর্ক করা হয়। তারপরও সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। থমাসের মাথায় গুলি লাগায় সেখানেই মৃত্যু হয় তার। থমাসের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দূতাবাসের তরফে হাসপাতালে যাওয়া হবে।
সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। থমাসের পরিবারের কাছে তার পরিচয়পত্রও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অ-আবাসিক কেরালাইটস অ্যাফেয়ার্স (NORKA) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অজিথ কোলাসেরি বলেছেন এটি একটি অবৈধ অভিবাসনের ঘটনা। বৈধ চাকরির ভিসা ছাড়াই তারা ইসরাইলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সমাজের নিম্নস্তরের নিরীহ মানুষ অসাধু রিক্রুটিং এজেন্টদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে। NORKA -কে এ ধরনের নিয়োগের বিষয়ে কখনই অবহিত করা হয় না। ট্যুরিস্ট ভিসার আড়ালে চলছে অবৈধ নিয়োগ। লোকেরা যখন সমস্যায় পড়ে তখনই আমরা বিশদ বিবরণ পাই।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আন্তর্জাতিক
মোদীর অনুরোধ অগ্রাহ্য, আবারও শিকলে বেঁধে ফেরত ভারতীয়দের

অবৈধ ভারতীয়দের দ্বিতীয় ব্যাচকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে আবারও শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঞ্জাবের অম্রিতসারের বিমানবন্দরে ১১৬ জন ভারতীয়কে বহনকারী মার্কিন সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন দলজিত সিং১১ নামে এক যুবক।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অম্রিতসারে আসার সময় তাদের হাত বাঁধা হয়েছিল এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জনকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় শিকলে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। এ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে প্রথম ব্যাচে যে ১০৪ জন ছিলেন তাদের সবার হাত-পা বাঁধা হলেও দ্বিতীয় ব্যাচে পাঠানো নারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাত্র কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। ওই সময় ‘ভারতীয়দের প্রতি মানবিক আচরণ’ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পরও আবারও ভারতীয় অভিবাসীদের শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর আগে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এবার যেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। তার মত ছিল, মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিনিদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। তবে ভারতীয় কূটনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও দেশটির নাগরিকদের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই নেতা এক্সে আরও লিখেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যেটি অম্রিতসার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, এটির ওপর সব নজর থাকবে। তাদের হাত ও পা কী রশি দিয়ে বাঁধা থাকবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ ভারতীয়দের হাতকড়া ও পায়ে শিকল বেঁধে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সামরিক বিমানে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যসভায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
এবার ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ ভারতীয়দের বিমানের তোলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেআইনি ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করলে তাকে বের করে দেওয়া হবে।
২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর শুরুতে মার্কিন সি-১৭ বিমানের দরজা খুলে যেতে দেখা যায়। এরপর বিমানে রাতের অন্ধকারে হাতকড়া পরিয়ে ভারতীয়দের বিমানে তোলা হয়।
এ সময় তাদের পায়েও শিকল পরানো ছিল। এমনকি বিমানের সামনে মার্কিন সেনাকর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক
টিকটকে লাইভের সময় গু’লি করা হয় কোরআন পো’ড়া’নো মোমিকাকে

প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সালওয়ান মোমিকাকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে সুইডেনে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি টিকটকে লাইভ করছিলেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদন মতে, সুইডিশ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরাকি এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রে’ফ’তার করা হয়েছে, যিনি কোরআন পোড়ানোর বেশ কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি আদালতে তার বি’রু’দ্ধে কোরআন অ’বমা’ননার মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল মোমিকার। তবে তার আগেই তাকে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনাটি একটি বাড়ির ভেতরে ঘটেছে এবং যখন পুলিশ সেখানে পৌঁছায় তখন তারা এক ব্যক্তিকে গু’লি’বি’দ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
পরে, পুলিশ নিশ্চিত করে যে ওই ব্যক্তির মৃ’ত্যু হয়েছে এবং তারা হ’ত্যা’র ত’দন্ত শুরু করেছে। ডেনমার্কের পুলিশকেও হ’ত্যা’কা’ণ্ড সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। তবে নিহত ব্যক্তি মোমিকা কি না, অর্থাৎ সরাসরি তার নাম উল্লেখ করেনি পুলিশ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তারা গু’লি’র এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রে’ফ’তার করেছে। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনায় রাতারাতি পাঁচজনকে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়েছে। প্রসিকিউটররা তাদের আ’ট’ক করেছে।’
প্রসিকিউটর রাসমাস ওমান আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা খুব প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।’
সুইডিশ মিডিয়া বলছে, মোমিকা যখন গু’লি’বি’দ্ধ হয়, তখন সে টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করছিল। গণমাধ্যমের তথ্য মতে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিকটকের সেই লাইভটি বন্ধ করেছে। অর্থাৎ, গু’লি’বি’দ্ধ হওয়ার পরও মোমিকার টিকটক থেকে লাইভ চলছিল।
- আন্তর্জাতিক11 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন11 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস5 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস5 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিশেষ প্রতিবেদন11 months ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট5 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- আন্তর্জাতিক4 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- বিনোদন6 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি