আলোচিত
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছরের মুগ্ধ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১০ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন রায়ান রাশিদ মুগ্ধ। ৯ বছর বয়সী মুগ্ধ আজ যা করেছে, তা আর দেশের গণ্ডিতে আটকে নেই। বর্তমানে সেরা দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে সে।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, র্যাপিড দাবায়ও পাঁচবার জিতেছেন খেতাব। আর ব্লিটজের তো আটবারের চ্যাম্পিয়ন। সর্বকালের সেরা দাবাড়ু কিনা, এ নিয়ে আলোচনা হয় নিয়মিত। জিততে জিততে এমন অবস্থা যে ২০২৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই খেলেননি কার্লসেন।
রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মুগ্ধ আজ শনিবার অনলাইন দাবার সবচেয়ে বিখ্যাত প্লাটফর্ম চেজ ডট কমে ঘটিয়েছে এ কাণ্ড। এই ওয়েবসাইটে নিজের কোনো প্রোফাইলও ছোট মুগ্ধর। জাতীয় দলের আরেক দাবাড়ু এবং ওর কোচ নাঈম হকের প্রোফাইল থেকে খেলায় অংশ নেওয়া মুগ্ধ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে।
কার্লসেনের সঙ্গে মুগ্ধ চেজের বুলেট ফরম্যাটে খেলেছে। এক মিনিটের মধ্যে এই ধরনের ম্যাচ শেষ করতে হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এক রাউন্ড পর এক রাউন্ড নির্ধারিত হয় কে কার সঙ্গে খেলবে। সেভাবেই ম্যাগনাস কার্লসেনের মুখোমুখি হয় মুগ্ধ।
মুগ্ধর কোচ নাঈম হক সংবাদমাধ্যম সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, ‘ও সব সময় অনলাইনে খেলতে চায়। আমি বললাম, তাহলে আমার আইডি দিয়ে খেলো। এরপর ও হঠাৎ ফোন করে বলে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে। শুনে তো আমি বিশ্বাস করিনি। ও এরপর খেলার স্ক্রিনশটসহ সব তথ্য পাঠিয়ে দেয় আমাকে।’
এর আগে গত মে মাসে ১০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন দাবাড়ু ফস্তিনো ওরো চেজ ডট কমেরই বুলেট ব্রল টুর্নামেন্টে কার্লসেনকে হারিয়েছিল। পরের মাসেই ১০ বছর ৮ মাস ১৬ দিন বয়সে অভিমন্যু মিশ্রকে (সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার) পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার ইতিহাস গড়েছে ওরো।
আজ ওরোর চেয়েও কম বয়সে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে মুগ্ধ, ‘আমি শুরুতে ভাবতেই পারিনি কার্লসেনকে হারিয়ে দেব। তবে এক সময় এসে উনি একটা কুইন ব্লান্ডার করেন। এরপরই আমি বুঝতে পেরেছি ম্যাচটা জিততে পারব। শেষ পর্যন্ত জিতে গেছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানোয় আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে এই ম্যাচ অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
আন্তর্জাতিক
ভারতের অহংকার চূর্ণ করা পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশার পরিচয়

গভীর রাত। চারদিকে নিস্তব্ধতা। আর তখনই আকাশে গর্জে উঠল ককপিটে ওঁৎ পেতে থাকা পাকিস্তানের আকাশজয়ী ‘বাজপাখি’ আয়েশা ফারুকের ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের এক ঝলক ক্ষিপ্রতা, এক নিখুঁত নিশানা আর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের অহংকার রাফাল পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়েমুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়, সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা ‘পক্ষীরাজ’ রাফাল।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ভারতীয় রাফাল ভূপাতিতের ঘটনা শুধু সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নেরও এক মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি সফল আকাশযুদ্ধ নয়- বরং নারী নেতৃত্ব, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও কৌশলগত চমৎকারিত্বের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান। পরিবারে তখন শুধুই লড়াই আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু সেই পরিবেশেই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলেন তার মা। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি আর সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।
আয়েশার যাত্রা ছিল কাঁটাভরা। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ এবং পুরুষপ্রধান পেশা হিসেবে পরিচিত বিমানবাহিনীতে নারীর প্রবেশ সহজ ছিল না। ফ্লাইট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর তাকে শুনতে হয়েছে নানা কটুকথা। অনেকেই ভাবতেন, তিনি সফল হতে পারবেন না।
কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে আয়েশা পেছনে তাকাননি। কঠিন প্রশিক্ষণ, ১৪-১৮ ঘণ্টার পরিশ্রম, মানসিক চাপ-সব কিছু মোকাবিলা করেই হয়ে ওঠেন তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে দক্ষ পাইলটদের একজন।
এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেন, আমাকে নারী বলে কেউ আলাদা করে দেখেনি। এখানে সবাইকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। যুদ্ধবিমান চালানো কোনো বিলাসিতা নয়। এটা দায়িত্ব, এটা প্রতিজ্ঞা। তিনি জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টায় দিনের শুরু হয়। ফ্লাইট, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ এবং বিশ্লেষণ মিলিয়ে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কাজ।
আয়েশা ফারুকের জন্য ফাইটার জেট পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ ছিল অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, ‘শুরুর দিকে অনেকেই ভাবত আমি হয়তো পারব না। কিন্তু ওদের সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।’
আয়েশা আরও বলেছেন, যুদ্ধবিমান চালানো কোনো সাধারণ চাকরি নয়। এটা কেবল বসে থাকার কাজ নয়। একটানা পরিশ্রম, মানসিক চাপ আর শারীরিক ফিটনেস সবকিছুতেই সেরা হতে হয়। আমাদের দিন শুরু হয় ভোর ৪টায়। কখনো কখনো রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ চলে। আবার অনেক সময় রাতে উড়াল দেওয়ার শিডিউলও থাকে। এই কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই আয়েশা তৈরি হয়েছেন একজন সাহসী ও দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসাবে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
সাহসিকতা আর সংগ্রামের প্রতীক
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০।
মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।
আয়েশার কথায় স্পষ্ট, এই যুদ্ধের আকাশে তিনি এসেছেন, সৌন্দর্যের মোহ নয়, তাকে টেনেছে দায়িত্বের ডাক। তাই যুদ্ধবিমান নয়, যেন এক জীবন্ত অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছেন তিনি- দেশ রক্ষার পাহারায়।
আলোচিত
দামি মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই, হাতেনাতে দুজন গ্রেফতার

বেশভুষা দেখে মনে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা কোনো কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্তু আসলে দামি মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানী ঢাকায় ছিনতাই করে বেড়াতেন তারা। এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও নিজেদেরকে শোধরাননি। ছিনতাই পেশায় ফিরেছেন বারবার। ফল স্বরূপ গ্রেফতার হলেন আবার, হাতেনাতে।
রাজধানীর মতিঝিলে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া এই দুই যুবক হলেন মনির হোসেন ওরফে নিরব (৩০) ও পিন্টু ওরফে জহিরুল (৩৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু ও সুজুকি ব্র্যান্ডের জিক্সার মডেলের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, তারা দুজনেই একাধিক মামলার আসামি ও পেশাদার ছিনতাইকারী।
মতিঝিল থানা সূত্র জানায়, রোববার রাত দশটার দিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনীর কাঁচাবাজার সংলগ্ন তিশা বাস কাউন্টারের সামনে মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাইয়ের সময় তাদেরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
মতিঝিল থানা সূত্র আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাই করতেন। গ্রেফতারকৃত মনির হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ১১টি মামলা এবং পিন্টুর বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতিসহ সাতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আলোচিত
সিলেটে আ.লীগ নিষিদ্ধের মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি

সিলেটে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ নেতা সন্দেহে এক যুবককে মারধরের পর পুলিশে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে তাকে ধরে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক যুবকের নাম মামুন। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মামুন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, সারা দেশের মতো সিলেটেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি ও ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীসহ জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্তর্জাতিক
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত: পাকিস্তানের নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা জবাব

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডনের
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের ২৯ টি এবং রাতে আরও ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে- ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি।
তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্তের আগেই ভারত গত ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়।
এতে পরবর্তীতে নিহত বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়ায়।
ভারতের এই হামলার পরই পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে।
এদিকে শুক্রবার (৯ মে) বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জেলায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। এই হামলায় এক নবজাতকসহ পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আলোচিত
এখন আর দেশে তোদের হাসিনা নেই, পালা! বিএসএফ-কে উদ্দেশ্য করে সিলেট সীমান্তের তরুণরা!

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বিএসএফ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে নলজুরি সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সার্ভে দল ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কাজ শুরু করে। সার্ভে কাজে সহযোগিতা করছিলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। তবে সার্ভে চলাকালে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা আমরা জানি না। এই সমীক্ষার বিষয়ে আমাদের কেউ জানাননি।
সিলেট বিজিবি (৪৮ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সীমান্তের আমস্বপ্ন এলাকার এই খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দখলে ছিল। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতায় মাঠটি ভারতের অংশ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হলেও এতদিন এটি অপদখলীয় ভূমি হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছেন।’
তিনি আরও বলেন, বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলাকালীন এই মাঠটি যে ভারতের অংশ তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেননি। তারা ধরে নিয়েছেন যে মাঠটি ভারত নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আলোচিত
সিলেটে মসজিদ পরিষ্কারের শর্তে মিললো জামিন

৫০টি গাছ লাগিয়ে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি শুক্রবার মসজিদে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে, আমপারার ১০টি সুরা অর্থসহ মুখস্থ ছাড়াও রাসূল (স.)-এর জীবনী পাঠ, পড়তে না পারলে কারো মাধ্যমে শুনতে হবে; এসব শর্তসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে এক আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার এ আদেশ দেন সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক। এসব নির্দেশনা সম্বলিত একটি বন্ড তৈরি করে, এতে আসামির স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।সিলেট ভ্রমণ প্যাকেজ
বন্ড সম্পাদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি সাদ্দাম হোসেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কিসমত রসুলপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামে বাস করেন।
মুক্তির পর সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আদালতের রায়ে আমি খুব খুশি। খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে ভুল পথে গিয়েছিলাম। এখন থেকে আদালতের নির্দেশনা পালন করে ভালো পথে চলতে চাই।
জানা যায়, আদালতের শর্ত প্রতিপালনে নিশ্চয়তাস্বরূপ ৫শ টাকার বন্ড সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এতে আরও কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে- আগামী ১ বছর প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। উক্ত সময়ে কোনো অপরাধ করা যাবে না। শান্তির লক্ষ্যে সদাচরণ করতে হবে এবং আদালত, প্রবেশন অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলব মতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হতে হবে। উক্ত সময়কালে তিনি তার পরিবারের নির্ভরশীলদের প্রতি যত্নশীল হবেন এবং পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখবেন। প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে তিনি পেশা ও বাসস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন না। সব সময় আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট বাসস্থান বা পেশায় থাকতে হবে। মাদক সেবন ও বিক্রয় এবং মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবেন না।
- আন্তর্জাতিক1 year ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন1 year ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- বিশেষ প্রতিবেদন1 year ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট7 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন7 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি
- প্রবাস7 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস7 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক6 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা