আন্তর্জাতিক
কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা
কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা, যেখানে এক সময় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত; কিন্তু সেটা এখন এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে।
এই এলাকার ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের অনুপস্থিতিতে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয়, অনেক ব্যবসায়ী বলতে বাধ্য হচ্ছেন—‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়।’
প্রসঙ্গত, কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিট, হগ মার্কেট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং কেওয়াইডি স্ট্রিটের মতো এলাকার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোতে এখন কোনো প্রাণ নেই। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপ—সব কিছুই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, আর ব্যবসায়ীরা তাদের বিক্রি পুরোপুরি শূন্য হয়ে যাওয়ায় ঋণে ডুবে যাচ্ছেন।
এই এলাকায় গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল একটি বিশেষ ব্যবস্থা—বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট, হোটেল এবং সেবা—যা এখন একেবারে মরে যাচ্ছে।
দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি খান বলেন, আমরা একেবারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছি। বাংলাদেশি পর্যটকরা না এলে আমাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। তাদের উপস্থিতি ছিল আমাদের ব্যবসার একমাত্র জীবিত প্রাণ। এখন তারা আসছেন না, আর আমরা ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়েছি।
বাংলাদেশি পর্যটকদের নির্ভর করে গড়ে ওঠা হোটেল মালিক পিন্টু বসাক বলেন, দুই দশক ধরে এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সব কিছু সাজিয়ে রেখেছি—হোটেল রুম, খাবারের রেস্টুরেন্ট, দর্শনীয় স্থান—সব কিছু। কিন্তু এখন তারা আর আসছেন না। আমাদের হোটেল রুম ভাড়া ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে এবং আমরা আর্থিকভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি।
আবেগতাড়িত হয়ে মার্কুইস স্ট্রিটের রেস্টুরেন্ট মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, এটি শুধু একটি ব্যবসা ছিল না, এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি প্রতীক ছিল। আজ যখন বাংলাদেশি পর্যটকরা আর আসছেন না, তখন আমাদের মনে হচ্ছে, এই সম্পর্কের প্রতীকও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা যতটুকু চেষ্টা করছি, ততটুকু ভাঙনের হাত থেকে এই এলাকায় বাঁচানো যাচ্ছে না।
কলকাতার ব্যবসায়ীরা এক ভয়াবহ অবস্থা মুখোমুখি হয়েছেন। হোটেল রুম ভাড়া কমে গেছে, দোকান-পাটে ক্রেতা নেই, রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি খাবারের অর্ডার নেই—যে ব্যবসা এক সময় ছিল লাভজনক, তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তাদের আর্থিক সঙ্কট এতটা গভীর হয়ে উঠেছে যে, অনেকের পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) একটি জরুরি বৈঠক করেছেন, যেখানে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অনুষ্ঠানে তাদের একমাত্র লক্ষ্য—বাংলাদেশি পর্যটকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, যাতে তারা কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়।
তবে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশঙ্কা এখনো কাটেনি। তারা জানেন না, এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এবং তাদের টিকে থাকার জন্য কত দিন লড়াই করতে হবে। কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা এখন এক কঠিন সময় পার করছে এবং যদি অবস্থা দ্রুত না বদলায়, তাহলে অনেক ব্যবসায়ী হয়তো তাদের জীবিকা হারিয়ে ফেলবেন।
আন্তর্জাতিক
ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগ তুলে মুসলিম যুবককে হত্যা
ভারতের মুরাদাবাদে এক মুসলিম যুবককে গরু জবাই করার সন্দেহে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহেদিন কুরেশি। শাহেদিনকে এলাকার উগ্রবাদী হিন্দুরা মারধর করলে, গত সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর, বেশ কিছু মুসলিম প্রধান এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুরাদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং জানান, ঘটনার পর, শাহেদিনকে মুরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, রাত সাড়ে ১২টার সময় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সকালে, শাহেদিনের দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার।
কুমার রণ বিজয় সিং বলেন, শাহেদিন এবং তার সঙ্গীরা সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মণ্ডী সমিতি এলাকায় গরু জবাই করছিলেন, এমন অভিযোগ করেন এলাকার কিছু লোকজন। এসময়, ভিড় আসার খবরে শাহেদিনের সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও, শাহেদিনকে আটকে ফেলে তারা। পরবর্তীতে, শাহেদিনকে সেখানে গালিগালাজ ও বেধড়ক মারধর করা হয়।
কুমার রণ বিজয় সিং আরও জানান, ঘটনাস্থলে মৃত গরু পাওয়া গেছে। কিছু লোক এই ঘটনার জেরে শাহেদিনকে লাঠিসোটা ও রোড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত শাহেদিনের হত্যার সাথে সম্পর্কিত কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং।
