যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে অভিবাসী, আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের মধ্যে গৃহহীনতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্ক সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এবং এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি গৃহহীন মানুষকে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থান দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
- ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে, তবে তারা মানুষ নয়!
- ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেবেন প্রিয়াঙ্কা
- এই প্রথম গাড়ির গিয়ার এলো মোটরসাইকেলে
- ৩১ বছর পর দেশে ফিরছেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা আবু বকর
- স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
১০০টিরও বেশি সংস্থাকে একত্রিত করে গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৯৪১ জন অভিবাসীকে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এর আগের বছরে এই সংখ্যা ছিল ৯৭৭ জন।
নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর আশ্রয় এবং অভিবাসন নীতির নিন্দা জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সরকারের নীতির কারণে হাজার হাজার শরণার্থী এবং অভিবাসী আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ফলে তারা গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
গৃহহীনদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি, জরুরি আশ্রয় ত্যাগে বাধ্য করা এবং পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের আমলে আশ্রয় আবেদনের বিপুল ব্যাকলগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়েছে, এক বছরে নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্কের সহায়তা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শরণার্থীদের অনুপাত ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
নেটওয়ার্কের পরিচালক ব্রিজেট ইয়ং বলেন, আমাদের প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট যে, যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থা প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিঃস্ব এবং গৃহহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।