সিলেট
সিলেটে এক তরুণীর সাথে দুই তরুণ আটক

সিলেটে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক তরুণীর সাথে দুই তরুণকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। হোটেলে অবস্থান করে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।সিলেটের খাবার ও রেস্তোরাঁ
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সুরমার কদমতলীস্থ হোটেল প্রবাসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া স্বপ্ননীড় ১৭০ নম্বর বাসার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম তুহিন (২১), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার হোসেনপুর তালুকদার বাড়ির আবদুল জলিলের ছেলে রাসেল আহমদ (২৬) ও পপি (৩০) নামের এক তরুণী।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আলোচিত
পারফিউম ব্যবসার আড়ালে দেশের সবচেয়ে বড় হুন্ডির ব্যবসা

দেশে পারফিউম ব্যবসার আড়ালে সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অনুসন্ধান চালিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য পেয়েছে। হুন্ডি কারবারে অভিযুক্ত কোম্পানিটির নাম আল হারামাইন পারফিউমস। কোম্পানির মালিক সিলেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এ ব্যবসায়ী এখন গোল্ডেন ভিসার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাস করছেন। খবর- বণিক বার্তাসিলেটি পোশাক
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের তথ্য অনুযায়ী, মাহতাবুর রহমান নাসিরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে। অন্যান্য দেশে তার দৃশ্যমান ব্যবসা মূলত আমদানি-রফতানির। যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মাহতাবুর রহমান নাসিরের পুরো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কই হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পারফিউম বা আমদানি-রফতানি ব্যবসার আড়ালে তার প্রধান ব্যবসা মূলত এক দেশের অর্থ অন্য দেশে পাচার করা।
এ ব্যবসায়ীর সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে সম্প্রতি সিআইসির একটি দল ইউএই যায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পাশাপাশি অন্য যেসব দেশে তার সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর তথ্য চেয়েও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে সিআইসি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেটে মাহতাবুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে ১০৪টি সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সিআইসির পক্ষ থেকে মাহতাবুর রহমান নাসির ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা হয়। এ তালিকায় মাহতাবুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, ছেলে মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, ভাতিজা মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও মোহাম্মদ এহসানুর রহমান এবং আল হারামাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদের নাম রয়েছে। ব্যাংক হিসাব ছাড়াও তাদের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা এবং ভূমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমগুলো মূলত হুন্ডির টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত হয়। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির শোরুমে কেউ টাকা জমা দিলে দুবাইয়ের সিটি সেন্টারে সে টাকা দিরহাম আকারে পরিশোধ করা হয়। ছোট কোনো অংকের অর্থ এসব শোরুমে লেনদেন হয় না। বরং বড় ব্যবসায়ী বা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার অর্থ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে শোরুমগুলোয় কেবল বিশেষ একটি খাতায় হিসাব রাখা হয়। হুন্ডি কারবারের পাশাপাশি মাহতাবুর রহমানের স্বর্ণ চোরাচালানের বিস্তৃত নেটওয়ার্কও রয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমরা ঢাকায় ও দুবাইয়ে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দেখেছি, ৩-৪ ঘণ্টায়ও সেখানে পারফিউম কিনতে কোনো গ্রাহক আসেনি।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ছাড়াও মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিস্তৃত হুন্ডি নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও প্রভাবশালীদের অর্থ পাচারে সহায়তাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুশাসনের ঘাটতি ও অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১২ মার্চ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে টানা নয় বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মাহতাবুর রহমান নাসির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেন, ‘মাহতাবুর রহমান নাসিরকে নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। যেসব নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, সেগুলোরও সত্যতা নিরূপণের কাজ চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলে তবেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।’
আল হারামাইন পারফিউমসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, কোম্পানিটির পারফিউমের মূল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশের শোরুমগুলোয় সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য রয়েছে। দেশে কোম্পানিটির শোরুম রয়েছে ১৫টির বেশি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, গুলশানের পিংক সিটি ও সেন্টার পয়েন্ট এবং বায়তুল মোকাররম মার্কেটে কোম্পানিটির শোরুম রয়েছে। চট্টগ্রামে চারটিসহ আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর শহরেও।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো কোম্পানিটির সবক’টি শোরুমই লোকসানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে আল হারামাইন গ্রুপ বাংলাদেশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) দায়িত্বে আছেন পরিমল চন্দ্র ধর।
তিনি বলেন, ‘এতগুলো শোরুম থাকলেও বাংলাদেশে আমরা কখনো মুনাফা করতে পারিনি। এখানে পারফিউমের ওপর ১৫০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এত ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে মুনাফা করা সম্ভব নয়। আগে যা ব্যবসা ছিল, গত কয়েক মাসে সেটিও শেষ হয়ে গেছে। আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমে গেছে।’
শোরুমের আড়ালে আল হারামাইন গ্রুপের হুন্ডি তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ধর বলেন, ‘এনবিআর তার দাবি প্রমাণ করে দেখাক।’
দেড় দশক ধরে মাহতাবুর রহমান নাসির দেশ-বিদেশে একজন আলোচিত চরিত্র। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে সিলেটে ‘কাজী প্যালেস’ নামে রাজকীয় বাড়ি নির্মাণ করে প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। বিলাসবহুল ওই বাড়িতে ভিড় জমাতেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি আমলা ও অলিগার্করা। আর প্রভাবশালী এসব ব্যক্তিরা দুবাই ভ্রমণে গেলে থাকতেন মাহতাবুর রহমানের অতিথি হয়ে। তাদের থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরিসহ চিত্তবিনোদনের আয়োজন করতেন তিনি।
সিলেটের ইসলামপুর এলাকায় নির্মাণ করা বাড়িটি নিয়েও নতুন করে তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে দুই দফায় বাড়িটি পরিদর্শন করেছে সংস্থাটি। দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনের সময় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীসহ একজন স্থপতিকেও সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বাড়িটির নির্মাণ ব্যয় নিরূপণ করা।
বাড়িটিতে ব্যবহৃত বিলাসবহুল উপকরণ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারা। পরিদর্শক দলের একজন সদস্য বলেন, ‘বাড়িটিতে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, যেসব আসবাবপত্র বাড়িতে আছে, সেগুলো আমরা কখনো দেখিনি। এ কারণে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করাও সম্ভব নয়। এসব উপকরণ আমদানির সময় যথাযথ কর পরিশোধ করা হয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।’
মাহতাবুর রহমান নাসির জানিয়েছেন, আট একর জায়গাজুড়ে নির্মিত তিনতলা বাড়িটির বিল্ডিং জোন প্রায় ৮০ হাজার বর্গফুট। ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে ২৯টি বিলাসবহুল মাস্টার বেড। বাড়িতে এক সঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। এর নিচতলায় রয়েছে নয়টি ডাইনিং। আসবাবের পাশাপাশি প্রায় সব নির্মাণ উপকরণও বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। জার্মানি, দুবাই, ফ্রান্স ও লেবাননের প্রকৌশলীরা বাড়ি নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন।
এনবিআর কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ হলো বাড়িটি নির্মাণে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, তা আইন মেনে আমদানি করা হয়নি। যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, সেটিও মাহতাবুর রহমানের আয়কর নথিপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।
মাহতাবুর রহমানের অপরাধ তদন্তের দায়িত্বে থাকা অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী বাড়ি-গাড়ি, হোটেল, মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পদ কিনেছেন, তার প্রায় সবারই পথপ্রদর্শক ছিলেন মাহতাবুর রহমান। দেশ থেকে টাকা পাচারে সহায়তা করা, সে দেশে সম্পদ কিনতে সহযোগিতা করা, আমিরাতের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করে দেয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপেই এ ব্যবসায়ীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি কমিশন পান, সেটিই তার আয়ের প্রধান উৎস। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই আমরা তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিলাম। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সেসব তদন্ত শেষ করা যায়নি।’
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করছেন মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির।
তিনি বলেন, ‘আমার আয়ের প্রধান উৎস আল হারামাইন পারফিউমস। বাংলাদেশে লোকসানে থাকলেও বিশ্বব্যাপী এটি খুবই জনপ্রিয়। আমি কখনো হুন্ডির ব্যবসা করিনি। অবৈধ কোনো ব্যবসা আমার নেই। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়া আর কোথাও আমার কোনো ব্যবসা নেই।’
যদিও আল হারামাইন পারফিউমসের ওয়েবসাইটে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও প্রতিষ্ঠানটির শোরুম আছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এনবিআরের অনুসন্ধানকারীদের ভাষ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ছোট এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে বাংলাদেশীদের রেমিট্যান্সের অর্থ কিনে নেয় মাহতাবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান। সেসব অর্থ বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বাংলাদেশী অর্থ পাচারকারীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই বিশ্বের ৮৬টি দেশে তার ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।
পতিত সরকারের প্রভাবশালীদের আতিথেয়তা দিয়েই এখন বিপদে পড়েছেন বলে দাবি করছেন মাহতাবুর রহমান নাসির। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে এমপি-মন্ত্রীরা দুবাই যাওয়ার আগে আমাকে খবর দিতেন। তারা কেউ দুবাই গেলেই বিমানবন্দরে গাড়ি পাঠাতে হতো। দূতাবাস থেকেও আমাকে বলা হতো, অমুক মন্ত্রী এসেছেন, কী মেহমানদারি করতে হবে, কোথায় রাখতে হবে। ওই সময় মেহমানদারি না করা ছিল অপরাধ। এখন দেখছি মেহমানদারি করাটাই অপরাধ হয়ে গেছে।’
এ আতিথেয়তার বদলে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেননি বলে আরো দাবি করেছেন দীর্ঘ নয় বছর এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ধরে রাখা এ ব্যবসায়ী।
তথ্যসূত্র : বণিক বার্তা
আলোচিত
সিলেট থেকে যাওয়া লন্ডনের ফ্লাইট ফিরে এলো ঢাকায়!

সিলেট থেকে উড্ডয়ন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট যাত্রা বাতিল করেছে। ফ্লাইটটি মাঝপথ থেকে ফিরে এসে অবতরণ করে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
মূলত ফ্লাইটটি যাচ্ছিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরেরর উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মাঝপথ থেকেই সেটি ঢাকায় ফিরে এসেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
কামরুল ইসলাম জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০১ ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে। এরপর যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু হিথ্রো বিমানবন্দরের পরিস্থিতির কারণে ফ্লাইটটি মাঝপথে ফিরতে বাধ্য হয়। আজ দুপুর পৌনে ২টায় এটি ঢাকায় এসে অবতরণ করেন।
তিনি আরও জানান, ফেরত আসা ওই ফ্লাইটে পাইলট ও কেবিন ক্রুসহ ২৬৭ জন আরোহী রয়েছেন। ঢাকায় অবতরণের পর যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যস্ততম হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার সারাদিন এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি সাবস্টেশনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয় নেমে আসে। এতে শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। লন্ডনের সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট অবধি বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আলোচিত
সিলেট এসে পৌঁছেছেন হামজা, এয়ারপোর্টের বাইরে উৎসুক জনতা

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী দেশে এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) দুপুর পৌনে ১২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন হামজা।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেট এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছেন বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া শাহীন, কামরুল ইসলাম হিল্টন, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও মন্জুরুল করিম। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর হামজাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তারা। তাদের সাথে রয়েছেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী
হামজাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখার জন্য সিলেট এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক সমর্থক ভিড় করেছেন। কেউ কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।
হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে এসেছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।
সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় আসতে পারেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তবে এখন তিনি বাংলাদেশেরও নাগরিক। তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আলোচিত
উপশহরে গার্ডেন টাওয়ারে পাঁচ নারীর সাথে আটক হলেন এক যুবক

সিলেট নগরীর উপশহরস্থ গার্ডেন টাওয়ারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গার্ডেন টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে পাঁচ নারীর সাথে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক পাঁচজনই অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- শামীম আহমদ (৩৪), আয়েশা আক্তার (৪০), সুপ্রিয়া চৌধুরী (২২), জারা আহমদ (১৮), তানিশা বেগম (২৩) ও জাহানারা বেগম (৪০)।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গার্ডেন টাওয়ারের ১২ তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় সোবহানীঘাট ফাঁড়ির একদল পুলিশ। এসময় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়।
তাদেরকে বিরুদ্ধে এসএমপি অ্যাক্টের ৭৭ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।
আলোচিত
সিলেটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আরও একটি ইটভাটা

সিলেট সদর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালিত ‘মেঘনা ব্রিকস’র স্থাপনাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হাজিরাই মৌজার মুরাদপুর পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ব্রিকসফিল্ডের সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবল ইসলাম। তাকে শাহপরান থানার পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো মেঘনা ব্রিকস। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ ওই ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেইসাথে ওই ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কৃষি জমির টপসয়েল কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
আলোচিত
সিলেটে তারাবির নামাজরত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু

সিলেটে নামাজরত অবস্থায় এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) রাতে পশ্চিম তেররতন মুসলিম শাহ (রহ.) জামিয়া মসজিদে তারাবির নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মুরশেদ মিয়া (৬৫)। তিনি সিলেট নগরীর পশ্চিম তেররতন এলাকার একটি কলোনীতে ভাড়া থাকতেন ও তার নিজের বাড়ি চট্টগ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সিলেট নগরীর পশ্চিম তেররতন মুসলিম শাহ (রহ.) জামিয়া মসজিদে সোমবার এশার জামাত শেষে তারাবির নামাজের প্রথম রাকাতেই মুরশেদ মিয়া (৬৫) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে তাকে অন্য মুসল্লিরা সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এলাকার বাসিন্দা সামাদ খান বলেন, তারাবির নামাজের প্রথম রাকাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে মসজিদের অন্য মুসল্লিদের সহযোগীতায় তার আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে যায়। সেখানে দায়িত্বর চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রাওয়ানা দেন।
- আন্তর্জাতিক11 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন11 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস5 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস5 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিশেষ প্রতিবেদন11 months ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট5 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- আন্তর্জাতিক4 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- বিনোদন6 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি