বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন স্বামীসহ তিন সন্তান নিয়ে। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন নির্ধারিত গন্তব্যে। কিন্তু তা আর হলোনা। পাঁচজনের মধ্যে ১০ বছরের শিশু সিয়ামকে নিয়ে ঝর্না বেগম নিজে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। আর স্বামীসহ অপর দুই ছেলে-মেয়ে ওসমানীর বেডে শুয়ে লড়ছেন মৃত্যুর সাথে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার সিলাম আকিলপুরের জুনেদ আহমদের পরিবারে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজিডিতে শোকে মুহ্যমান গোটা এলাকাবাসী।সিলেট ভ্রমণ গাইড
বুধবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুরে জুনেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তাকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন জুনেদের স্ত্রী ঝর্না বেগম (৩৫)।
মোগলাবাজার থানাপুলিশ স্থানীয়দের সহযোগীতায় জুনেদ ও তার তিন ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে পাঠায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনজনকেই ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়। তবে বিকেল ৪টার দিকে খবর পাওয়া যায়, ঝর্না-জুনেদ দম্পতির তিন সন্তানের একজন সিয়াম। মাত্র ১০ বছর বয়সেই সেও মায়ের সহযাত্রী হল।
জুনেদ এবং তার অপর ছেলে ও মেয়েকে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে আবার জুনেদের অবস্থা গুরুতর।
ঝর্না ও সিয়ামের মৃত্যুর খবরে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের গ্রাম সিলাম আকিলপুরের লোকজনও শোকাহত।
এ রিপোর্ট লেখার সময় (বুধবার রাত ৮টা) পর্যন্ত, জুনেদ ও তার দুই ছেলে-মেয়ে ওসমানীতে চিকিৎসাধীন। আর ঝর্না এবং সিয়ামের লাশও হাসপাতালের মর্গে। জানাজাসহ দাফন-কাফনের সময় নিয়ে তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীর আলাপ আলোচনা চললেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।