এদিকে, মজহোলা স্টেশন হাউস অফিসার মোহিত চৌধুরী জানান, গরু জবাইয়ের অভিযোগে নিহত শাহেদিন এবং মোহাম্মদ আদনানের (২৯) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম এফআইআর আইপিসি ধারা ৩০২-এর অধীনে শাহেদিনের ভাই মোহাম্মদ শাহজাদের অভিযোগে দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় এফআইআর গরু জবাইয়ের অভিযোগে দায়ের করে মজহোলা পুলিশ। গত বুধবার শাহেদিনের সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শাহেদিন একজন বডিবিল্ডার ছিলেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শাহেদিন, তার স্ত্রী রিজওয়ানা এবং ৩ ছেলে — আরাম (১৩), আশি (১১) এবং ইবজান (৯) সহ আসলতপুর এলাকায় বাস করতেন।
শাহেদিনের স্ত্রী রিজওয়ানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি পশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোন মানুষকে হত্যা করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা কারা, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়? আমার স্বামীর সাথে যা ঘটেছে, তা নৃশংস। তার অকাল মৃত্যু হয়েছে।’
শাহেদিনের ওপর হামলার ভিডিও সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় শাহেদিন মাটিতে পড়ে আছেন, কোন নড়াচড়া করছেন না।
আন্তর্জাতিক
ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি ভারতীয় কৃষকদের
বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের দুর্দশা চরমে। মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা ।
কৃষকরা অভিযোগ করছেন, আমাদের কষ্টার্জিত পণ্য রফতানির সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের পথে বসানো হয়েছে। এখন এই পেঁয়াজ ও আলু শুভেন্দু অধিকারী আর রিপাবলিক টেলিভিশনের ময়ূখ রঞ্জনকেই কিনতে হবে। সেসময় উত্তেজিত কৃষকরা ময়ূখের বাড়ি ভেঙে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর অবস্থা বেগতিক দেখে কৃষকরা রিপাবলিক টেলিভিশনের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করেন। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংকট বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এক কৃষক বলেন, আমরা শুনছি, বাংলাদেশ আমাদের থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। অথচ ময়ূখ বলে যাচ্ছে, তারা নাকি আমাদের পেঁয়াজ নিয়ে অপমান করেছে! এই বিভ্রান্তির জন্য ও-ই দায়ী। পাশাপাশি, কৃষকরা রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তুলোধুনো করেছেন।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজ্যে চরম উত্তেজনা। রাস্তায় পেঁয়াজ-আলু ফেলে কৃষকরা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, “আমাদের কষ্ট কেউ বুঝতে পারছে না। তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে, অথচ বাজারে ২০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক
এবার নাকে খত দিয়ে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাইছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
ধসে পড়েছে কলকাতার ব্যবসা। ভারত বাংলাদেশকে যে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল উল্টো তারাই শিক্ষা পেয়ে গেছে কারণ কলকাতার অধিকাংশ ব্যবসায়ই বাংলাদেশি পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে কলকাতায় এখন হাহাকার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশিদের এখন ভিসা না দিয়ে উল্টো বিপদে পড়েছে ভারত।
পর্যটকশূন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। কেনাকাটা, চিকিৎসা ও পণ্য রপ্তানি করে ভারতের ব্যবসায়ীরা এতদিন দাপটের সাথে টিকে ছিল। এখন তারা হতাশাগ্রস্ত। খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেই উঠে আসছে এমন তথ্যসমূহ।পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘প্রথম কলকাতা’ ব্যবসায়ীদের করুণ আর্তনাদের চিত্র তুলে ধরেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কাস্টমার একদম কমে গিয়েছে।
আমরা মূলত বাংলাদেশি কাস্টমারদের উপর নির্ভরশীল। হাসপাতালগুলো ফাঁকা, বেকার বসে আছে ডাক্তাররা। হাসপাতালের কতৃপক্ষরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা না আসায় আবাসন খাতেও ধস নেমেছে। ক্ষতির মুখে পড়ে এখন অনেক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে আছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে হাসিনা চলে যাওয়ার মোদি সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যে প্রোপাগান্ডা দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের জনগণের মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তৈরি করেছে তাতে শাপে বর হয়েছে। কলকাতার এই দুর্দশার পর ভারত বুঝতে পারছে ড. ইউনূসের সাথে লড়তে হলে তাদেরই ক্ষতি হবে।
তাই ভারত বাংলাদেশের সাথে আগ বাড়িয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে এসে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
ভারতের কূটনীতি যে বাংলাদেশের কাছে ব্যর্থ হয়েছে তা প্রমাণিত। ভারত বয়কটের যে পরিকল্পনা তাতে কুপোকাত হয়েছে মোদি সরকার। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এসবের জন্য মোদি সরকার ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জুকে দায়ী করছে। বাংলাদেশ আলু-পেঁয়াজ না কেনায় তাদের এখন মরণদশা।
