Connect with us

আলোচিত

কানাডায় মা-বাবা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা

কানাডায় মা-বাবা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা

এত দিন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কানাডায় স্থায়ী হওয়া সন্তানরা তাদের মা-বাবা, দাদা-দাদি ও নানা-নানির জন্য স্থায়ী আবাসনের (পিআর) ব্যবস্থা করতে পারতেন। তবে ২০২৫ সালে এ ধরনের সুবিধা নতুন করে আর দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ব বিষয়ক বিভাগ (আইআরসিসি)।

প্যারেন্ট অ্যান্ড গ্রান্ডপ্যারেন্টস স্পন্সরশিপের (পিজিপি) আওতায় নতুন বছরে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে আইআরসিসি। এতে করে কানাডার স্থায়ীভাবে বসবাসকারীরা আগের মতো মা-বাবা, দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানির জন্য পিআরের ব্যবস্থা করতে পারবেন না।

আইআরসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে যারা পিজিপির আবেদন করেছিলেন নতুন বছরে শুধু সেসব আবেদনপত্র নিয়ে কাজ চলছে। তবে কেউ চাইলে দেশটির সুপার ভিসা সুবিধার আওতায় নিজের নিকটাত্মীয়দের কানাডা বসবাসের সুযোগ করে দিতে পারবেন। এ ভিসার আওতায় এক নাগাড়ে পাঁচ বছর কানাডা থাকার সুযোগ পাবেন তারা।

অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে ২০২৫ সালে আইআরসিসি ২০ শতাংশ পিআর সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে বছরের শুরুতেই প্রভাব পড়েছে পিজিপি প্রোগ্রামের ওপর। আগের আবেদনের ভিত্তিতে পিজিপি প্রগামে এ বছর সাড়ে ২৪ হাজার মানুষকে কানাডায় স্থায়ীকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আইআরসিসি।

অভিবাসনে কড়াকড়ি
বিগত বছরগুলোতে কানাডা অভিবাসননীতিতে উদার থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, বর্তমানে কানাডা অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে চায়।

অভিবাসনের ব্যাপারে কঠোর নীতির ফলে ২০২৫ সালে পিআর প্রগ্রামের বাইরে কানাডায় বসবাসকারী অস্থায়ী ১২ লাখ বিদেশি দেশত্যাগে বাধ্য হতে পারেন- এমন তথ্য উঠে এসেছে টরন্টোভিত্তিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

এখন থেকে প্রতিবছর পিআর সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআরসিসি। বিগত সময়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখ পিআর দেওয়া হলেও এখন সেটি কমিয়ে ২০২৫ সালে ৩ লাখ ৯৫ হাজার অভিবাসীকে পিআর দেবে বলে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এ সুবিধা ২০২৬ সালে কমিয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে আরো কমিয়ে ৩ লাখ ৬৫ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৫ সালে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ৯৪ হাজার ৫০০ ফ্যামিলি, অর্থাৎ পারিবারিক ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইআরসিসির। এর মধ্যে ৭০ হাজার ভিসা পাবে স্থায়ীভাবে দেশটিতে বসবাসকারীদের স্ত্রী-সন্তানরা।ফ্যামিলি ট্যুর প্যাকেজ

ট্রুডো সরকার কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধি থামানোর প্রয়াস হিসেবে এই নীতি গ্রহণ করেছে। ২০১৫ সাল থেকে উদারনীতির আওতায় বিগত এক দশকে কানাডায় অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। এতে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সুবিধা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাই অভিবাসনের ওপর কড়াকড়ি আরোপে অটুট থাকছে দেশটির সরকার।

বিপাকে বাংলাদেশিরা
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাশ জয় (৩৫) পাঁচ বছর ধরে কানাডার একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করছেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কানাডায় পিআর পাওয়া রীতিমতো দুরূহ হয়ে উঠেছে। পিআর পেতে সরকার-নির্ধারিত নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হয়, যার মান বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। এতে যেসব বাংলাদেশি পিআর ছাড়া কানাডায় বাস করছেন তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

শুধু প্রসেনজিৎ নন, কানাডায় প্রায় এক দশক ধরে ব্যবসা করছেন সালাহউদ্দিন বাচ্চু (৩৭)। তিনি জানান, তার কানাডা যাওয়ার প্রথমদিকে চাইলে নিজ খরচে স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে আসা যেত। দিন দিন এই অবস্থা কঠিন হয়েছে। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ পিজিপির আবেদন করছেন আর সুযোগ পাচ্ছেন লটারিতে নাম ওঠা হাতেগোনা কয়েকজন।

কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ষাটের দশক থেকে কানাডায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের বসবাস শুরু হলেও আশির দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গত দুই দশকে কানাডায় বাংলাদেশির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এত দিন কানাডায় বাংলাদেশিদের কাজ পাওয়া কিংবা পিআর সুবিধার জন্য কোনো বেগ পেতে না হলেও দিন দিন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে। এর ওপর পিজিপি সুবিধা বন্ধ হওয়ায় যারা পিআর পেয়েছেন, পরিবার নিয়ে তারাও পড়েছেন বিপাকে।

Continue Reading

আলোচিত

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে সিলেটি হামজার

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে সিলেটি হামজার
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে সিলেটি হামজার

ঘরের মাঠে নয়, ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। আর সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম।

আগামী ২৫ মার্চ এশিয়া কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত করেনি অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। তবে এএফসির অনুমোদন পেলে শিলংই হবে সেই ম্যাচের ভেন্যু। যে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে হামজা চৌধুরীর।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে সিলেটি হামজার
এদিকে, শীতকালীন দলবদলে লেস্টার সিটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তার সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেড। লেস্টারে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া হামজা দলবদলের পর শেফিল্ডের জার্সিতে অন্তত নিয়মিত মাঠে নামতে পারবেন।

Continue Reading

আলোচিত

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গু জ ব ভারতীয় গণমাধ্যমে
সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটের এমসি কলেজের মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে গত ১১ জানুয়ারি বয়ান করেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সেই মাহফিলের জন্য পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ বাংলা।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই দাবিতে কয়েকটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়।

প্রকৃতপক্ষে ওই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে; কুয়াশায় যাতে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মন্দির কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী হাসান আল মাহমুদ জানান, আলোচিত ছবিগুলো সিলেটের গোপাল টিলা মন্দিরের। মূলত সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি উপলক্ষে মন্দিরটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাতে করে কুয়াশায় প্রতিমাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

তিনি আরো জানান, ওয়াজের ৩ দিন আগ থেকেই প্লাস্টিক টাঙ্গানো হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়ে গেলেও প্লাস্টিকগুলো এখনও সেখানে আছে এবং আরও কয়েকদিন থাকবে।

আলোচিত ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি কর পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা। মন্দির কমিটির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই ভিত্তিহীনভাবে এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একজন কারিগর নামমাত্র মজুরিতে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে আশেপাশের পূজামণ্ডপগুলোতে সেগুলো বিক্রি করেন।

যেহেতু আমাদের মন্দিরে নিরাপত্তা ভালো, তাই আমরা তাকে এখানে প্রতিমা তৈরির জন্যে জায়গা দিয়েছি। শীতকালের কুয়াশার কারণে প্রতিমা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং শিশু-কিশোরদের অযাচিত কৌতূহল এড়াতে কারিগর নিজেই মন্দিরের চারপাশ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, গোপাল টিলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সাথে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাহফিলের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌজন্যে: কালেরকন্ঠ

Continue Reading

আলোচিত

সিলেটে আজহারীর মাহফিল শেষে ৩৩ জিডি, আটক ১০

সিলেটে আজহারীর মাহফিল শেষে ৩৩ জিডি, আটক ১০

সিলেট নগরের এমসি কলেজ মাঠে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে অংশ নিতে গিয়ে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় ৩৩টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও দুটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার নারী ও ছয় পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।সিলেটের খাবার ও রেস্তোরাঁ

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে আনজুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট আয়োজিত সিলেট এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। সমাপনী দিনে বয়ান পেশ করেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। এদিন তার বয়ান শুনতে লাখ লাখ মানুষ এমসি কলেজ মাঠে জড়ো হন।

পুলিশ জানায়, মাহফিলে আসাদের মোবাইলফোন ও স্বর্ণ চুরির ঘটনায় থানায় ৩৩টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীরা। সাধারণ ডায়েরি সূত্র ধরে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে চার নারীকে স্বর্ণ ও ছয় পুরুষকে মোবাইল চুরির ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত সিলেট শাহপরাণ থানায় ৩৩টি জিডি ও দুটি চুরির মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন ১০ জন।

Continue Reading

আলোচিত

তাহসানের বিয়ের পর লাইভে মিথিলার কান্না! কতটা সত্যি?

তাহসানের বিয়ের পর লাইভে মিথিলার কান্না! কতটা সত্যি?
তাহসানের বিয়ের পর লাইভে মিথিলার কান্না! কতটা সত্যি?

দীর্ঘ সাত বছর সঙ্গীহীন থাকার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। এর দুদিন পর তার প্রাক্তন স্ত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা লাইভে এসে কান্না করেছেন বলে চর্চা চলছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে।

কিন্তু কতটা সত্যি মিথিলার কান্নার ঘটনা?

এ ব্যাপারে তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানায়, ঘটনাটি সত্য নয়। তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাহসানের দ্বিতীয় বিয়ের পর তার প্রাক্তন স্ত্রী মিথিলা লাইভে এসে কান্না করেননি, বরং বিয়ের পর মিথিলাকে তার ফেসবুক পেজের স্টোরিতে মেয়ে আইরার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবি শেয়ার করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে মিথিলার কান্নার কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি বরং এতে তাহসানের বর্তমান স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে তাহসানের বিয়ের স্থিরচিত্র এবং সাবেক স্ত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও কন্যা আইরা তেহরীম খানের মিরর সেলফি যুক্ত রয়েছে।

এর পাশাপাশি ভিডিওটিতে একটি ভয়েসে মিথিলাকে নিয়ে আলোচিত দাবিটি তোলা হয়। তবে ভিডিওতে দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এছাড়া বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্র আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

গত ৪ জানুয়ারি মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন তাহসান। তারপর থেকে তুমুল চর্চায় রয়েছেন এই দম্পতি।

এর আগে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট মিথিলাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তাহসান। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের সংসারে আসে কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই তাহসান তার প্রাক্তন স্ত্রী মিথিলার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।

এর দুই বছরের মাথায় ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন মিথিলা। প্রায় সাত বছর ধরে তার সঙ্গেই সংসার করছেন এই অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী।

Continue Reading

আলোচিত

গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ, বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ, বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের আপ্যায়ন করার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে, বিকেলে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের স্বাক্ষরিত এক অব্যাহতি পত্র দেয়া হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরীর অনুসারী ও আদারভিটা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সুমন মন্ডল (৪০) এবং একই এলাকার হাসান প্রামনিকের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) ফজলুল প্রামানিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে এক ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরী নির্দেশে যুবদল কর্মী সুমন মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মী জোড়খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার মাগুরা এলাকার মৃত ছৈয়দ আলী মণ্ডলের ছেলে এফাজ মণ্ডলের বাড়ি থেকে গত রাতে একটি গরু চুরি করে। পরে, মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরু জবাই করে রান্নার জন্য তৈরি করা হয়।

পরে, সকালে এফাজ মন্ডল তার গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। গরু চুরির ঘটনায় এফাজ মন্ডলের বাড়িতে লোকজন জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনসহ গরুর মালিকসহ কয়ড়া বাজারে যাওয়ার পথে মাংস ব্যাবসায়ী ফজলুর কাছে গরু মাথা ও চামড়া দেখে গরু সনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবদল কর্মী সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে আটক করে। এ সময় গরু চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে পুলিশ।

আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে৷

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কেনো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, গরু চুরি ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে কাজ চলছে।

Continue Reading

আলোচিত

সাজানো বাগান ধ্বংসের পথে, লন্ডনে বিপর্যস্ত টিউলিপ

সাজানো বাগান ধ্বংসের পথে, লন্ডনে বিপর্যস্ত টিউলিপ

ফ্ল্যাট-কাণ্ডে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, লন্ডনের বিতর্কিত ওই ফ্ল্যাটটি নিয়ে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) তদন্তের মুখেও পড়তে পারেন।

এর আগে গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তার ক্ষমতাচ্যুত খালা শেখ হাসিনার এক সহযোগীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। যেটির তথ্য তিনি গোপন রেখেছেন। ওই সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেছে টিউলিপকে।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসে যেতে দেখা গেছে।

ডেইলি মেইল আরও জানিয়েছে, মিথ্যা কথা বলার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। টিউলিপকে ‘প্রতারক মন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ২০২২ সালে তারা তার ফ্ল্যাট নিয়ে তদন্ত করেছিল। ওই সময় তারা খুঁজে পেয়েছিল এটি আসলে তিনি অন্য একজনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু তখন টিউলিপ মিথ্যা কথা বলেন যে, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দিয়েছেন।

ওই সময় ডেইলি মেইলকে তিনি হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছে ব্রিটিশ পত্রিকাটি। তারা জানিয়েছে, এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া্ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন টিউলিপ। এরপর আর এটি প্রকাশ করেনি ডেইলি মেইল।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কোড’ উপদেষ্টা এখন তদন্ত করবেন, টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে ডেইলি মেইলের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছিলেন কি না।

ব্যাপক চাপে পড়ার পর টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে ডেইলি মেইলকে যে তথ্য দিয়েছিলেন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। টিউলিপের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির একটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে, টিউলিপের বাবা-মা তাকে ফ্ল্যাটটি কিনে দেননি। এটি আসলে ‘কৃতজ্ঞতার’ অংশ তার স্বৈরাচার খালার সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।

অন্যদিকে তদন্তের মধ্যেই সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর তিনি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না বলেও রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে।

টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয় এতে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই তাকে দায়িত্ব সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগগুলো বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ।

এমন প্রেক্ষাপটে লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার হিসেবে তাকে বাছাই করাই ‘স্বচ্ছ ছিল না’ মন্তব্য করে বুধবার দ্য টাইমস লিখেছে, টিউলিপ এ পদের জন্য একমাত্র বিকল্প ছিলেন না।

তাকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ার সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, স্যার কিয়ার স্টারমার তার উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা ও যোগ্যতা যাই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের বসিয়ে রেকর্ড করেছেন।

যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবাখাতের ভবিষ্যত কিংবা কীভাবে লন্ডনকে শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এই এমপি কমই আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাই হোক যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাপারে অনেকগুলো অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তা টিউলিপের আবাসন বা ‘উপহারের ফ্ল্যাট’ এবং এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র খুঁজবেন। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।

দ্য টাইমস আরও বলছে, টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিরোধীদের ফাঁদেও পড়তে পারেন। সর্বোপরি তার স্বজনকে দিয়ে, শেখ হাসিনার সহিংস কর্মকাণ্ড, আত্মসাৎ, দুর্নীতি আর নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন দিয়ে সিটি মিনিস্টারকে মাপা উচিতও নয়। কিন্তু তিনি তার সমর্থকদের প্রভাব থেকেও দূরে থাকেননি। যে কারণে তিনি দেশ-বিদেশে নৈতিক তদন্তের মুখে পড়েছেন।

Continue Reading

Trending