Beanibazarview24.com
মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে মশারি অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু হাতের কাছে মশারি টাঙানোর কিছু না পেলে বিরক্ত লাগে। সাময়িক এই সমস্যা মেটাতে কলেজ হোস্টেলে অদ্ভূত উপায়ে মশারি টাঙালেন এক শিক্ষার্থী। তিনি ওই কাজের জন্য ব্যবহার করেছেন অ্যানাটমি বিভাগে রাখা কঙ্কালের হাড়।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর কাজটি করেছেন মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র কৌসর শেখ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে হোস্টেলে মশারি টাঙানোর জন্য দড়ি পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষমেশ কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে থেকে হাড় এনে মশারি টাঙিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। পরদিন সেই ছবি আবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্টও করেন।
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবির নিচে তিনি লেখেন, ‘যখন আপনি মশারি টাঙাতে বাধ্য কিন্তু হোস্টেলে কোনো দড়ি নেই। যার হাড় সে না জানি কী ভাবছে এসব দেখে।’ সেই ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। আর এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সরব হয়েছেন অন্যরা।
ঘটনাটি নেহাত মজা করেই করা হয়েছে বলে দাবি করছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ছাত্র কৌসর শেখ। তার বক্তব্য, ‘রোববার দড়ি কিনে নিয়ে এসেছি। মজা করার জন্য হাড় দিয়ে মশারি বেঁধেছিলাম। ফেসবুকে ছবিও পোস্ট করেছি। তবে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
একই কথা বলছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি শুভ চট্টোপাধ্যায়। তাছাড়া ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যাক্ষা সুহৃতা পাল। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে মেডিকেল ফ্রন্টের স্থানীয় নেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী বলেন, অন্যান্য মেডিকেল কলেজের হোস্টেলগুলোর মতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হোস্টেলেও বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনা রয়েছে। সময়মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই পড়ুয়াদের থাকতে হয়। যদিও স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতির দাবি, আগে কিছু সমস্যা থাকলেও বর্তমানে অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.