তাই মোদি সরকারের পতন ও ময়ূখের শাস্তি দাবি করছেন তারা। ময়ূখের বািতে হামলা ও তার বাড়িকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের সাথে শত্রুতা করে ভারত নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।
আন্তর্জাতিক
সুখবর দিল ইতালি, স্পন্সর ভিসায় শ্রমিক নেবে ৪ লাখের বেশি
ইতালির শ্রমবাজারে অস্থির সময় কাটলেও স্পন্সর ভিসা পাওয়ায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থানই এর মূল কারণ বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আগামী তিন বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে চার লাখেরও বেশি শ্রমিক নেবে ইতালি সরকার। তবে, এই সুযোগ পাওয়ার জন্য যেতে হয় দীর্ঘ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে ইতালি সরকারের নেয়া কঠোর এই পদক্ষেপের ফলে এ বছর আবেদন জমার সংখ্যা কমেছে রেকর্ড সংখ্যক।
তবে ৩৬টি দেশের আবেদনকারীর তুলনায়, এবারও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৈধ উপায়ে ইতালি যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
কঠোর নিয়মের পরও ইতালির স্পন্সর ভিসা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দৃঢ় অবস্থানই এর কারণ বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আন্তর্জাতিক
চান্স পেয়েও পূরণ হলো না কানাডায় পিএইচডির স্বপ্ন যমজ ২ বোনের
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পিএইচডি করার জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া যমজ বোন ডালিয়া গাজি ইবাইদ এবং স্যালি গাজি ইবাইদ। তাদের স্বপ্ন ছিলো কানাডায় পিএইচডি শেষ করে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তবে, স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেলো।
গত ৫ ডিসেম্বর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দুই বোনই। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত দুই বোনর মৃত্যুর খবর সত্য বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে যে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে “সিস্টেম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করার জন্য ওয়াটারলুতে চান্স পাওয়া যমজ বোনদের মৃত্যুর খবর জানাতে পেরে গভীরভাবে দুঃখিত। তারা দু’বোনই ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ স্টুডেন্ট রিলিফ ফেলোশিপ (এসআরএফ) পেয়েছিলেন।”
‘ডালিয়া এবং স্যালিকে তাদের অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্ব এবং গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়েছে,’ বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি বোনদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি নোটও শেয়ার করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে তারা কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পেয়েছে জেনে তারা ভীষণ আগ্রহী ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পায়নি। আমাদের মেয়েদের যত্ন নেয়ার এবং সাহায্য করার জন্য আপনাকে (বিশ্ববিদ্যালয়) ধন্যবাদ।”
বিশেষ প্রতিবেদন
সরকারি চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে এনে জোরপূর্বক বিয়ে!
ভারতের বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অবনীশ কুমার। দ্রুতই শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিবেন তিনি। তবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগেই তার সাথে ঘটে গেছে অদ্ভুত এক ঘটনা।
প্রকৃতপক্ষে, ডজনখানেক লোক বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় অবনীশ এবং জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয়। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রিকশাযোগে স্কুলে যাওয়ার পথে দুটি গাড়ি তার পথরোধ করে। পরে গাড়ি থেকে ডজনখানেক লোক নেমে তাকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অবনীশ কুমারের বাবার নাম সুধাকর রাই। বিহারের বেগুরসরাই জেলার রাজৌরার বাসিন্দা তিনি। তার পাশের জেলা লক্ষীসরাইয়ের গুঞ্জন নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা গুঞ্জনের আত্মীয়রা করেছে বলে জানায় অবনীশের পরিবার।
গুঞ্জন অভিযোগ করে বলেন, অবনীশের সঙ্গে আমার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। সে আমাকে বিয়ে করে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তার স্কুলেও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। আমি যখন আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই এবং তাকেও বিয়ের জন্য বলি তখন সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। যার কারণে বর তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছি।
- আন্তর্জাতিক9 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস3 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস3 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস2 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক3 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- বিনোদন9 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস