Connect with us

তথ্য-প্রযুক্তি

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?

শীত এসেছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না পড়লেও বাতাসে শীতের আমেজ রয়েছে। আলমারির তলা থেকে বেরিয়ে এসেছে গরম জামাকাপড়। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হিটার, গিজারের ব‍্যবহার। কিন্তু শীতকালে কত তাপমাত্রায় চালাচ্ছেন ফ্রিজ।

শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা গরমের চেয়ে অনেকটাই কম থাকে। শীতে সব খাবার ফ্রিজে রাখার প্রয়োজনও থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়ার কোনও দরকার পড়ে না।

এমন অন‍্যান‍্য অনেক কারণেই শীতকালে ফ্রিজের ব‍্যবহারও খানিকটা কমে যায়। কিন্তু ফ্রিজ বন্ধ রাখারও যায় না। আবার শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক রাখলে বিদ‍্যুতের বিলও আসবে কম।

অনেকে শীতে কিছুসময়ের জন‍্যই ফ্রিজ বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু এতে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হতে পারে। তবে কয়েকটি পদ্ধতি মানলে শীতে ফ্রিজে খাবারও ভাল থাকবে। পাশাপাশি, বিদ‍্যুতের বিলও অনেক কম আসবে।

যদি ইতিমধ্যেই বরফ সংরক্ষণ করা বা ফ্রিজে পানির বোতল রাখা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন তবে আপনি এটিকে কম তাপমাত্রায়ও সেট করতে পারেন। কারণ বরফ এবং ঠান্ডা পানির জন‍্যই ফ্রিজকে বেশি ঠান্ডা রাখা দরকার।

এছাড়াও, গ্রীষ্ম এবং শীত অনুযায়ী ফ্রিজে তাপমাত্রা সেট করার একটি বিকল্প রয়েছে। শীতকালে কেবল দুধ, শাকসবজি, ফল, রান্না করা খাবার তাজা রাখার জন‍্য ফ্রিজের প্রয়োজন হয়।

শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম সেট করবেন না। শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই শ্রেয়।

রেফ্রিজারেটরের লিটার, ওয়াট এবং সাইজ অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিতে পারেন।

Continue Reading

আলোচিত

নাসা রেকর্ড করলো ফেরেশতাদের শব্দ!

নাসা রেকর্ড করলো ফেরেশতাদের শব্দ!

মহাকাশে শোনা গেল ফেরেশতাদের শব্দ। নিজেদের অজান্তেই নাসা আবিষ্কার করল আসমানে থাকা ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি। নাসার একটি গবেষণায় উঠে আসে মহাশূন্যকে নিঃশব্দ ভাবা হলেও আসলে সেখানে প্রতিনিয়ত শব্দ হচ্ছে। গবেষকরা সেই শব্দ শুনে বলছেন, যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসঙ্গে গান গাইছেন। অথচ শবে মেরাজের রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, মহাকাশে প্রতিনিয়ত ফেরেশতারা জিকির করছেন। তবে কি এবার রেকর্ড করা হলো ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি!

আবু দার রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি আকাশে কি দেখেছেন বা কি শুনেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখো না। আর আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শোনো না। আকাশে প্রচন্ড কাঁপুনির শব্দ হচ্ছে আর তা হওয়ার কারণ আছে আকাশের চার আঙ্গুল পরিমাণেও জায়গা খালি নেই। সবখানেই ফেরেশতারা সিজদায় আছেন আর আল্লাহর জিকির করছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসটিতে প্রচন্ড ঝাঁকুনির মত শব্দ হচ্ছে বলেন। আগে ধারণা করা হতো, মহাকাশ যেহেতু একটি বায়ুশূন্য স্থান তাই সেখানে শব্দ হওয়া সম্ভব না। কিন্তু মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার একাধিক গবেষণায় বর্তমান সময়ে এটা প্রমাণিত যে, মহাকাশের শব্দ হচ্ছে।
নাসা রেকর্ড করলো ফেরেশতাদের শব্দ!
সংস্থাটির আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট অথবা লিসেন টু দ্যা ইউনিভার্স শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মহাকাশের শব্দ হয়। এমনকি নাসার অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও যন্ত্রপাতি এর সাহায্যে এসব শব্দ রেকর্ডও করা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মহাকাশে মুক্তভাবে ছড়িয়ে ছিটে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রে রেডিয়েশনের কারণে এ কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়। তার কারণেই শব্দের উৎপত্তি। শব্দগুলো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ আকারে থাকে, পরে সেগুলোকে শব্দতরঙ্গে রূপান্তর করা হয়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির শব্দ হয়।

নাসাও বর্তমানে বলছে শব্দ কাঁপুনির কারণে হয়। এমনকি গবেষণা সাথে যুক্ত একজন গবেষক বলেন, এই শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসাথে গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হচ্ছে খ্রিস্টানদের একরকম ধর্মীয় সঙ্গী যা একসাথে গাওয়া হয়। অথচ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছেন যে, ফেরেশতারা একসাথে আল্লাহর জিকির করছেন।

নাসা মহাকাশে এমন শব্দ আবিষ্কার করেছে ঠিকই, কিন্তু তারা এর পেছনে বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করছেন। কোন গবেষণায় বলা হচ্ছে নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র, কোথাও আবার বলা হচ্ছে প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণের শব্দ। তবে শব্দগুলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের বর্ণনার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। আসলেও এ শব্দগুলো ফেরেশতাদের জিকিরের শব্দ কিনা তা আল্লাহ ভালো জানেন।

Continue Reading

তথ্য-প্রযুক্তি

আপনি কি ফোনে ১০০% চার্জ দেন? জানুন কী ভুলটাই না করছেন

আপনি কি ফোনে ১০০% চার্জ দেন? জানুন কী ভুলটাই না করছেন

অনেকেই আছেন ফোনে ১০০ ভাগ চার্জ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাডাপ্টর খোলেন না। যা ফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ব্যাটারি ভালো রাখতে চার্জ কতটা দিলে ভাল জানেন?

সাধারণত ২৪ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করতে, ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা হয়। প্রায়ই এই প্রশ্ন করা হয়, ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ করা উচিত, যাতে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট না হয়। আসলে কিন্তু যখন ফোনের ব্যাটারি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা হয়, তখন ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। জেনে নেওয়া যাক কেন এমন হয়।

মোবাইলের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি। এই ব্যাটারি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ চার্জিং হলে ভালো কাজ করে। কেউ যদি সবসময় এটি ১০০ শতাংশ চার্জ করে, তাহলে এটি সেই ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে।
আপনি কি ফোনে ১০০% চার্জ দেন? জানুন কী ভুলটাই না করছেন
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির জীবনকাল ২ থেকে ৩ বছর বলে মনে করা হয়। একটি স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে ৩০০ থেকে ৫০০ চার্জ সার্কল থাকে। এর মানে হল ফোনের ব্যাটারি শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৫০০ বার চার্জ করা যাবে।

ব্যাটারি চার্জ করার সর্বোত্তম উপায় হল ব্যাটারির চার্জ যতটা সম্ভব মধ্যম পরিসরে রাখা। ব্যাটারির মাত্রা ০ শতাংশ বা ১০০ শতাংশের মতো হলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ চার্জ দিয়ে বন্ধ করা।

Continue Reading

তথ্য-প্রযুক্তি

কানাডায় টিকটকের সব কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ

কানাডায় টিকটকের সব কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কানাডায় টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখনই নাগরিকদের টিকটক ব্যবহারে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি কানাডা প্রশাসন।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ উল্লেখ চীনভিত্তিক ‘বাইটড্যান্স’-এর মালিকানাধীন টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের আদেশ জারি করেছে কানাডার সরকার।

কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যামপেইন বলেন, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হওয়ায় নজরদারি রয়েছে টিকটকের ওপর।

তবে কানাডায় টিকটক ব্যবহারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত একটি ব্যক্তিগত পছন্দ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত বছর সকল সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করে অ্যাপ্লিকেশনটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছিল দেশটির সরকার। শ্যামপেইন বলেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি আইন অনুসারে নেওয়া হয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগগুলোর পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয়। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সেসব কোম্পানিকে পর্যালোচনা করে কানাডা।

অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জের দাবি করে টিকটকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, টিকটকের কানাডার অফিস বন্ধ করা এবং শত শত কর্মসংস্থান ধ্বংস করা কারোরই জন্য মঙ্গলজনক নয়। কেবল কানাডা নয়, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন থাকলে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রেও নিষিদ্ধ করা হবে।

এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোম্পানি ফেডারেল আপিল কোর্টে লড়াই করছে টিকটক। এটি বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, টিকটক বেইজিংকে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে এবং তাদের ওপর নজরদারি চালাতে অনুমতি দেয়। এমনকি এই অ্যাপটি গুজব ছড়ায়।

Continue Reading

তথ্য-প্রযুক্তি

এই প্রথম গাড়ির গিয়ার এলো মোটরসাইকেলে

এই প্রথম গাড়ির গিয়ার এলো মোটরসাইকেলে

ইতালির মিলানে কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইআইসিএমএ(EICMA)। এই বাইক প্রদর্শনীতে পাঁচ পাঁচটি বাইক নিয়ে হাজির হতে চলেছে কেটিএম (KTM)। তাই বর্তমানে লাইম লাইটের ফোকাস রয়েছে এই অস্ট্রিয়ার কোম্পানির দিকে। তবে শুধু বাইক নয়, একেবারে নতুন একটি প্রযুক্তিও আনতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই প্রথম গাড়ির গিয়ার মোটরসাইকেলে সংযুক্ত হলো। এটি হচ্ছে এএমটি বা অটোমেটেড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স । শুনে অবাক হলেন নিশ্চয়ই! তা অবশ্য হওয়ারই কথা। কারণ এতদিন এই প্রযুক্তি কেবলমাত্র গাড়ির ক্ষেত্রেই শোনা গেছে। কিন্তু এবারে কেটিএম-এর হাত ধরে বাইকেও এই বৈশিষ্ট্য আসতে চলেছে। আসন্ন ইআইসিএমএ-তে এটিও উন্মোচিত হবে।

বর্তমানে একাধিক বাইকের টেস্টিং চালাচ্ছে কেটিএম। তার মধ্যে সম্প্রতি একটি প্রোটোটাইপ মডেলে ক্লাচ লিভারের দেখা পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই জল্পনা দানা বেঁধেছে। এদিকে কেটিএম-এর টিজারেও তাদের ফ্ল্যাগশিপ মডেলে ক্লাচ লিভার দেখানো হয়নি। ফলে এটি এএমটি গিয়ারবক্সের ইঙ্গিত দেয়।

যাই হোক, বেশ কিছু দিন ধরেই হোন্ডা তাদের বাইকে ডিসিটি গিয়ারবক্স ব্যবহার করছে। আবার ইয়ামাহা অটো গিয়ারবক্সসহ এমটি ০৯ বাজারে এনেছে। অন্যদিকে বিএমডব্লিউও তাদের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল আর ১৩০০ জিএস অ্যাডভেঞ্চার মডেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। তাই কেটিএম-এর আসন্ন প্রযুক্তি বাজারে সাড়া ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Continue Reading

তথ্য-প্রযুক্তি

ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে, তবে তারা মানুষ নয়!

ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে, তবে তারা মানুষ নয়!

মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস করতে পারবে কি পারবে না তা নিয়েই বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই।

দশকের পর দশক ধরে সেই নিয়ে গবেষণা চলছে। নানা রকম দাবি-দাওয়াও সামনে এসেছে এ পর্যন্ত। এবার এই বিষয়ে বড় ঘোষণা করলেন চিত্র পরিচালক সাইমন হল্যান্ড। যে সে চিত্র পরিচালক নন সাইমন। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হয়ে কাজ করেছেন তিনি। বিবিসির হয়ে তৈরি করেছেন তথ্যচিত্রও। মহাশূন্যে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের খোঁজ মিলেছে বলে এবার দাবি করলেন তিনি।

সাইমন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলছে। তবে তারা মানুষ নন। বরং আমাদের ছায়াপথে বসবাসকারী, ভিনগ্রহী শক্তি।

সাইমনের দাবি, এই মুহূর্তে বিশদ তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত তাবড় সংস্থা। হতে পারে আগামী মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিনগ্রহীদের খোঁজ পাওয়ার ঘোষণা হবে। সাইমন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের প্রধান পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু সিমনের নেতৃত্বে ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে সিগনাল পাওয়া গিয়েছে। একটি অলাভজনক সংস্থা এই গবেষণায় সহায়তা জোগাচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে, প্রক্সিমা সেনটরি নক্ষত্র সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সিগনাল এসে পৌঁছেছে বিজ্ঞানীদের কাছে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্কস রেডিও টেলিস্কোপের ব্রেকথ্রু লিসন ক্যান্ডিডেট ১ (BLC-1) ওই সিগনাল ধরতে সফল হয়। সেই নিয়ে এতদিন ধরে গবেষণা চলছিল। কোথা থেকে ওই সিগনাল এসেছিল, তার উৎস খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে ওই সিগনাল আসেনি বলে ২০২১ সালে একদল বিজ্ঞানী সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কিন্তু গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য ক্রমশ হাতে এসে পৌঁছায়, তাতে অবস্থান বদলাতে শুরু করেন তারা।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাইমন জানিয়েছেন, BLC-1 যে সিগনালটি ধরতে সক্ষম হয়, তা সাধারণ কোনও শব্দ নয়। বরং সবদিক থেকে ওই সিগনাল অনন্য। একটিমাত্র উৎস থেকে ওই সিগনাল এসে পৌঁছয়া পৃথিবীতে। মানবজাতির ব্যবহার ব্যাতীত কোনও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালেও ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে এমন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। চীনা বিজ্ঞানীরা তখন জানান, Five-Hundred-Metre Aperture Spherical Telecsope (FAST)-এ ভিনগ্রহীদের পাঠানো সিগনাল ধরা পড়েছে। পরবর্তীতে সেই মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান তারা।

তাই সাইমনের ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গেলেও, অতীত স্মরণ করে সাবধানীও সকলে। যদিও সাইমনের দাবি, এবার আর কোনও বিভ্রান্তি নেই। তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রতিযোগিতা চরমে। হতে পারে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের চেয়ে ঢের আগে চীনা বিজ্ঞানীরা তথ্যপ্রমাণসহ ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের প্রমাণ তুলে ধরবেন পৃথিবীবাসীর সামনে।

Continue Reading

তথ্য-প্রযুক্তি

সিলিং ফ্যান একটানা কতক্ষণ চালানো যায়?

সিলিং ফ্যান একটানা কতক্ষণ চালানো যায়?

গরম থেকে রেহাই পেতে বেশিরভাগ মানুষ যে যন্ত্রটার ওপর ভরসা রাখেন তা হলে সিলিং ফ্যান। তবে এই সময়টায় সিলিং ফ্যানের হাওয়াও যেন গায়ে লাগে না। আর ফ্যান অফ হলে তো কথাই নেই। দরদর করে ঘাম হতে শুরু করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকেরই এসি কিংবা কুলার কেনারও সামর্থ্য থাকে না। ফলে ঘরের সিলিং ফ্যানই হয় ভরসা।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সারাদিন ধরে মানুষের সঙ্গী ফ্যান৷ আর সেই সিলিং ফ্যান যদি খারাপ হয়ে যায়! তা হলে তো আর কথাই নেই। এই গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়।

গরমকালে অনেক সময়ই বাড়িতে প্রায় সারা দিনই ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়৷ এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, একটানা কতক্ষণ ফ্যান চালানো উচিত?

অনেক সময় আমরা ফ্যানের ব্লেড পরিষ্কার করি না। ফলে ব্লেডে নোংরা জমলে কিন্তু সমস্যা বাড়ে।

অনেকেই এসির সঙ্গেও ফ্যান চালান। ঘর একটু ঠান্ডা হলে এসি বন্ধ করেন, তবে ফ্যান চলতে থাকে। অর্থাৎ আমাদের অনেকের বাড়িতেই দিনের অনেকটা সময় ফ্যান চলে।

সিলিং ফ্যান দীর্ঘ সময় চললে কিছুটা গরম হয়। তাই অনেকেই ভাবেন, বেশি গরম হলে ফ্যান খারাপ হতে পারে। আসলে পাখার মোটর একটানা ঘুরতে থাকলে ফ্যান গরম হতে থাকে।

একটানা অনেকটা সময় ফ্যান চালিয়ে রাখলে পাখার বিয়ারিং বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে একটা সময়ের পর ফ্যানের সুইচ অফ করতেই হয়।

একটানা ৮ ঘণ্টা সিলিং ফ্যান চালানোর পর অন্তত এক ঘণ্টা বন্ধ রাখুন। এতে সিলিং ফ্যানের আয়ু বাড়বে। মোটর ও বিয়ারিং-এর উপর চাপ অনেকটা কমবে।

Continue Reading

Trending