সিলেট
সিলেট ওসমানী এয়ারপোর্টে বিমানের ভেতর মিললো প্রায় দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশের বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ১১ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এ স্বর্ণের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা বিমানের ফ্লাইট (বিজি-২৪৮)-এর ভেরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়। জব্দৃ ১১টি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ২৮৩ গ্রাম। তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি।
স্বর্ণ জব্দের বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস বিভাগের ওসমানী বিমানবন্দর এয়ারফ্রেডের সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ।
তিনি বলেন- স্বর্ণগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আলোচিত
‘স্বপ্নের’ নির্দেশে দাফনের ৭ দিন পর বাবার কবরের পাশে ভাইকে ফের দাফন!
স্বপ্নে মৃত বাবার দেওয়া নির্দেশে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা ভাইয়ের লাশ উত্তোলন করে বাবার কবরের পাশে আবারো কবরস্থ করলেন ভাই। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আবু আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে এনে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনের এক সপ্তাহ পর মৃত আবু আলীর ভাই মাহমুদ আলী তার ছেলেকে নিয়ে গোপনে লাশ উত্তোলন করে নিয়ে যান।
পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভোরে এলাকায় লাশ চুরির অপবাদ তোলেন। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন খুঁজাখুঁজি করে মাহমুদ আলীর বাড়ির পাশ থেকে নতুন কবরের সন্ধান পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ময়মুরুব্বি এসে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেন।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
এ বিষয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ভাই মারা যাওয়ার পর সবাই বলেন, বাবার কবরের পাশে নিয়ে দাফন করার জন্য। তবে আমি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করি। পরে স্বপ্নে দেখি আমার আব্বা বলছেন, ভাইকে যেখানে দাফন করেছি সেখানে তিনি একা ভয় পাচ্ছেন। উনাকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে এনে বাবার কাছে কবরস্থ করতে বলেন। তাই লাশ তুলে স্থানান্তর করেছি।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়া মো. মোস্তাফিজ বলেন, বিষয়টি ধর্মীয় তাই স্থানীয় আলেম ওলামাদের মাধ্যমে বর্তমানে যেখানে লাশ স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে।
আলোচিত
সিলেটে যাত্রীবেশে সর্বস্ব কেড়ে নিতে বেপরোয়া তারা
নিকটাত্মীয় এক রোগীকে দেখতে সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন মা-মেয়ে। তারা নগরীর ব্যস্ততম এলাকা আম্বরখানা থেকে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সিএনজি চলাকালে পথিমধ্যে আরও দুজন যাত্রী উঠেন। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা-মেয়ে।জ্ঞান ফিরলে দেখেন স্বর্ণ ও সাথে থাকা টাকা কিছুই নেই। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশাটি আটক করেন। পরে স্থানীয় জনতা যাত্রী বেশে উঠা একজন ও সিএনজি অটোরিকশা চালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় কৌশলে পালিয়ে যায় একজন।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
শুধু এই মা-মেয়েই নয়, দিনে-দুপরে সিলেট মহানগরে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইকারীরা আরও যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। সর্বশেষ গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় জব্দ করা হয়েছে দুটি সিএনজি অটোরিকশা।
ভুক্তভোগী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহানগরের টিলাগড়, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টুকেরবাজার, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মূলত দুপুর ও সন্ধ্যা নামার পর ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে বেপরোয়া ছিনতাই চক্রের অপ-তৎপরতায়। ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তুলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা নিয়ে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক সিলেটভিউ বলেন, ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। বেশীরভাগ সময়ে তারা যাত্রীবেশে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে তারা। স্বর্ণ, টাকা, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ দাবি জিনিষ তাদের প্রধান লক্ষ। আমরা ছিনতাই রোধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
সূত্র জানিয়েছে, সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ভয়ঙ্কর ফাঁদ পাতে ছিনতাইকারী চক্র। যাত্রীবেশে তারা অটোরিকশায় আগে থেকেই ওৎ পেতে বসে থাকে। সাধারণ যাত্রী তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠলেই সুবিধা মতো জায়গায় নিয়ে ওই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভয়ঙ্কর এ চক্র কতিপয় অটোরিকশা চালকের সঙ্গে আঁতাত করে এমন অপকর্ম ঘটাচ্ছে নগরী ও শহরতলিতে।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২০ জানুয়ারি রাতে মহানগরীর দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ ছিনতাইকারীকেস গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে মিরাবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একটি চক্র। এসময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহপরান থানার বালুরচ এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে বিল্লাল আহমদ এবং জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ভাইয়ারপাড় গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আক্তার আহমদ। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
একই রাতে পাঠানটুলা এলাকায় ছিনতাই করতে সময় আরো ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হচ্ছে, মোগলাবাজার থানার পশ্চিমপাড়ার হাসামপুর গ্রামের মো. ছিদ্দিক আলীর ছেলৈ মো. হামিদুর রহমান এবং নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে আজহার। ছিনতাইকাজে তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ। তাদেরকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এরআগে ১২ ডিসেম্বর ছিনতাই অভিযোগে মহানগরের কিং ব্রিজ এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছে থেকে ছিনতাইকৃত টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গত নভেম্বর মাসে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধকান্ড নিয়ন্ত্রণে ‘হোন্ডা টহল ডিউটি’ নামে বিশেষ একটি টিম গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। রাতে ও দিনে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকা টহল দেন এই টিমের সদস্যরা।
অপরদিকে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলছেন, মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরী হয়েছে চালকরা এসবের সাথে জড়িত। কিন্তু তা সত্য নয়। অনেক সময় যাত্রীবেশে এই কাজ তারা করছে। আবার কেউ কেউ মালিকদের বেশী ভাড়া দিবেন বলে গাড়ি নিয়ে ভাসমানভাবে যাত্রী তুলে এসব অপর্কম করে যাচ্ছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছি।
চালকদের গাড়ি দেওয়ার আগে তাদের এনআইডিসহ সব যাচাই-বাছাই করে দিতে সকল মালিকদের আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
আলোচিত
সিলেটে আবাসিক হোটেলে অসামাজিকতা : ৭ যুবক-যুবতী গ্রেফতার
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের অভিযানে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ৭ যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় ঢাকা প্যালেস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত যুবকরা হলেন, সিলেটের শাহপরাণ (রহ:) থানার দত্তগ্রাম এলাকার সেলিম আহমদের ছেলে জিবান আহমদ (২২), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার নোয়াগাঁও এলাকার আজর আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার বাঘরখলা এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম পাপ্পু (২৪), ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া থানার টানপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৪৫)।
গ্রেফতারকৃত যুবতীরা হলেন, সিলেটের শাহপরাণ(রহ:) থানার বেলগ্রাম এলাকার ইমন চৌধুরীর মেয়ে এনি বেগম (১৯), সিলেটের বালাগঞ্জ থানার মইশাসি এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে মেহের জাবিন নামিয়া (১৯), সিলেটের শাহপরাণ(রহ:) থানার মুরাদপুর এলাকার সাহাব উদ্দিনের মেয়ে নিপা আক্তার তানিয়া (১৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানার নন এফআইআর নং-১৬, তারিখ- ২১/০১/২০২৫ খ্রিঃ, এস.এম.পিএ্যাক্ট-৭৭/১০৪ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দাখিল করে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোচিত
সিলেটে ঘুরতে যাওয়া ৮ তরুণ-তরুণীকে আটকে কাজী ডেকে বিয়ে, রিসোর্টে অগ্নিসংযোগ
সিলেটের মোগলাবাজারে একটি রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া আট তরুণ-তরুণীকে আটকের পর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে কাজী ডেকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এসময় রিসোর্টের একটি অংশে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মোগলাবাজার থানা এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে রিসোর্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন রোববার দুপুর ২টার দিকে ওই রিসোর্টে হানা দেন। এসময় কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মোগলাবাজার থানা পুলিশ। পরে এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দেন। পরে আট তরুণ-তরুণীর বিয়ে পড়ানো হয়।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্টের ভেতরে যান। এসময় কে বা কারা সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আট তরুণ-তরুণীকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন– এলাকার জনগণ তাদের আটক করছে, আমাদের কাছে দেয়নি।
আট তরুণ-তরুণীর বিয়ে পড়িয়েছেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। তিনি বলেন, আমি এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সবার সম্মতিক্রমে চার ছেলে ও চার মেয়ের বিয়ে পড়িয়েছি। এর মধ্যে তিনটি বিয়ের দেনমোহর ১০ লাখ টাকা এবং আরেকটির দেনমোহর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়।
আলোচিত
সিলেটের রিজেন্ট পার্কে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: ১৬ যুবক-যুবতী আটক, বিয়ে দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্কে স্থানীয়দের অভিযানে ১৬ জন যুবক-যুবতীকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে স্থানীয়রা খবর পেয়ে পার্কে গিয়ে কয়েকটি কক্ষে ভাড়া থাকা অন্তত ১৬ জন যুবক-যুবতীকে আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই কক্ষে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন।
আটককৃতদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং তারা সিলেটের বিভিন্ন এলাকা—বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, ও মৌলভীবাজারের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, রিজেন্ট পার্ক দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। এখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং প্রেমিক-প্রেমিকারা গোপনে এসব কাজ চালিয়ে আসছিল। এ সুযোগে দিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে।
অভিযানের পর স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পার্কে ভাঙচুর চালায় এবং ভবনের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে ১৬ জন যুবক-যুবতী অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় ছিলেন, যা স্থানীয়রা সনাক্ত করেন। পরে, এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দেন এবং তারা আসলে বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। তবে প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করলো বিজিবি
হবিগঞ্জে ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়ান। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফকরুল ইসলামের উপস্থিতিতে এসব মাদক ধ্বংস করেন বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়ান এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানজিলুর রহমান ও তার দল।
বিজিবি জানায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জব্দকৃত ২৪ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশী মদ, ৩৬ হাজার ৫০০ লিটার দেশী মদ, ৩ হাজার ৪৮৮ বোতন ফেন্সিডিল, ৯ হাজার ৭৭৫ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৮৮১ পিস ইয়াবা, ১ হাজার ২৫ ক্যান বিয়ারসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক ও বিড়ি রোলার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল বলেন, মাদক ধ্বংস করার সময় পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। আগে গাঁজা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হতো। এতে বাতাসে গাঁজার গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো।
কিন্তু এবার আমরা পরিবেশ অধিদফতরের সহযোগিতায় গাঁজার সাথে বালি ও সিমেন্ট মিশ্রন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছি। এতে কিছুদিন পর সেটি জৈব্য সারে পরিণত হবে। এছাড়াও লিকুইড যে মাদক রয়েছে সেগুলোর বোতল ভেঙে একটি বদ্ধ জায়গায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও চুন মিশিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
- আন্তর্জাতিক9 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস3 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস3 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস2 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক3 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- বিনোদন9 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস