Beanibazarview24.com
কোটি মানুষের ভরসার স্থল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ওমেক)। সেখানে থেকে উদ্বোধনের মাত্র ১ মাসের মাথায় ফেরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এনজিওগ্রাম মেশিন!
অভিযোগ রয়েছে সিলেটের কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার উপর মহলে তদবির করে এবং ঢাকায় প্রয়োজনীয়তার দোহাই দিয়ে সেটি সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতগেল এনজিওগ্রাম মেশিনের খবর। মেশিন না হয় এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যাচ্ছে; কিন্তু ওসমানী হাসপাতালে রোগীর জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পর্যন্ত চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছে ফার্মেসিতে। কে দেখবে কে রুখবে এসব।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেই রোগী ও তাদের স্বজনদের পোহাতে হয় নানা জঞ্জাল- এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড ও ওয়ার্ডের কর্মচারীদের উপর। উৎকোচ ছাড়া রোগীর স্বজনদের প্রবেশ কিংবা পর্যাপ্ত সেবা প্রদান করেন না তারা।
এসব সমস্যার সঙ্গে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে যোগ হয়েছে চুরির সমস্যা। গত রমজানে এ সমস্যা ধড়া পরেছে। ৯ মে হাসপাতালের ৩য় তলার ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ওষুধ চুরি হয়। পরে জানা যায় হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকুরিরত কর্মচারী নাসির এসব ওষুধ চুরি করেছেন।
পরে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই রোগীর স্বজন ছাতক উপজেলার আশরাফ উদ্দিন। এছাড়া এর আগেও এভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায়ই রোগীর ওষুধ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান অনেক রোগীর স্বজনরা। আর এসব ওষুধ কম দামে বিক্রি করা হয় ফার্মেসিতে। রোগীরা পরে বেশি টাকা দিয়ে সেই ওষুধ কিনে নিয়ে আসতে হয়।
এছাড়া দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয় বাইরে ডায়গনস্টিক সেন্টারে। সিলেট ওসমানীতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও তা অচল বলে বাইরে প্রাইভেটে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর এতে মেশিন অপারেটর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা ডায়গনস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে কমিশন পায়।
এসব অনিয়মের কবলে পড়ে সিলেট থেকে এনজিওগ্রাম মেশিনটি চলে যাচ্ছে ঢাকায়।
প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল অত্যাধুনিক কোবাল্ট ৬০ সিটিস্ক্যান। এই প্রথম এধরণের কোন অত্যাধুনিক মেশিন আসে বাংলাদেশে।
বর্তমান সরকার চলতি বছর এরকম ৩টি কোবাল্ট ৬০ সিটিস্ক্যান এনে এর একটি বরাদ্দ দেয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে। গত ১৮ মে সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন হাসপাতালে নতুন এই এমআরআই ও সিটি স্ক্যান মেশিনের উদ্বোধন করেন। কিন্তু তার এক মাসের মাথায় সেটি ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ইউনুছুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন,এই খবরটি সঠিক নয়।
সূত্রঃ সিলেট প্রতিদিন
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.